"কালো জাদু" একটি ভুতের গল্প যা রহস্য, ভয় এবং অতিপ্রাকৃত শক্তির জালে বাঁধা। এটি একটি বাংলা ছোট গল্প, যা পাঠককে অতিপ্রাকৃত জগতের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতায় নিয়ে যায়।

বাংলা ছোট গল্প

Home » বাংলা ছোট গল্প » কালো জাদু

কালো জাদু

"কালো জাদু" একটি ভুতের গল্প যা রহস্য, ভয় এবং অতিপ্রাকৃত শক্তির জালে বাঁধা। এটি একটি বাংলা ছোট গল্প, যা পাঠককে অতিপ্রাকৃত জগতের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতায় নিয়ে যায়।

বাংলা ভুতের ছোট গল্পটির অডিও স্টোরি শুনতে নিচে প্লে বোতাম টি ক্লিক করুন।

কোলকাতার এক নির্জন গলির মাথায় একটি পুরনো দোতলা বাড়ি। বাড়ির জানালায় নীল পর্দা টানা, বাইরে সাইনবোর্ডে লেখা— “সমরেশ সম্মাদ্দার: অতিপ্রাকৃত গোয়েন্দা।” ভেতরে সিগারেটের ধোঁয়া বাতাসে মিশে আছে। টেবিলে এলোমেলো কাগজপত্র, কয়েকটি পুরনো বই, আর কোণায় রাখা কিছু অদ্ভুত যন্ত্র। সমরেশ সম্মাদ্দার চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে, মুখে চিরাচরিত সিগারেট। তার চোখে এক ধরনের স্থির ধ্যান, যেন সবকিছুর মধ্যেও সে অন্য কোনও জগতের কথা ভাবছে।  

হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। “ভেতরে আসুন,” সমরেশ শান্ত গলায় বলল। দরজা খুলে ঢুকল এক ত্রস্ত মহিলা—কুসুম, মিত্র এস্টেটের পুরনো পরিচারিকা। তার মুখের অবস্থা দেখে বোঝা গেল, সে গভীর আতঙ্কে রয়েছে।  

“দাদা, মিত্রবাবু… মিত্রবাবু মারা গেছেন,” কুসুম কাঁপা গলায় বলল।  

সমরেশ চোখের কোণ দিয়ে কুসুমকে দেখল। “এটা দুঃখজনক, কিন্তু তুমি কেন এখানে এসেছ?”  

কুসুম কিছুক্ষণ থমকে থেকে বলল, “এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, দাদা। বাড়িতে কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে। জানি না ঠিক কী, কিন্তু আমি ভয় পাচ্ছি।”  

সমরেশ চেয়ারে সোজা হয়ে বসল। “কেমন অদ্ভুত ঘটনা?”  

কুসুম বলল, “রাতে বাড়ির লাইব্রেরি থেকে গর্জনের শব্দ আসে। কখনও দেখেছি, বইগুলো নিজের থেকেই মেঝেতে পড়ে যাচ্ছে। একটা সময় মনে হয়েছিল, কেউ যেন আমাকে অনুসরণ করছে। আর মিত্রবাবুর ঘরে… ওনার মৃত্যুর দিনও একটা ভয়ঙ্কর চিৎকার শুনেছি।”  

সমরেশ কিছুক্ষণ নীরবে থাকল, তারপর সিগারেট নিভিয়ে বলল, “ঠিক আছে, কুসুম। আমি তোমার সঙ্গে যাব।”  

সমরেশ তার ব্যাগে কিছু যন্ত্রপাতি গুছিয়ে নিল। তার ইক্টোপ্লাজমিক রেসোন্যান্স ডিটেক্টর, স্পেক্ট্রাল স্পুক জ্যাপার, আর একটি ছোট নোটবুক। “চলো, আজ রাতেই শুরু করি,” সে বলল।

রহস্য-রোমাঞ্চ বাংলা ছোট গল্প - গুপ্ত চক্রান্ত: "গুপ্ত চক্রান্ত" একটি রহস্য রোমাঞ্চ বাংলা ছোট গল্প, যেখানে রহস্য, সাসপেন্স ও টুইস্টের মাধ্যমে এক উত্তেজনাপূর্ণ হত্যাকাণ্ডের খোঁজ চলছে। গল্পটি আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করবে। সম্পুর্ন্য বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে এই লিংকটি ক্লিক করুন।

অশুভ কুঠির ছায়ায়

বাংলা ভুতের ছোট গল্পটির অডিও স্টোরি শুনতে নিচে প্লে বোতাম টি ক্লিক করুন।

সমরেশ সম্মাদ্দার ধীরে ধীরে মিত্র এস্টেটের মূল দরজার সামনে এসে দাঁড়াল। বিশাল কাঠের দরজায় খোদাই করা পুরনো নকশাগুলোকে দেখে মনে হয়, এটি বহু পুরনো। বাড়ির চারপাশে জ্বলজ্বল করে জোনাকির আলো, কিন্তু বাড়িটা যেন কোনো অশুভ শক্তির আড়ালে চাপা পড়ে আছে।  

দরজার সামনে দাঁড়িয়েই সে এক শীতল হাওয়া অনুভব করল। মনে হচ্ছিল, কেউ যেন তাকে ভেতরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে আবার সতর্কও করছে। পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা কুসুম কাঁপা গলায় বলল, “দাদা, বাড়িটার মধ্যে ঢুকলেই টের পাবেন। এই বাড়ি আর আগের মতো নেই।”  

সমরেশ একটি মুহূর্ত সময় নিল। নিজের ব্যাগ থেকে ইক্টোপ্লাজমিক রেসোন্যান্স ডিটেক্টরটি বের করল এবং সেটি চালু করতেই একটি মৃদু শব্দ হতে লাগল। “এই জায়গাটা অদ্ভুতভাবে সক্রিয়,” সে নিজেকে বলল।  

দরজা খুলতেই ভেতর থেকে আসা গন্ধে সমরেশের নাক সিঁটকে গেল। পুরনো কাঠ, স্যাঁতসেঁতে মাটি, আর কিছু যেন পোড়া মতো গন্ধ। বাড়ির ভিতরটা অনেকটা অন্ধকার, কেবল প্রাচীন ঝাড়বাতির মৃদু আলো ঘরের কোণগুলোকে আলোকিত করছে।  

সমরেশ কুসুমকে আশ্বস্ত করল, “তুমি শান্ত থাকো। কিছু ঘটবে না।”  

ভেতরে হারাধন নামের এক বৃদ্ধ পরিচারক এসে তাদের স্বাগত জানাল। তার চেহারা ভীত, চোখের কোণায় ক্লান্তির ছাপ। “আপনি গোয়েন্দাবাবু?” সে জিজ্ঞেস করল।  

“হ্যাঁ,” সমরেশ বলল। “আমি বুঝতে পারছি এখানে কিছু অস্বাভাবিক চলছে। বলুন, কী ঘটেছে?”  

হারাধন একটু ইতস্তত করে বলল, “বাড়ির কর্তা সঞ্জীববাবু বেশ কিছুদিন ধরে লাইব্রেরির নিচে এক গোপন ঘরে সময় কাটাচ্ছিলেন। বলেছিলেন, তিনি একটা বই পেয়েছেন যেটি তাকে অমরত্বের সন্ধান দিতে পারে। কিন্তু তার পর থেকেই বাড়িতে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটছে।”  

সমরেশ হারাধনের কথা শুনে একটু চুপ করে রইল। তখনই ঘরের কোণ থেকে অঞ্জনা মিত্র, সঞ্জীবের বিধবা স্ত্রী, ধীর পায়ে এগিয়ে এলেন। তার মুখে গভীর বিষাদের ছাপ।  

“আপনি কীভাবে সাহায্য করবেন?” তার গলা নরম, কিন্তু ভেতরে একটা চাপা আতঙ্ক লুকিয়ে আছে।  

“আমি প্রথমে বাড়ির সবকিছু পরীক্ষা করব,” সমরেশ বলল। “যদি কিছু অস্বাভাবিক পাওয়া যায়, তবে তার সমাধানের পথ খুঁজব। তবে, আমাকে সেই গোপন ঘরটি দেখাতে হবে।”  

অঞ্জনা কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন, তারপর ধীরে ধীরে বললেন, “ঘরটি লাইব্রেরির নিচে। তবে আপনি সাবধান থাকবেন। সেখানে গেলে আপনি একা নন, এই অনুভূতি পেতে পারেন।”  

সমরেশ হারাধন আর কুসুমকে বাইরে রেখে অঞ্জনার সঙ্গে লাইব্রেরির দিকে এগিয়ে গেল। লাইব্রেরি ছিল বিরাট এবং দেওয়ালে সারি সারি বই সাজানো। ঘরের এক কোণায় একটি সিঁড়ি দেখা গেল, যা নিচে চলে গেছে।  

“এই সিঁড়ি দিয়ে নেমে যান। আমি অপেক্ষা করব,” অঞ্জনা বললেন।  

সমরেশ একটি টর্চ হাতে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে শুরু করল। তার প্রতিটি পা ফেলার সঙ্গে সঙ্গে সিঁড়ি থেকে শব্দ উঠছিল, যেন বাড়িটা নিজেই তার উপস্থিতি টের পাচ্ছে। নিচে নামতেই একটি ছোট ঘর দেখা গেল।  

ঘরটির মধ্যে একটি পুরনো টেবিল, তার উপর একটি মোটা কালো মলাটের বই। ঘরের দেওয়ালে কিছু অদ্ভুত চিহ্ন আঁকা, যা দেখেই সমরেশ বুঝতে পারল, এখানে কালো জাদুর চর্চা হয়েছে।  

ডিটেক্টরটি এবার জোরে শব্দ করতে শুরু করল। “এখানে শক্তিশালী কিছু আছে,” সমরেশ বলল।  

ঠিক তখনই, ঘরের কোণ থেকে একটি ছায়া ধীরে ধীরে গাঢ় হতে শুরু করল। ছায়াটি ক্রমে আকার নিতে লাগল, যেন কোনও অশুভ আত্মা জেগে উঠছে।  

“কে আছিস?” সমরেশ জোরে বলল।  

কিন্তু উত্তর এল এক ভৌতিক কণ্ঠে, “এখানে এসো না। এটা তোমার জন্য নয়।”  

সমরেশ টর্চের আলো ছায়ার দিকে ফেলতেই সেটি হাওয়ার মতো মিলিয়ে গেল।

গর্জনকারী ছায়া

বাংলা ভুতের ছোট গল্পটির অডিও স্টোরি শুনতে নিচে প্লে বোতাম টি ক্লিক করুন।

ডিটেক্টরটি ততক্ষণে তীব্র শব্দ করা শুরু করেছে। এটি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে, কোনো অশুভ শক্তি এখানেই ঘোরাফেরা করছে। ঠিক তখনই, একটি বই হঠাৎ শূন্যে উঠে গেল এবং সমরেশের সামনের মেঝেতে সজোরে পড়ল। শব্দে ঘরের নীরবতা ভেঙে গেল।  

সমরেশ দ্রুত ডিটেক্টরের পাশে রাখা তার ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সিগনাল রেকর্ডারটি চালু করল। তাতে শক্তির মাত্রা আরও স্পষ্টভাবে ধরা পড়ল। কিন্তু এরপর যা ঘটল, তা তার প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেল।  

লাইব্রেরির মাঝখানে রাখা ঝাড়বাতিটি হঠাৎ দুলতে শুরু করল। বাতাসের চাপ বেড়ে গেল, আর ঘরের কোণ থেকে আসা গর্জন শুনে মনে হল, যেন কেউ তীব্র যন্ত্রণায় কাঁদছে। সমরেশ তার টর্চটি সেই দিকেই তাক করল, কিন্তু কিছু দেখতে পেল না।  

তখনই কুসুম দৌড়ে এসে বলল, “দাদা, হারাধন কাকু বলছে যে সঞ্জীববাবু এই বাড়িতে অশুভ আত্মাকে ডেকে এনেছিলেন। তিনি তার সঙ্গে কিছু চুক্তি করতে চেয়েছিলেন।”  

“কী ধরনের চুক্তি?” সমরেশ জিজ্ঞেস করল।  

কুসুম থেমে থেমে বলল, “বলেন, উনি সেই বই থেকে কিছু মন্ত্র আবৃত্তি করতেন। একটা বড় শক্তি পেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার পর থেকেই এই বাড়িতে আজব ঘটনা ঘটছে। সঞ্জীববাবু যে রাতে মারা যান, তার আগের রাতেও ভেতরে এক করুণ গর্জন শোনা গিয়েছিল। যেন কেউ তাকে সতর্ক করছিল।”  

সমরেশ এবার বুঝতে পারল, রহস্য আরও গভীর। সে লাইব্রেরির এক কোণে রাখা বড়, কালো মলাটের একটি বইয়ের দিকে এগিয়ে গেল। বইটি খুলতেই তার পাতাগুলো যেন নিজের থেকেই উল্টে যেতে লাগল। প্রতিটি পাতায় অদ্ভুত, দুর্বোধ্য চিহ্ন আর মন্ত্র লেখা।  

ঠিক তখনই, ঘরের চারপাশে রাখা বইগুলো একে একে শূন্যে ভেসে উঠতে শুরু করল। কিছু বই মেঝেতে আছড়ে পড়ল, কিছু আবার ঝুলে থাকল। সমরেশ দ্রুত তার ডিটেক্টরের রিডিং দেখতে শুরু করল। শক্তির মাত্রা এমন উচ্চতায় পৌঁছেছিল, যা সে আগে কখনো দেখেনি।  

হঠাৎ, ঘরের কোণ থেকে একটি ছায়া গর্জন করে উঠল। ছায়াটি ক্রমে আকার নিতে শুরু করল। মানুষের মতো আকার হলেও, তার চেহারায় একটি অশুভ আভা ছিল।  

“তুমি কি জানো, তুমি এখানে কেন এসেছ?” ছায়াটি গম্ভীর কণ্ঠে বলল।  

সমরেশ তার যন্ত্রটি শক্ত করে ধরে বলল, “আমি সত্য জানতে এসেছি। কিন্তু তোমার উপস্থিতি তার পথের বাধা হতে পারবে না।”  

ছায়াটি আরও ঘন হয়ে উঠল এবং তার দিকেই এগিয়ে এল। ঠিক তখনই, লাইব্রেরির দরজা সজোরে বন্ধ হয়ে গেল।  

সমরেশ বুঝতে পারল, এ জায়গা ছেড়ে যাওয়া এখন তার পক্ষে সহজ হবে না। কিন্তু এই রহস্যের সমাধান ছাড়া সে ফিরে যেতে পারে না।  

অন্ধকারের উৎস

বাংলা ভুতের ছোট গল্পটির অডিও স্টোরি শুনতে নিচে প্লে বোতাম টি ক্লিক করুন।

সমরেশের মনে অজানা আশঙ্কা আর উত্তেজনা একসঙ্গে খেলা করছিল। লাইব্রেরির গা ছমছমে অভিজ্ঞতার পর, তার ডিটেক্টর আবারও তীব্র সংকেত দিতে শুরু করল। সংকেতগুলো তাকে বাড়ির মাটির নিচে থাকা সেলারের দিকে নিয়ে গেল। হারাধন আর কুসুম অনেকবার নিষেধ করল, কিন্তু সমরেশ জানত, যদি সত্য জানতে হয়, তবে তাকে এগিয়ে যেতেই হবে।  

সেলারের সিঁড়িগুলো ছিল ভাঙাচোরা এবং অন্ধকার। সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসতেই সমরেশ টর্চের আলো জ্বালাল। আলো পড়তেই ঘরের দেওয়ালে ঝুলতে থাকা শিকল, পুরনো কাঠের বাক্স আর ধুলোমাখা মেঝে দেখা গেল। কিন্তু ঘরের মাঝখানে থাকা একটি বৃত্তের দৃশ্য তার রক্ত হিম করে দিল।  

মেঝেতে একটি বড় মোমবাতির বৃত্ত, যার মোম গলে কালো দাগ তৈরি করেছে। বৃত্তের মাঝখানে একটি পেন্টাগ্রাম আঁকা। তার পাশেই রাখা ছিল একটি কালো মলাটের বই, যার পাতাগুলোতে অদ্ভুত ভাষায় কিছু লেখা। বইটির পাশে আরও কিছু ধাতব বস্তু, যেন কোনো আচার-অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।  

সমরেশ হাঁটু গেড়ে মোমবাতির বৃত্তের দিকে তাকাল। তার মনে হল, এই বৃত্ত কোনো সাধারণ কালো জাদুর নয়। এমন সময়, পেছনের অন্ধকার থেকে এক ঠান্ডা বাতাস তার ঘাড়ে স্পর্শ করল। সে তড়িঘড়ি পেছন ফিরে তাকাল। কিছুই দেখা গেল না, শুধু অন্ধকার।  

হঠাৎ, ঘরের এক কোণ থেকে এক গম্ভীর গর্জন শোনা গেল। গর্জনটা যেন মাটির নিচ থেকে উঠে আসছিল। সমরেশের ডিটেক্টর আবারও সংকেত দিতে শুরু করল, এবার আরও তীব্রভাবে। 

তারপর, মোমবাতির বৃত্তের কেন্দ্র থেকে কালো ধোঁয়া উঠতে শুরু করল। ধোঁয়াটা ধীরে ধীরে একটা আকার নিতে লাগল। প্রথমে ছোট, তারপর ক্রমে বড় হয়ে উঠল। শেষমেশ ধোঁয়াটা একটি দৈত্যাকার ছায়ায় রূপান্তরিত হল। ছায়াটির হাত থেকে বেরিয়ে এল লম্বা, টেন্টাকল-সদৃশ অঙ্গ।  

“তুমি কে?” সমরেশ কাঁপা গলায় প্রশ্ন করল।  

ছায়াটা এক প্রচণ্ড গর্জনে ঘর কাঁপিয়ে দিল। তারপর গভীর, ভয়ঙ্কর কণ্ঠে বলল, “আমি সেই যাকে ডেকে আনা হয়েছিল, কিন্তু বন্ধ করা হয়নি। তুমি কেন এসেছ এখানে?”  

সমরেশ নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করল। সে বলল, “আমি সত্য জানতে চাই। এই বাড়িতে কী ঘটেছে? সঞ্জীব মিত্র কী করেছিলেন?”  

ছায়াটি হেসে উঠল। তার হাসিতে শীতল আতঙ্ক লুকিয়ে ছিল। “তোমার মতো মানুষরা সত্য চায়, কিন্তু সত্যের মূল্য দিতে চায় না। সঞ্জীব আমাকে ডেকেছিল শক্তি পাওয়ার জন্য। কিন্তু আমি তাকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলাম। আর এবার তুমি—”  

ঠিক সেই মুহূর্তে, ছায়াটির টেন্টাকল সমরেশের দিকে ধাবিত হল। সমরেশ দ্রুত পাশের বাক্সটা তুলে ছুঁড়ে মারল। কিন্তু ছায়াটি অটল রইল।  

হঠাৎই সমরেশের নজরে পড়ল মেঝের এক কোণায় রাখা একটি পুরনো প্রদীপ। প্রদীপটি সম্ভবত কোনো পুরনো রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। সে তাড়াতাড়ি প্রদীপটি হাতে তুলে নিল। প্রদীপটি ধরতেই অদ্ভুত একটা শক্তি তার শরীরে সঞ্চারিত হল।  

ছায়াটি এবার থেমে গেল। তার গর্জন ক্ষীণ হয়ে আসছিল। সমরেশ প্রদীপটি ছায়ার দিকে তুলে ধরল। ঠিক সেই সময়, ঘরের চারপাশে থাকা সমস্ত আলো নিভে গেল।  

অন্ধকারে দাঁড়িয়ে সমরেশ বুঝতে পারল, এই প্রদীপেই হয়তো লুকিয়ে আছে ছায়াটির রহস্যের চাবিকাঠি। কিন্তু এর কার্যকারিতা কীভাবে কাজ করে, তা তাকে জানতে হবে।  

বাংলা রোমান্টিক ছোট গল্প - ভালোবাসার গলি: "ভালোবাসার গলি" একটি হৃদয়স্পর্শী রোমান্টিক বাংলা ছোট গল্প, যেখানে কলকাতার রঙিন সড়কে প্রেমের এক নতুন অধ্যায়ের শুরু হয়, যা শহরের ঐতিহ্য এবং সম্পর্কের মধুরতা তুলে ধরে। সম্পুর্ন্য বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে এই লিংকটি ক্লিক করুন।

সমরেশ বনাম ছায়া

বাংলা ভুতের ছোট গল্পটির অডিও স্টোরি শুনতে নিচে প্লে বোতাম টি ক্লিক করুন।

সমরেশের হাত কাঁপছিল, কিন্তু তার চোখে ভয়ের সঙ্গে মিশে ছিল একরকম জেদ। প্রদীপটি এখন তার হাতে। ছায়াটি তার সামনে দাঁড়িয়ে গর্জন করছে, ঘরের দেওয়ালগুলো যেন কেঁপে উঠছে সেই আওয়াজে।  

“তুই আমাকে আটকাতে পারবি না,” ছায়াটি বলল, তার গলা গভীর ও কুৎসিত। “আমি চিরন্তন। আমার শক্তি এই বাড়ির প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে আছে।”  

সমরেশ জানত, এই লড়াই সহজ হবে না। সে দ্রুত তার ব্যাগ থেকে নিজের তৈরি স্পেক্ট্রাল স্পুক জ্যাপার বার করল। ডিভাইসটি ছিল তার নিজের তৈরি এক অস্ত্র, যা অতিপ্রাকৃত শক্তির বিরুদ্ধে কাজ করে।  

“দেখি তোর চিরন্তন শক্তি কতটা টেকে,” সমরেশ বলল, ডিভাইসটি ছায়ার দিকে তাক করে।  

ডিভাইসটি চালু করার সঙ্গে সঙ্গে এক তীব্র আলোর কিরণ ছুটে গেল ছায়াটির দিকে। ছায়াটি চিৎকার করে উঠল, তার টেন্টাকলগুলো ক্রমশ সঙ্কুচিত হতে শুরু করল। কিন্তু সেই মুহূর্তেই, ছায়াটি এক বিশাল ঝাপটায় ডিভাইসটিকে সমরেশের হাত থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিল। ডিভাইসটি দূরে গিয়ে পড়ল এবং এক অদ্ভুত শব্দ করে বন্ধ হয়ে গেল।  

সমরেশ এক মুহূর্তের জন্য হতভম্ব হয়ে গেল। এখন তার হাতে কোনো অস্ত্র নেই, এবং ছায়াটি ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে আসছিল।  

“তোর শেষ সময় এসে গেছে,” ছায়াটি বলল, তার টেন্টাকলগুলো সমরেশের দিকে বাড়িয়ে।  

ঠিক সেই সময়, রক্সি হঠাৎ করে ঘরে ঢুকে পড়ল। তার মুখে এক অদ্ভুত আত্মবিশ্বাসের ছাপ।  

“তুই এত সহজে সমরেশকে শেষ করতে পারবি না,” রক্সি দৃঢ় কণ্ঠে বলল।  

সমরেশ অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। রক্সি তো কুসুমের পরিচিতা বলে জানত, কিন্তু তার এই আচরণ সম্পূর্ণ ভিন্ন।  

“রক্সি, তুমি কীভাবে—” সমরেশ প্রশ্ন করতে শুরু করল, কিন্তু রক্সি তাকে থামিয়ে দিল।  

“আমি এখানে তোমাকে সাহায্য করতে এসেছি,” রক্সি বলল। তারপর সে নিজের হাত দুইদিকে ছড়িয়ে দিল, এবং তার চারপাশ থেকে এক অদ্ভুত জ্যোতি উঠতে শুরু করল।  

সমরেশ হতভম্ব হয়ে দেখল, রক্সির শরীর থেকে আলোর ঢেউ বেরিয়ে আসছে। সে নিজেই এক আত্মা, কিন্তু তার শক্তি এই ছায়াটির চেয়ে আলাদা।  

“তুইও এক আত্মা?” সমরেশ প্রশ্ন করল।  

“হ্যাঁ,” রক্সি বলল। “কিন্তু আমি এই ছায়ার মতো অশুভ নই। আমি এখানে এসেছি তোর সাহায্যের জন্য।”  

রক্সি তার শক্তি ব্যবহার করে ছায়ার দিকে এক প্রবল আলোর ঝাঁপ ফেলে দিল। ছায়াটি তীব্র চিৎকার করতে লাগল। তার শরীর কাঁপতে শুরু করল, এবং তার টেন্টাকলগুলো ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল।  

“তুই তোকে ডাকার সেই ভুলটার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে,” রক্সি বলল। “এই বাড়ি আর এই মানুষদের শান্তি ফেরাতে হবে।”  

ছায়াটি ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছিল, কিন্তু তার চোখে ছিল তীব্র ক্রোধ।  

“এই গল্প এখানেই শেষ নয়,” ছায়াটি বলল, এবং ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেল।  

ঘরের ভেতর সবকিছু শান্ত হয়ে গেল। সমরেশ টর্চ জ্বালিয়ে দেখল, রক্সি এখনও দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু তার মুখ ক্লান্ত।  

“তুমি আমার পাশে না থাকলে, আমি হয়তো বাঁচতে পারতাম না,” সমরেশ বলল।  

“এখনও সবকিছু শেষ হয়নি,” রক্সি বলল। “ছায়া হয়তো দূরে চলে গেছে, কিন্তু তার শক্তি এখনও এই বাড়িতে রয়েছে। আমাদের আরও কাজ করতে হবে।”  

সমরেশ জানত, লড়াই এখনও শেষ হয়নি। প্রদীপটি হাতে নিয়ে সে প্রতিজ্ঞা করল, এই রহস্যের সমাধান না করে সে ছাড়বে না।  

ভুতুড়ে বাড়ির মুক্তি

বাংলা ভুতের ছোট গল্পটির অডিও স্টোরি শুনতে নিচে প্লে বোতাম টি ক্লিক করুন।

বাড়ির ঘন অন্ধকারের মধ্যে সমরেশ টর্চের আলো ফেলে নিচে নেমে আসছিল। সিঁড়ির প্রতিটি ধাপে তার হৃদস্পন্দন যেন বেড়ে যাচ্ছিল। পাশ থেকে রক্সি ধীর পায়ে তাকে অনুসরণ করছিল। অন্ধকার সেলারের নিচে একটা অদ্ভুত নিস্তব্ধতা ছড়িয়ে ছিল। এমন নিস্তব্ধতা যা শুধু ভয় আর মৃত্যুর ঘ্রাণ বহন করে।  

“এখানে কিছু আছে, রক্সি,” সমরেশ ফিসফিস করে বলল।  

“আমি জানি,” রক্সি বলল। তার কণ্ঠে ছিল দৃঢ় আত্মবিশ্বাস।  

সমরেশ যখন মাটিতে রাখা পুরনো মোমবাতির বৃত্তের দিকে তাকাল, তখন তার শরীর শিউরে উঠল। বৃত্তের মাঝখানে ছিল একটি কালো বই, যার পাতাগুলি দেখে মনে হচ্ছিল সেগুলো আগুনে ঝলসানো। বইয়ের পাশেই আঁকা ছিল একটি বিশাল পেন্টাগ্রাম, যা একদম তাজা রক্ত দিয়ে আঁকা।  

“এটাই সেই উৎস,” রক্সি বলল। “এই বই থেকেই সবকিছু শুরু হয়েছে। সঞ্জীব এই বই ব্যবহার করেই সেই অশুভ আত্মাকে ডেকেছিল।”  

“তাহলে আমাদের এটাকেই শেষ করতে হবে,” সমরেশ বলল। তার চোখে একরকম অদম্য সাহস ফুটে উঠল।  

তবে ঠিক সেই মুহূর্তে, সেলারের ঘরের চারপাশ থেকে ঠাণ্ডা হাওয়ার সঙ্গে শোনা গেল এক তীক্ষ্ণ গর্জন। দেয়ালগুলো যেন জীবন্ত হয়ে উঠল। পেন্টাগ্রামের মাঝখান থেকে কালো ধোঁয়ার মতো একটি দৈত্যাকার ছায়া উঠে এল।  

“তোমরা ভাবছ আমাকে পরাজিত করতে পারবে?” ছায়াটি গম্ভীর আর ভয়ংকর কণ্ঠে বলল। তার বিশাল টেন্টাকলগুলো মেঝে থেকে ছড়িয়ে পড়ে পুরো ঘর জুড়ে।  

“আমাদের চেষ্টা তো করতেই হবে,” সমরেশ দৃঢ় কণ্ঠে বলল।  

সে তার তৈরি স্পেক্ট্রাল স্পুক জ্যাপারটি সক্রিয় করল। জ্যাপার থেকে এক প্রবল আলোকরশ্মি ছুটে গিয়ে ছায়ার শরীরে আঘাত করল। কিন্তু ছায়াটি শুধু একবার চিৎকার করে তার শক্তিশালী টেন্টাকল দিয়ে জ্যাপারটি ছুঁড়ে ফেলে দিল।  

“তোর এই খেলনা দিয়ে কিছু হবে না,” ছায়াটি বলল।  

রক্সি হঠাৎই এগিয়ে এল। তার মুখে ছিল এক অদ্ভুত শান্তি, কিন্তু তার চোখে যেন আগুন জ্বলছিল।  

“আমার শক্তি ব্যবহার করো, সমরেশ,” সে বলল।  

“কিন্তু তুমি তো নিজেও—” সমরেশ বলতে শুরু করল।  

“আমার সময় এসে গেছে,” রক্সি তাকে থামিয়ে দিয়ে বলল। “আমি এই বাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে আছি। আমিই এই অশুভ শক্তিকে শেষ করতে পারি।”  

রক্সি তার হাত দুটি উপরে তুলে একটি মন্ত্র পড়া শুরু করল। তার শরীর থেকে এক প্রবল জ্যোতি নির্গত হতে লাগল, যা ছায়াটির দিকে ধাবিত হচ্ছিল। ছায়াটি চিৎকার করে উঠল।  

“না! এটা সম্ভব নয়!” ছায়াটি গর্জন করল।  

আলো ছায়াটিকে গ্রাস করতে শুরু করল, আর তার টেন্টাকলগুলো ক্রমশ অদৃশ্য হয়ে যেতে লাগল। পেন্টাগ্রামের মাঝখানের বইটি হঠাৎ আগুন ধরে গিয়ে ভস্মীভূত হয়ে গেল।  

শেষ পর্যন্ত ছায়াটি এক তীক্ষ্ণ চিৎকারের সঙ্গে সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে গেল। সেলারের ঘর আবার নীরব হয়ে গেল।  

সমরেশ ক্লান্ত হয়ে মেঝেতে বসে পড়ল। রক্সি ধীরে ধীরে তার পাশে বসে হাসল।  

“তুমি করেছ,” রক্সি বলল।  

“আমরা করেছি,” সমরেশ বলল।  

তবে তার মনে ছিল এক অদ্ভুত অস্বস্তি। এই লড়াই কি সত্যিই শেষ হয়েছে? এই প্রশ্ন তাকে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল।  

ছোটদের রূপকথার গল্প - বন্ধুত্বের জাদু: "বন্ধুত্বের জাদু" একটি মনোমুগ্ধকর ছোটদের গল্প। এই রূপকথার গল্পে স্নেহা ও তার বন্ধুরা জাদুকরি উপত্যকাকে বাঁচাতে সাহস, ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে এক অনন্য অভিযানে পা বাড়ায়। সম্পুর্ন্য বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে এই লিংকটি ক্লিক করুন।

রহস্যের সমাধান

বাংলা ভুতের ছোট গল্পটির অডিও স্টোরি শুনতে নিচে প্লে বোতাম টি ক্লিক করুন।

সমরেশ মেঝেতে বসে রক্সির দিকে তাকিয়ে ছিল। তার শরীর ক্লান্ত, কিন্তু মনের ভিতর কেমন যেন একটা অস্বস্তি কাজ করছিল। পেন্টাগ্রামের ভস্মীভূত বই আর রক্তের দাগ এখনও মেঝেতে ছিল, যেন পুরো লড়াইয়ের সাক্ষী। রক্সি ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াল, তার মুখে গভীর বিষাদের ছায়া।  

“তুমি জানো, সমরেশ, এই গল্পের শেষ এখানেই নয়,” রক্সি বলল। তার কণ্ঠে একটা গাঢ় গভীরতা।  

“মানে?” সমরেশ অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল।  

“এই বাড়ি আর সঞ্জীবের গল্প এত সহজে শেষ হওয়ার নয়। সে যা করেছিল, তা শুধু নিজের ধ্বংস ডেকে আনেনি, এই পুরো বাড়িটাকে অভিশপ্ত করেছে,” রক্সি বলে চলল।  

রক্সি জানাল, সঞ্জীব একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী পুরোহিত ছিল। তার লোভ ছিল অপরিসীম। ক্ষমতা আর অমরত্বের লোভে সে এই কালো জাদুর বইটি সংগ্রহ করেছিল। সেই বইয়ের মন্ত্র ব্যবহার করে সে অশুভ আত্মাকে ডেকে নিজের ইচ্ছা পূরণের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কালো জাদুর মূল শর্ত হলো আত্মাকে বিনিময় করা। সঞ্জীব এই শর্ত মেনে নিতে চায়নি, ফলে সেই অশুভ শক্তি তাকে টুকরো টুকরো করে শেষ করে দেয়।  

“এই বাড়ির প্রতিটি ইটপাথর তার লোভ আর অহংকারের সাক্ষী। প্রতিটি আত্মা এখানে বন্দী হয়েছে তার ভুলের জন্য,” রক্সি বলল।  

সমরেশ গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনছিল। “তাহলে এই বাড়ি কি কখনও মুক্তি পাবে না?”  

রক্সি হালকা হাসল। “বাড়ি মুক্তি পাবে, যদি মানুষ এই ভুল থেকে শিক্ষা নেয়। লোভ আর ক্ষমতার পেছনে না ছুটে, জীবনকে ভালোবাসে। সঞ্জীবের কাহিনী থেকে যদি মানুষ এটা শিখতে পারে, তবে এই অভিশাপও দূর হবে।”  

সমরেশ চুপ করে রইল। তার মনের ভিতরে অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল। তবে একটা জিনিস সে বুঝতে পারছিল—জীবনের প্রকৃত সৌন্দর্য উপলব্ধি করার জন্য ভয়াবহতা মাঝে মাঝে প্রয়োজন হয়ে পড়ে।  

রক্সি ধীরে ধীরে পেন্টাগ্রামের মাঝখানে দাঁড়াল। তার শরীর থেকে হালকা ধোঁয়া বেরোতে শুরু করল। “সমরেশ, তুমি সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছ। কিন্তু মনে রেখো, অতিপ্রাকৃতের সঙ্গে খেলা করা কোনোদিনই ভালো কিছু ডেকে আনে না।”  

“তুমি কোথায় যাচ্ছ?” সমরেশ তাড়াতাড়ি জিজ্ঞাসা করল।  

রক্সি তাকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখল। “আমি ছিলাম এই বাড়ির এক অংশ। আমার কাজ শেষ। এখন আমি মুক্তি পেতে চাই। কিন্তু যাওয়ার আগে একটা কথা মনে রেখো, সমরেশ—লোভ কেবল ধ্বংস ডেকে আনে। ভালোবাসুন জীবন, লোভ করবেন না অতিপ্রাকৃতের।”  

তার কথা শেষ হতে না হতেই সে ধোঁয়ার আড়ালে মিলিয়ে গেল। ঘরটা আবার নিস্তব্ধ হয়ে গেল।  

সমরেশ কিছুক্ষণ স্থবির হয়ে বসে রইল। তারপর সে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াল। এই লড়াই তার জীবনে এক নতুন অধ্যায় শুরু করল। তার মনে হয়েছিল, রক্সির বিদায় আসলে তার নিজের জন্যও একটা শিক্ষা।  

ঘর থেকে বেরোনোর সময় সমরেশ একবার পেছন ফিরে তাকাল। বাড়িটা যেন আরেকবার শান্ত হয়ে গেছে। কিন্তু তার মনে হলো, রক্সির কথাগুলো বাতাসে এখনও প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।  

“ভালোবাসুন জীবনকে…”  

সমরেশের মুখে এক হালকা হাসি ফুটে উঠল। সে জানত, এই বাড়ি তাকে যে শিক্ষা দিয়েছে, তা কখনও ভুলবে না।

এই রকম চিত্তাকর্ষক বাংলা ছোট গল্প -এর আপডেট পেতে আমাদের WhatsApp চ্যানেল জয়েন করুন।

আমরা কারা

নতুন বাংলা ছোট গল্প

মৃত্যুর হাসি

"মৃত্যুর হাসি" একটি রহস্যময় ভুতের গল্প যেখানে দুই ভাইবোনের সাহস, মায়ের আত্মার আশীর্বাদ, ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই আপনাকে টানবে। পড়ুন এই বাংলা ছোট গল্প, যা ভয় ও আবেগে ভরা।

"মৃত্যুর হাসি" একটি রহস্যময় ভুতের গল্প যেখানে দুই ভাইবোনের সাহস, মায়ের আত্মার আশীর্বাদ, ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই আপনাকে টানবে। পড়ুন এই বাংলা ছোট গল্প, যা ভয় ও আবেগে ভরা।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: মৃত্যুর হাসি

অন্তিম সন্ধ্যা

"অন্তিম সন্ধ্যা" একটি রহস্য রোমাঞ্চ বাংলা ছোট গল্প, যেখানে এক তরুণীর মৃত্যু, তার পরিবার, এবং শহরের অন্ধকারে লুকানো সত্যের খোঁজে উত্তেজনা ও মর্মস্পর্শী মুহূর্তের বুনন।

"অন্তিম সন্ধ্যা" একটি রহস্য রোমাঞ্চ বাংলা ছোট গল্প, যেখানে এক তরুণীর মৃত্যু, তার পরিবার, এবং শহরের অন্ধকারে লুকানো সত্যের খোঁজে উত্তেজনা ও মর্মস্পর্শী মুহূর্তের বুনন।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: অন্তিম সন্ধ্যা

স্বপ্নের সাথী

"স্বপ্নের সাথী" একটি রোমান্টিক বাংলা ছোট গল্প, যেখানে প্রেমের জটিলতা, বিচ্ছেদ ও পুনর্মিলন খুঁজে পাওয়া যায়। হৃদয়স্পর্শী সম্পর্কের গভীরতা ও নতুন সূচনার গল্প।

"স্বপ্নের সাথী" একটি রোমান্টিক বাংলা ছোট গল্প, যেখানে প্রেমের জটিলতা, বিচ্ছেদ ও পুনর্মিলন খুঁজে পাওয়া যায়। হৃদয়স্পর্শী সম্পর্কের গভীরতা ও নতুন সূচনার গল্প।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: স্বপ্নের সাথী

Leave a Comment

অনুলিপি নিষিদ্ধ!