এই বাংলা ছোট গল্পটি একাকীত্বের চিত্র তুলে ধরে। ভবিষ্যতে সন্তানের অসমর্থতা আর নিজেদের দুঃখের সাথে লড়াই করে বয়স্ক দম্পতির গল্প।

বাংলা ছোট গল্প

Home » বাংলা ছোট গল্প » একাকী ভীড়ের গল্প

একাকী ভীড়ের গল্প

এই বাংলা ছোট গল্পটি একাকীত্বের চিত্র তুলে ধরে। ভবিষ্যতে সন্তানের অসমর্থতা আর নিজেদের দুঃখের সাথে লড়াই করে বয়স্ক দম্পতির গল্প।

ডিসেম্বর, ২০৫২। অপেয়ার্টমেন্টের ছাদে বসে আছেন রতন। শার্টের পকেট থেকে মোবাইল বের করে ছেলে রাজেকে ফোন দেন।

– হ্যালো!

– হ্যাঁ, বাবা, বলো, কেমন আছ?
– ভালোই আছি বাবু, কবে আসবি?
– আসতে পারব না এখন, অফিসে অনেক কাজের চাপ।
– একটু টাকা পাঠিয়ে দিবি? খুব দরকার পড়েছে।
– (কিছুটা বিরক্ত স্বরে) কয়েকদিন আগেই তো পাঠিয়েছি, আর নেই কিছু। নিজের মতো করেই চলো।

এই বলে রাজীব ফোন কেটে দেয়। পাশে বসতে বলে স্ত্রী সুজাতাকে ডাকেন রতন। চারপাশে এত মানুষের ভীড়ের মাঝে, আজ দুটি জীবন একাকিত্ব নিয়ে হাত ধরাধরি বসে আছে।

ঐতিহাসিক কথাসাহিত্য বাংলা ছোট গল্প - মৃত্যুপুরীর বিদ্রোহ : এই ঐতিহাসিক কথাসাহিত্য গল্পে 16শ শতাব্দীর বাংলার দাসদের বিদ্রোহের কাহিনী বলা হয়েছে। মুঘল সাম্রাজ্যের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন রাজা শ্যামল নামক একজন দাস। এই বাংলা ছোট গল্পে ঐতিহাসিক ঘটনা, কাল্পনিক চরিত্র এবং রোমাঞ্চকর কাহিনীর মিশেল রয়েছে। সম্পূর্ণ বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে এই লিংকটি ক্লিক করুন।

বয়স্কদের একাকীত্ব এখন ব্যাপক সমস্যা। এটা শুধু ব্যক্তিগত জীবনকেই প্রভাবিত করে না, স্বাস্থ্য খাতের খर्चও বাড়ায়। একাকী বয়স্কদের সমাজে সক্রিয় থাকা কঠিন হয় বলেই এমনটা হয়। তবে এই পরিস্থিতি বদলাতে খুব কমই বয়স্ক মানুষের পক্ষে হয়।

২০০৯-১০ সালে গ্রাজুয়েশন পাশ করে প্রায় ৪২ বছর আগে চাকরি শুরু করেছিলেন রতন। দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অবস্থা তখন অস্থির। রাজ্যজুড়ে, দেশজুড়ে পরিবর্তনের দাবি। রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবে মানুষ রাস্তায়। হাতে দলের ঝান্ডা নিয়ে চিৎকার, “শাসকের কালো হাত ভাঙো, চূর্ণ করো”। নিজেকে রাজনীতি থেকে দূরে রেখেছিলেন বলা ভুল হবে। কলেজ লাইফে সমাজ-অর্থনৈতিক পরিবর্তনের বাহক হিসেবে নিজেরও একটা রাজনৈতিক দলের সাথে পরোক্ষ যোগ ছিল। রতনের মনে ছিল প্রচুর উদ্যম, সেই উদ্যম নিয়েই চাকরির সন্ধানে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। প্রায় ৩-৪ মাস চেষ্টার পরে বেসরকারি খাতে চাকরি পান। বেতন ছিল ৪৫০০ টাকা। তরুণ রতন তখন ভবিষ্যতের জন্য জমানোর কথা কখনো ভাবেননি।

ক্যারিয়ারের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে রতনের বয়স। প্রভিডেন্ট ফান্ডের কয়েকটা টাকা মানেই জীবনে সঞ্চয়।

কল্পবিজ্ঞান-এর বাংলা ছোট গল্প - অসমাপ্ত যাত্রা : মহাকাশের রহস্য ও দুঃসাহসিক যাত্রায় ভরা বাংলা কল্পবিজ্ঞান ছোট গল্প - 'অবন্তী ও সোম' মধুচন্দ্রিমার সময় মহাকাশযান ধ্বংসের পর অবন্তী ও সোম জিওন গ্রহে আশ্রয় পায়। ত্রিক্ষণদর্শীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে পৃথিবী ও জিওনকে রক্ষা করে তারা। সম্পূর্ণ বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে এই লিংকটি ক্লিক করুন।

এভাবে ২০১৮ সালে সুজাতাকে বিয়ে করেন রতন। রতনের সাথে একই কোম্পানিতে কাজ করতেন সুজাতা। ২ বছর পর তাদের ছেলে হয়। সেই সময় দেশে কোভিড-১৯ মহামারী। চারপাশে মৃত্যু, দৈন্দিন জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁড়া। নবজাতক ছেলের লালন-পালন আর অন্যান্য পারিবারিক খরচ চালাতে প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে ১ লক্ষ টাকা বের করেন রতন। সেই সময়ই ভবিষ্যতের জন্য জমানোর গুরুত্ব বুজতে থাকে রতন।

কিন্তু ছেলের বিদেশযাত্রার স্বপ্ন পূরণের জন্য সব কিছুই তুচ্ছ মনে হয়। আজ ২০৪৩, রাজীব আজ বাবার কাছে এসে বলে, “বাবা, বিদেশে যাবার জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা লাগবে।” কথাটা শুনে রতনের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। ছেলে বিদেশে চাকরির জন্য অনেক চেষ্টা করেছে, সেটা রতন জানে। চাকরি থেকে ততদিনে রতন অবসরও হয়ে গেছেন। ছেলের ক্যারিয়ারের সাফল্যের জন্য, মনের আবেগ আর অনুভূতিকে দূরে সরিয়ে রাখতে হয়। সন্তানের ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে বাবা-মায়েরা যে ছেলের ভবিষ্যৎকেই অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়, সেটা রতন খুব ভালো করেই জানে। দেশের চাকরির অবস্থাও এখন খারাপ। দেশের মানুষ এখন ধর্ম বাঁচানোর নেশায় মিথ্যাচারের এক পাগলামি খেলায় লিপ্ত।

ভুতের বাংলা ছোট গল্প - ভয়ঙ্কর অতিথি : ভয়ের রাত, অন্ধকারের ডাক, অজানা ভয়ের কাছে ছুটে যাওয়া - "ভয়ঙ্কর অতিথি" এক ভুতুড়ে বাংলা ছোট গল্প যা আপনার হৃদস্পন্দন ত্বরান্বিত করবে। সম্পূর্ণ বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে এই লিংকটি ক্লিক করুন।

আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে নিজেকে নিঃস্ব করে কোনোভাবে টাকা জোগাড় করে ছেলের হাতে তুলে দেন রতন। বিদেশে যাওয়ার পর প্রথম ২-৩ বছর রাজীবের মাঝে মাঝে বাবা-মায়ের সাথে যোগাযোগ হত। তারপর ধীরে ধীরে যোগাযোগ কমে আসে। রতন আর সুজাতা ছেলের ফিরে আসার আশায় দিন কাটান। ২০৫১ সালের মাঝামাঝি, বয়সের কারণে রতন হয়তো খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। সুজাতা রাজীবকে ফোন করে সব জানান, ওপাশ থেকে আসে জবাব, “টাকা পাঠাচ্ছি, বাবাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাও। এখন আসতে পারব না। ছেলের পরীক্ষা আছে।”

আজ ২০৫২ সালের সন্ধ্যা। পাশাপাশি বসে আছে রতন আর সুজাতা। আজ তাদের কাছে শুধু পরস্পরের সঙ্গ ছাড়া কিছুই নেই। মানুষ আজ যন্ত্র হয়ে গেছে। কখন সে মেশিনের ক্রীতদাস হয়ে গেল, মানুষ নিজেই জানে না। আজ সব কিছুই স্বয়ংক্রিয়, শুধু মানুষই অচল হয়ে পড়েছে। মানুষের মধ্যে যোগাযোগ এখন তারের মাধ্যমে, নিরাসক্ত। জীবনের হিসাবে সহানুভূতি একেবারেই খুঁজে পাওয়া যায় না, শুধু টাকার হিসাবটাই ঠিক থাকে। আজ ভীড়ের মধ্যে একাকী পথ চলে মানুষ।

এই রকম চিত্তাকর্ষক বাংলা ছোট গল্প -এর আপডেট পেতে আমাদের WhatsApp চ্যানেল জয়েন করুন।

About The Author

নতুন বাংলা ছোট গল্প

আত্মার মুক্তি

এক ভুতের গল্পে সোহিনী আত্মার মুক্তির সন্ধানে অন্ধকার শক্তির সাথে লড়াই করে। এই বাংলা ছোট গল্পটি ভয়ের ছায়া এবং সাহসিকতার একটি নতুন দিগন্ত খুলে দেয়।

এক ভুতের গল্পে সোহিনী আত্মার মুক্তির সন্ধানে অন্ধকার শক্তির সাথে লড়াই করে। এই বাংলা ছোট গল্পটি ভয়ের ছায়া এবং সাহসিকতার একটি নতুন দিগন্ত খুলে দেয়।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: আত্মার মুক্তি

অমীমাংসিত রহস্য

অমীমাংসিত রহস্য নিয়ে এক অনন্য বাংলা ছোট গল্প, যেখানে অতীতের গোপন সত্য উন্মোচনে শ্রেয়ার যাত্রা রহস্য ও রোমাঞ্চে ভরা। রহস্য রোমাঞ্চ প্রেমীদের জন্য আদর্শ পাঠ।

অমীমাংসিত রহস্য নিয়ে এক অনন্য বাংলা ছোট গল্প, যেখানে অতীতের গোপন সত্য উন্মোচনে শ্রেয়ার যাত্রা রহস্য ও রোমাঞ্চে ভরা। রহস্য রোমাঞ্চ প্রেমীদের জন্য আদর্শ পাঠ।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: অমীমাংসিত রহস্য

অনুভূতির ঢেউ

"অনুভূতির ঢেউ" একটি হৃদয়স্পর্শী রোমান্টিক বাংলা ছোট গল্প, যেখানে নন্দিনী ও জয়ন্তের স্বপ্ন, সম্পর্ক এবং দূরত্বের মধ্যে গড়ে ওঠা ভালোবাসা সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যায় তাদের জীবন।

"অনুভূতির ঢেউ" একটি হৃদয়স্পর্শী রোমান্টিক বাংলা ছোট গল্প, যেখানে নন্দিনী ও জয়ন্তের স্বপ্ন, সম্পর্ক এবং দূরত্বের মধ্যে গড়ে ওঠা ভালোবাসা সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যায় তাদের জীবন।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: অনুভূতির ঢেউ

Leave a Comment

অনুলিপি নিষিদ্ধ!