মিস অর্পিতার পিছনে বহুদিন পরে ছিলাম। উরতি মডেল, ছিপছিপে, লোভনীয় শরীর, বিছানায় পাবার লোভটা ছিলো অনেক দিন। আজ সুযোগ পেলাম। ওর কথার মায়াবী মুগ্ধতায় লিফ্ট থেকে শুরু করে, স্নান ঘরে, এক পশলা আদরে ভিজিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু ফ্রেস হয়ে যখন ওর উতলা যৌবন নিয়ে সমুদ্র স্রোতের মতো ঝাঁপিয়ে পরলো আমার তখন, কিছু ছাক্কা পাঞ্জা পুট পরে সবে। শ্বাস প্রশ্বাস দুরত্ব থাকে হঠাৎই আমি নিজেকে সরিয়ে ফেললাম । ও কিছুটা হকচকিয়ে গেলো আমার মুড ফেরানোর চেষ্টা করলো কিছুটা। কিন্তু ওর চুলে আমার চেনা সেই মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েটা গন্ধ যাকে আমি আজো ভুলতে চেয়ে লড়াই করি প্রতি মুহূর্তে। আমি দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে গেলাম। শহরে চেনা রাস্তায়, হাঁটতে চাই কিছুক্ষণ।
আমিও গরীব ঘরের ছেলে। আজ হয়তো এলকোহলের পরিমাণ বেশি নেওয়া হয়েছে।
রুইমাছ কাটাপোনা
লাল জল
সব স্ট্যাটাসের সিম্বল,
দুঃখ থাকুক যতো মনে।
ভালো লাগে জীবনে
মাগুর মাছের ঝোল
যুবতীর কোল,
আর এলকোহল।
ঐতিহাসিক কথাসাহিত্য বাংলা ছোট গল্প - রক্ত ও কবিতা: ঐতিহাসিক কথাসাহিত্য গল্প। পলাশীর যুদ্ধক্ষেত্রে দুই শত্রু যোদ্ধার মধ্যে কবিতার লড়াই। বাংলা ছোট গল্পে ইতিহাস ও সাহিত্যের মেলবন্ধন। সম্পুর্ন্য বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে এই লিংকটি ক্লিক করুন।
আসলে বোধহয় মুড সুইং বলে কিছুই হয় না। ভালোবাসার অভাব হয়তো মুড সুইং এর কারণ।
মুড সুইং কী?
আমাদের সবারই বিভিন্ন কারণে মন খারাপ হয়ে থাকে। কিন্তু তা যদি বারবার ঘটে এবং কোনো কারণ ছাড়াই দীর্ঘক্ষণ মন খারাপ থাকে তাহলে তা একটু চিন্তারই বিষয়। কারণ কারণ ছাড়া ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন স্বাভাবিক কিছু নয়। এই সমস্যাটিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘মুড ডিজঅর্ডার’।
ডা. হেলাল আহমেদ বলেন, ‘সাধারণ আবেগ, যেটাকে আমরা বলি দুঃখবোধ বা আনন্দবোধ সেটা কিন্তু আমাদের মুড সুইং না। সেটি হলো ব্যক্তিগত ভালোলাগা-মন্দলাগা। মুড সুইং হচ্ছে মুড ডিজঅর্ডার রোগের অন্যতম লক্ষণ, যা ১৫ থেকে ২৯ বছর নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে। এছাড়াও মানসিক চাপ, অবসাদ বা হতাশা, অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, মদ্যপান, ঘুমের অভাব, বাইপোলার ডিসঅর্ডার, মেনোপজ ও পেরিমেনোপজ ইত্যাদি থেকেও মুড সুইং দেখা দিতে পারে।
আমি বছর দশেক হলো অর্থে মুখ দেখেছি। কিন্তু সুখে থাকা ভুলে গেছি। শুধু কমফোর্ট কিনেছি। ভালোবাসা কিনতে পারি নি। আমার হাসি মুখ দেখে ভেবেন না, আমি খুব উদার সহজ সরল। অভিজ্ঞ মহিলা মহলের অভিযোগ, আমি খুব জাজ-মেন্টাল , মিথ্যাবাদী, আর শরীর লোভী পুরুষ মানুষ।তাই কোনো দিন, কেউ আমার প্রিয়তমা হতে পারলো না। দায়িত্ব পালন আর দারিদ্র্যতা সাথে লড়তে লড়তে , ঘাম ভিজে শরীর, বৃষ্টি ভিজে সুযোগ হয়নি কারো সাথে।
সাদা ভাতের গন্ধ প্রিয় , সাথে গরম মুসুর ডাল, কিন্তু ইলিল মাছে প্রিয় ছিলো। রূপালী ইলিস কিনতে পয়সা জমাছি , ছোট ছোট চাহিদা গুলোর গলা টিপে। কিন্তু দুই পয়সা বাঁচিয়ে গোলাপ কিনে নিয়ে যাওয়া হয় নি কখনো প্রিয়তমার জন্য।
কল্পবিজ্ঞান-এর বাংলা ছোট গল্প - ভবিষ্যতের ছায়া: কল্পবিজ্ঞান গল্প এক বাড়িতে লুকিয়ে থাকা রহস্যের গল্প। অন্ধকার শক্তি, ভবিষ্যৎবাণী, এবং এক যুদ্ধের কাহিনী। বাংলা ছোট গল্পে এই রোমাঞ্চকর যাত্রায় যোগ দিন। সম্পুর্ন্য বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে এই লিংকটি ক্লিক করুন।
অভিযোগ তাঁর অনেক।বড্ড হিসাবী আমি । সে পদ্ম চাই আমি শাপলা আনি, কারণ ফুল নয় ওটা সব্জি হয়ে যাবে।
তার জন্য গোছাতে চেয়েছিলাম ভবিষ্যতে। দেখতে ভুলে গিয়েছি অগোছালো হয়ে গেছে আমাদের সম্পর্ক গুলো!
ছোট বেলায় রূপকথার গল্প পরতাম না কখনো, তাই স্বপ্ন দেখতে শিখিনি কখনো।রাতের জাগার অভ্যাস নেই এমনটা নয়, দুঃস্বপ্ন চোখের ঘুম উড়িয়েছে অনেক বার। তাই প্রিয়তমাকে জোছনা ভেজা শহর দেখতে পারি নি কখনো। আসলে চাঁদকে আমি ক্ষয়ে যেতে দেখেছি, পূনীমা কখন হয়েছে দেখাই হয় নি । তাই মহৎ প্রেমিক হতে পারলাম কৈ?
প্রিয়তমার শুধু শরীর ছুঁতে চেয়েছি , কারণ আমার ভালোলাগা আছে। ভালোবাসা নেই হয়তো। বা ভালো বাসা কিভাবে প্রমান করতে হয় সেটা শিখি নি।ঠোঁট,কোমর , পিঠ পেট ছুয়েতে চেয়েছিলাম বার বার, চেয়েছি প্রতিষ্ঠা করতে অধিকার কারণ প্রিয়তমা আমি বারবার বঞ্চিত হয়েছি। মালিক থেকে শাসক , সবাই ঠকিয়েছে আমাদের বারবার। ক্লান্ত মন খুঁজেছে আশ্রয়। কিন্তু পেয়েছি সব সময় ভয় ,তোমাকে হারানোর।
প্রিয়তমার অভিযোগ তাঁর কাজল হরিনী চোখ আমি কখনো দেখিনি। আচ্ছা প্রিয়া আমার চোখে দুঃশ্চিন্তার কালিমা কি তুমি দেখতে পেয়েছো কখনো??
তবে প্রিয়া তুমি আমায় একা করতে পারনি কখনো । তোমার দেওয়া কষ্ট গুলো আমার সাথে থাকে সব সময়। তোমার জন্য কবিতা লেখা হয়নি কখনো কারণ জীবন আমার গদ্যময়। তোমাকে সাজতে রূপার নুপুর দূরে থাক জুঁই ফুলের মালা কেন হয়নি কখনো। কিন্তু এক আকাশ ভালোবাসা ছিলো। দুঃশ্চিন্তার মেঘ সরিয়ে সেটা দেখনো হলো কোথায়?? আমার কেউ নেই এ অভিযোগ করে কাঁদার উপায় নেই আমার। কারণ পুরুষ মানুষের কষ্ট হতে নেই। অনেক দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছি, কিন্তু প্রিয়া তোমার চোখের জল ভরা মুখ বুকের মধ্যে লোকানোর সুযোগ কখনো। তাই আমি একা একা রাত জাগি তবে পূর্ণিমা অমাবস্যার পার্থক্যটা বুঝতে পারিনা কখনো, কারণ তুমি ছিলে আমার জোছনা, তোমাকে ছাড়া প্রিয়া সব অন্ধকার।
কিন্তু এ বোঝার ভাষা আমার ছিলো না, কিংবা সুযোগ হয়তো ছিলো না। আমার ঘামের গন্ধ তুমি তবু পেয়েছো অন্য নারী গন্ধ, আমার বেকুলতায় খুঁজে পেয়েছো শুধু এক ধর্ষককে। আমি পুরুষ আমার অভিযোগের অধিকার নেই। তাই আমার অভিমান তোমার কাছে শুধুই অবহেলা। আমার ভালোবাসা তোমার কাছে শুধুই শারিরীক চাহিদা,,,,
ভুতের বাংলা ছোট গল্প - রক্তিনী বাড়ির রহস্য: রক্তিনী বাড়ির ভয়াবহ রহস্য! এক মেয়ের জীবন এবং একটি শাপগ্রস্ত বাড়ির কাহিনী। বাংলা ভাষায় লেখা এই ভূতের গল্প আপনাকে ভয়ানকভাবে নাড়িয়ে দেবে। সম্পুর্ন্য বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে এই লিংকটি ক্লিক করুন।
আজ রাত আছে, কিন্তু আমার কাছে একটা তুমি নেই যে অনুভব করাবে, এই পৃথিবীটা শুধু আমাদের।
হঠাৎ কি মনে হলো ফুটপাতে শুতে ইচ্ছে করলো। মুম্বাই ফুটপাতে শুয়ে ছিলাম দশ বছর আগে । কি বিশাল আকাশ, কত বড়ো ঘর হয়ে আমার ফুটপাতে শুয়ে। ঘুমিয়ে পড়লাম নিশ্চিন্তে ছেড়েখোড়া জামা পড়া পাগল গোছের লোকটার পাশে।
হঠাৎ ঘুমটা ভেঙে গেলো। একটা ভয়ানক স্বপ্নে। আমার লাগেজ রেডি, মাকে প্রনাম করলাম। মা আমাকে ৫৪৩৩ টাকা হাতে তুলে দিলো আমার হাতে। একটা ছোট্ট ফর্দ। আমি বললাম ” টাকাটা আমাকে ফিরত দিচ্ছো কেন? এটুকু করা অধিকার কি আমার নেই।”
মা বললো ” না।তোর টাকা পয়সা আমরা কোন দিন চাই নি । চেয়েছিলাম তুই একটা সুস্থ জীবন যাপন কর। তোর বাবার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে পারলি না যখন। এটুকু না করলেও চলবে।” শীত তাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থেকে অভ্যাস।আজ ভয়ে ঘুম ভাঙ্গার পর দেখলাম ঘামে শরীরটা ভিজে গেছে। ভোরের ঠান্ডা বাতাসে যেনো মায়ের ছোঁয়া। মা আমি বাড়ি ফিরতে চাই মা। আমি সত্যি অসুস্থ। আমাকে একটু ঘুমাপাড়ি দেবে মা, ঐ কি একটা গান শুনতে যেনো। বাবা আমি সত্যি ঠিক মত হাঁটাহাঁটি করতে পারছি না। বেসামাল হয়ে গেছি। একটু আঙুল ধরে হাঁটতে শেখাবে আমাকে আবার নতুন করে।