এক গাঁয়ের প্রান্তে ছোট্ট মেয়ে রুমকি থাকতো তার দিদার সঙ্গে। প্রতি রাতে দিদা চাঁদের আলোয় গল্প বলতো। এক রাতে, রুমকি নিজের পুরনো পুতুলটার গা থেকে হঠাৎ আলো বেরোতে দেখলো! কি হলো পুতুলটার?
পুতুলটা চোখ মেলে বলল, “আমার নাম চন্দ্রবালা। আমি রাজকন্যা ছিলাম, কিন্তু এক রাক্ষস আমাকে পুতুলে রূপান্তর করেছিল।” রুমকির চোখ ছানাবড়া! সত্যি পুতুল কথা বলছে? রাক্ষসটা কে ছিল?
চন্দ্রবালা বলল, “আমার মুক্তির জন্য চাই এক নিঃস্বার্থ হৃদয়ের সাহায্য।” রুমকি জিজ্ঞাসা করলো, “আমি কী করতে পারি?” পুতুল বলল, “তুমি যদি চাঁদের পূর্ণ আলোয় আমায় নদীতে ভাসাও…” তবে কী হবে তখন?
“তবে আমার অভিশাপ ভেঙে যাবে,” বলল পুতুল। পরদিন পূর্ণিমা। রুমকি গভীর রাতে নদীর ধারে গেল। চারপাশে শুধু জোনাকি আর চাঁদের আলো। হঠাৎ কে যেন ফিসফিস করে উঠলো গাছের আড়াল থেকে! কে এল এই অন্ধকারে?
একটা কালো ছায়ামূর্তি—রাক্ষস! সে গর্জে উঠল, “চন্দ্রবালার মুক্তি আমি হতে দেবো না!” রুমকি ভয়ে কাঁপছিল, কিন্তু তারপর সে শক্ত করে পুতুলটা বুকে চেপে ধরলো। সে কী করবে এবার?
রুমকির চোখে ছিল ভালোবাসা ও সাহসের আলো। সে ধীরে নদীতে নামলো, পুতুলটা চাঁদের আলোয় জলে ভাসিয়ে দিল। হঠাৎ এক ঝলকে সব আলো ঝলসে উঠলো! রাক্ষস ধ্বংস হয়ে গেল! পুতুলটার কী হলো?
আলো থেমে গেলে, রুমকি দেখতে পেল নদীর মাঝে দাঁড়িয়ে এক রাজকন্যা—চন্দ্রবালা, মুক্ত! “তোমার হৃদয়ই আমার মুক্তি,” বলল সে। রুমকি হাসলো। সেদিন চাঁদের আলোয় সত্যিই এক গল্প জন্ম নিলো।