সন্ধ্যা ৭টা। কলকাতার গলিঘুঁজির মধ্যে পুরনো বাড়ি ‘চক্রবর্তী নিবাস’। তিথি তার ঠাকুমার ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে পায় এক রক্তমাখা চিঠি—লেখা, “আমি মরিনি... আমাকে খুন করা হয়েছে।”
তিথির ঠাকুমা মারা গিয়েছিলেন ঠিক এক বছর আগে—হার্ট অ্যাটাকে। কিন্তু চিঠির তারিখ? দু’দিন আগের! সে আঁতকে উঠে দেখে, চিঠির কাগজটা কাঁচা রক্তে লাল।
তিথি ছুটে যায় পুরনো ট্রাঙ্ক খুলতে। ভেতরে একটা ডায়েরি—ঠাকুমার হাতের লেখা। শেষ পাতায় লেখা, “যদি আমি মরে যাই, জানবে, এই বাড়িতে একজন নয়, দুজন খুনি আছে।”
ডায়েরির পাতায় উঠে আসে নাম—রঞ্জনা। ঠাকুমার দেখাশোনা করত যে দিদি, মৃত্যুর একমাস পরই নিখোঁজ! ডায়েরিতে লেখা, “রঞ্জনাই প্রথম জানত কার হাতে আমার মৃত্যু।”
তিথি পুলিসে না গিয়ে নিজেই খুঁজতে থাকে সূত্র। রান্নাঘরের টালি খুলতেই পড়ে এক পুরনো মোবাইল—ভেতরে ভিডিও, যেখানে দেখা যায় এক পুরুষ কণ্ঠ বলছে, “তাকে সরাতেই হতো, নয়তো আমিই মরতাম।”
তিথি কণ্ঠটা চিনতে পারে—ওটা ওর নিজের বাবা, সোমনাথ চক্রবর্তীর! ঠাকুমা নাকি বাবার ঘুষের প্রমাণ জেনে ফেলেছিলেন! তিথির বুক হিম হয়ে আসে।
শেষ দৃশ্য—তিথি পুলিসের সামনে বসে, হাতে সেই মোবাইল। চোখে জল, মুখে দৃঢ়তা। কণ্ঠস্বরে বলে, “রক্তের সম্পর্ক সব নয়... ন্যায়বিচার চাই।”