কালো সন্ধ্যা

পুরনো কলকাতার এক পুরাতন বাড়ি। এক সন্ধ্যায় সেই বাড়ির একাকী বৃদ্ধা, সুনীতা দেবীর ঘরে আসে এক অচেনা চিঠি। খামে লেখা— “শেষ সত্য লুকিয়ে আছে আয়নার পেছনে।” চিঠিটা কে পাঠালো?

সুনীতা দেবীর মৃত্যুর এক সপ্তাহ পরে, গোয়েন্দা অরিত্র ঘোষ ডাক পান। অদ্ভুতভাবে, বৃদ্ধার মৃত্যু স্বাভাবিক বলে ঘোষণা করা হলেও—ঘরে আয়নার পেছনে লুকিয়ে ছিল আরেকটা চিঠি। তাতে লেখা— “আমি খুন হয়েছি।”

ঘরজুড়ে পুরনো ধুলোমাখা আসবাব, নিঃসঙ্গতার গন্ধ। আয়নার ঠিক পেছনে খুঁজে পাওয়া যায় একটি ব্লেডে লেগে থাকা শুকনো রক্ত। অরিত্র সন্দেহ করেন—এটা আত্মহত্যা নয়। কিন্তু খুন করল কে? কেন?

সুনীতা দেবীর একমাত্র ভাইঝি, মল্লিকা, প্রতিদিন আসতেন। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনিই সব পেয়েছেন। কিন্তু প্রতিবেশীরা বলেন, তাঁদের মধ্যে ছিল ঠান্ডা যুদ্ধ। তবে কি মল্লিকাই খুনি?

মল্লিকার দেওয়া একটা পুরনো ফোটোর পিছনে অরিত্র পান নতুন সূত্র—সুনীতা দেবীর স্বামী নাকি হঠাৎ নিখোঁজ হয়েছিলেন বছর তিরিশ আগে। সেই ঘটনার তদন্তে উঠে আসে—একজন মানুষ ফিরেছেন ছদ্মবেশে। কে সেই ছায়ামানুষ?

পুরোনো ভৃত্য রামু জানায়, সাম্প্রতিককালে এক “পুরানো বন্ধু” আসতেন সুনীতা দেবীর কাছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়—মৃত স্বামীর মতো চেহারার এক লোক… তবে কি পুরনো প্রেম, প্রতারণা, আর প্রতিশোধের গল্পই এই হত্যার পেছনে?

অরিত্র অবশেষে খুঁজে পান সত্যি—সুনীতা দেবী নিজেই সাজিয়েছিলেন খুনের নাটক। শেষ চিঠিটায় ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অভিমান। একটা শেষ ইচ্ছা—“আমার গল্প যেন কেউ মনে রাখে।” তাঁর আয়নার পেছনে, রইল এক অসমাপ্ত গল্প।

অদৃশ্য উপস্থিতি