মায়ার রাত

গভীর এক গ্রাম, নাম চাঁনডুবি—যেখানে চাঁদের আলোয় নদী জাগে, আর গাছেরা গল্প ফিসফিসায়। এক রাতে ছোট্ট মেয়ে রূপা ঘুমোতে গিয়ে জানলার বাইরে এক চিঠি দেখতে পেল।

চিঠিতে লেখা— “রূপা, আমি চাঁদ। তোমার সাহায্য চাই।” রূপার চোখ গোল। চাঁদ চিঠি লেখে? সে জানে না, কিন্তু মন বলছে—এটা সত্যি।

রাত বাড়তেই রূপা ছাদে ওঠে। হঠাৎ মৃদু আলোয় চাঁদের মুখ! ক্লান্ত, কুয়াশার মতো গলানো। চাঁদ বলে, “এক রাজা আমার আলো চুরি করছে, যাতে তার রাজ্য অন্ধকারে না ঢাকা পড়ে।”

রূপা ভাবে, “আলো কারও একার নয়।” সে তৈরি করে আলোর লালন-ফুল, যা সত্যের শক্তিতে জ্বলে। পরদিন রাতে সে সেই ফুল পাঠায় চাঁদের সাথে, রাজ্যের পথে।

রাজার দরবারে আলো ফেটে পড়ে। ফুলে লেখা—“আলো ভাগ করে নাও, অন্যদেরও দিন।” রাজার চোখে জল। সে বুঝল, অন্ধকার কাউকে জিততে দেয় না।

সেই রাতেই চাঁদ হাসে—নরম, শান্ত আলোয়। সে রূপার জানলার কাছে আসে আবার, বলে, “তুমি সাহসী, তুমি আমার বন্ধু।” রূপার মনে খুশির ঢেউ।

তার পর থেকে, যতবার চাঁদ হাসে, রূপা জানে—তার আলো সবার। রূপার গল্প এখন গ্রামের রাতের ছড়ায় বাজে, “যে আলো দেয়, সে চিরকাল জ্বলে।”

অন্তহীন বিরহ