সন্ধ্যার আলো ম্লান, পুরোনো কলকাতার সেই ছোট্ট গলিতে এক ধোঁয়াশা মিশ্রিত খবর ছড়িয়ে পড়ল—অদ্ভুত এক খুনের ঘটনা ঘটেছে। মৃতদেহের পাশে পাওয়া গেল এক রহস্যময় নোট। কি লেখা ছিল? কি সত্য লুকিয়ে আছে?
ডিটেকটিভ রাহুল সেই নোটটা খুঁটিয়ে দেখল—“সত্য খুঁজতে গেলে নিজের ছায়াকেও সন্দেহ করো।” শব্দগুলো যেন আত্মা ছুঁয়ে গেল। প্রশ্ন ছিল, কে এমন ভীতি তৈরি করল? আর কি ভয়ঙ্কর সত্য লুকিয়ে?
রাহুল গ্রামের প্রান্তে পুরোনো মঠের দিকে হাঁটতে লাগল। রাতে মঠের দেয়ালে গোপন এক দরজার হালকা শব্দ শুনতে পেল। কি রহস্যের দরজা? কি কথা চেয়েছিল মৃত ব্যক্তির নোটের লেখক?
মঠের ভেতর ঢুকেই রাহুল দেখতে পেল একটি গুপ্ত কক্ষ। সেখানে ছিল বহু পুরোনো চিঠি আর এক মায়াবী ছবি—যার চোখ যেন কোন ভুল কথা বলতে নারাজ। এই ছবি কি খুনের গোপন সূত্র?
রাহুল চিঠিগুলো খুঁটিয়ে পড়তে লাগল। প্রতিটি চিঠিতে ছিল প্রণয়, বিশ্বাসঘাতকতা আর প্রাচীন ঘৃণার গল্প। আর সেই ছবির মুখে লুকিয়ে ছিল কি, যা জীবন বদলে দিতে পারে?
হঠাৎ, কক্ষের দরজা জোরে বন্ধ হয়ে গেল। অন্ধকারে রাহুল অনুভব করল, কেউ তার প্রতি নিশানা ঠিক করেছে। কি হয়েছিল, সে কি বের হতে পারবে? নাকি এই রহস্যই হবে তার শেষ?
পরের দিন সকালে পুলিশ এসে মঠ থেকে এক অবাক করা সত্য উদঘাটন করল—খুন আর বিশ্বাসঘাতকতার পেছনে ছিল একজন খুব কাছের মানুষের হাত। সত্যটা জানলে হৃদয় ভেঙে যাবে... তবে, রহস্যের চাবি এখন রাহুলের হাতে।