রক্ত রহস্য

শীতের রাত। কলকাতার এক পুরনো বনেদি বাড়ি। হঠাৎ করেই নিখোঁজ হল শিল্পী অরুণ বসু। টেবিলে পড়ে আছে একখানা ছেঁড়া স্কেচ—রক্তে লাল। স্ত্রী রোহিণীর চোখে আতঙ্ক… আর কিছু না।

রোহিণী ফোন করে পরিচিত প্রাইভেট ডিটেকটিভ সৌরভকে। সৌরভ রাতেই চলে আসে। খাটের তলায় খুঁজে পায় এক টুকরো পুরোনো নোট—"তাকে খুঁজে বের করো, নয়তো আমি হারিয়ে যাবো।"

বাড়ির ভেতর পুরোনো একটা গুদামঘর। দরজা বন্ধ, ধুলোমাখা। সৌরভ আলো জ্বালাতেই দেয়ালে আঁকা ছবি—এক নারীর মুখ, আর নিচে লেখা: “নন্দিনী, ১৯৭৫”। রোহিণী আঁতকে ওঠে।

রোহিণীর ঠাকুরমার নাম ছিল নন্দিনী। সেই বছরেই নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। সৌরভ সন্দেহ করে—এই নিখোঁজ দুটি ঘটনা কি জুড়ে আছে? তার চোখ পড়ে ঘরের কোণে রাখা একটি ধাতব বাক্সে।

বাক্স খুলতেই এক পুরোনো ডায়েরি আর একটি ছুরি। ডায়েরির পাতায় লেখা—“রক্ত দিয়ে আমি নন্দিনীকে রক্ষা করেছিলাম।” অরুণ কি সত্যিই নিখোঁজ? নাকি সে নিজেই নাটক সাজিয়েছে?

ডায়েরির শেষ পাতায় একটি স্কেচ—রোহিণীর মুখ। আর নিচে লেখা: “নন্দিনীর রক্ত তার ধমনীতে বইছে। তাকে আমি আর হারাতে পারব না।” সৌরভ বুঝে যায়—অরুণের খোঁজ অন্যখানেই।

ছাদে উঠে সৌরভ দেখতে পায় অরুণ বসে আছে—মাথা নিচু করে। কাঁদছে। “আমি জানি, কেউ ওকে আবার নিয়ে যেতে আসবে… আমি প্রস্তুত ছিলাম না।” অন্ধকারে দূরে হেঁটে যাচ্ছে এক নারী… ছায়া যেন নন্দিনীর।

সাদা শাড়ি