কলকাতার হাওড়া স্টেশন, রাত ১১টা। শেষ ট্রেন ছাড়ার ঠিক আগে একজন কাঁপা কণ্ঠে বলল, “দাদা, উনি আর ফিরবেন না!” সাদা শাড়ির নারীটি চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। কে এই ‘উনি’?
প্রবীণ গোয়েন্দা অনিরুদ্ধ বসু তখন পাশেই চা খাচ্ছিলেন। অচেনা ভঙ্গিতে কথা বলায়, তিনি নজর দিলেন। চোখে ছিল ভয়ের ছাপ, মুখে গোপন যন্ত্রণার ছায়া। ট্রেনের বাঁশি বেজে উঠল।
“আপনি কি কাউকে খুঁজছেন?” জিজ্ঞেস করলেন অনিরুদ্ধ। মহিলা ফিসফিস করে বললেন, “আমার স্বামী... প্রতিদিন এই ট্রেনেই ফেরেন, কিন্তু আজ উনি এলেন না।” কিন্তু, শেষ ট্রেন তো পাঁচ মিনিট আগেই চলে গেছে!
অনিরুদ্ধ প্ল্যাটফর্ম ঘুরে ঘুরে খোঁজ নিলেন। ট্রেনের গার্ড বললেন, “আজ একটা যাত্রী মাঝপথেই নেমে পড়েছে, অদ্ভুত লাগছিল।” হঠাৎ, ট্রেনের এক কামরায় রক্তের দাগ দেখা গেল!
রক্তের ধারা নিচে গড়িয়ে পড়ছিল, যেন কে যেন দ্রুত কোথাও টেনে নিয়ে গেছে। অনিরুদ্ধ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের খবর দিলেন। সেই মুহূর্তেই ভিড়ের মধ্যে সেই সাদা শাড়ির মহিলাটিকে দেখা গেল না!
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেল, মহিলা এক পুরনো ট্রেনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন, যেটা দশ বছর আগে বাতিল হয়ে গেছে! পুলিশ বলল, “ওই ট্রেনে তো কেউ ওঠে না!” তাহলে তিনি কোথায় গেলেন?
গোয়েন্দা অনিরুদ্ধ বললেন, “এই কেসটা শুধু খুন নয়… এটা সময়ের অলিখিত খেলা।” পরদিন খবরের কাগজে শিরোনাম — “হাওড়া স্টেশনে পুরনো ট্রেনে রহস্যময় আত্মহত্যা, মৃত স্বামী খুঁজতে এসেছিল স্ত্রী — দশ বছর পর।”