ট্রেনের সিঁড়িতে পা রাখার আগে শিউলি থেমে গেল। অরণ্য পকেট থেকে বের করল কুঁচকে থাকা একটা খামে মোড়া কবিতা— তাতে লেখা ছিল, “তোমাকে হারিয়ে যদি তুমি নিজেকে পাও, তবে হেরে গিয়েও জিতে যাব।”
পূজোর পরে বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু শিউলি হঠাৎ বদলি চিঠি পেল দিল্লি হাসপাতালে। অরণ্য বলেছিল, “আমার স্বপ্নটা তুমি ছাড়া পূর্ণ হয় না।” শিউলি মাথা ঘুরিয়ে বলেছিল, “তোমার স্বপ্নে আমি যদি ছায়া হই?”
প্ল্যাটফর্মের আলো ম্লান হয়ে আসছিল। শেষ ট্রেনের যাত্রী শিউলি। ট্রেন ছাড়বে আর মিনিট পাঁচেক। অরণ্য বলল, “তুমি গেলে আমি বুঝব না, ভালোবাসা মানে একা থাকার ভয় নাকি যেতে দেওয়া?”
ট্রেনের সিঁড়িতে পা রাখার আগে শিউলি থেমে গেল। অরণ্য পকেট থেকে বের করল কুঁচকে থাকা একটা খামে মোড়া কবিতা— তাতে লেখা ছিল, “তোমাকে হারিয়ে যদি তুমি নিজেকে পাও, তবে হেরে গিয়েও জিতে যাব।”
ট্রেন চলতে শুরু করল। জানালার ধারে বসে শিউলি চোখ নামাল। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে অরণ্য কাঁপা ঠোঁটে একটা মৃদু হাসি দিল। শিউলি জানালার কাঁচে মাথা ঠেকিয়ে চুপচাপ বলল, “তুমি জানো না, আমারও কিছু মরছে আজ।”
দশ বছর কেটে গেছে। অরণ্য এখন কবি। প্রতিটি লাইনে শিউলির ছায়া। আজও স্টেশনটা যেতে হলে থমকে দাঁড়ায়। ভাবে, "সে কি ভালো আছে?" হঠাৎ মেসেঞ্জারে একটা অচেনা নাম— “শিউলি সেনগুপ্ত।”
তাকে ইনবক্সে লেখা ছিল একটাই লাইন— "ভালো থেকো - যতটা ভালো থাকার জন্য আমাকে ছেড়ে গিয়েছো!"
নতুন নতুন মনমুগ্ধকর বাংলা ছোট গল্পের আপডেট পেতে আমাদের WhatsApp চ্যানেল জয়েন করুন.