এক সাদামাটা দুপুরে, শেফালি তার পুরনো বাড়ির জানালার পাশে বসে, অশ্রুসিক্ত চোখে দূরে তাকিয়ে ছিল। তার পাশে ছিল এক পুরনো ফটোগ্রাফ—তবে কীভাবে, সে জানত না, কেন যেন মন শান্ত হচ্ছিল না। তার মনে অদৃশ্য কিছু কাঁপছিল।
ভাস্কর, তার প্রিয়, এক সময় কথা দিয়েছিল, "যতই সময় পাস করুক, আমি তোমার পাশে থাকব।" কিন্তু দিন গড়াতে গড়াতে সে যেন অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। শেফালি তার ফোনটা দেখছিল, তার শেষ মেসেজটা—"ভালোবাসি, তুমি কি জানো?"
আজও, সেই মেসেজগুলোর মধ্যে কিছুটা চিরকালীন কিছু ছিল। কিন্তু কেন ভাস্কর চলে গেল, সে প্রশ্নের উত্তর শেফালির কাছে ছিল না। একদিন সে আর ফিরে আসবে না, কী জানি! কিন্তু শেফালি জানতো, কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয় না।
শেফালি একদিন এক পুরনো ছবি খুঁজে পায়। ছবির পেছনে লেখা ছিল—"এত বছর পরে, দেখা হবে।" অন্ধকারে, সেই ছবি যেন কিছুটা রহস্যময় হয়ে ওঠে। "তবে কি আসলেই আবার দেখা হবে?" প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছিল।
ওর মন থেমে ছিল, যদিও এক অজানা আশায় বেঁচে ছিল। হঠাৎ একদিন শেফালি একটি চিঠি পায়। পায়ে হেঁটে যখন চিঠিটা খুলে পড়তে থাকে, তার ভেতরেও যেন এক ভিন্ন ধ্বনি ছিল—"ভাস্কর ফিরবে?" মনে প্রশ্ন জেগে ওঠে।
চিঠির শেষে একটি অদ্ভুত তথ্য—"তুমি জানো না, আমি কোথায় আছি, কিন্তু তুমি জানো, তুমি কখনও আমাকে ভুলতে পারবে না।" শেফালির চোখে জল, হৃদয়ে এক ক্ষত—সে কি সত্যিই আবার তাকে পাবে? না, শেষ হয়ে যাবে সব?
আজও শেফালি বসে থাকে, পুরনো ছবি, চিঠি, এবং তার স্মৃতি নিয়ে। একটি দিন, মনে হয় কিছু আসবে। কিন্তু না, কিছুই আসেনি। "তুমি চলে গেলে, কিন্তু তোমার স্মৃতিগুলো আজও আমার সাথে ঘুমায়।"