তিয়ারার জাদুর ঝাঁপি

এক জঙ্গলের কোণে, পাপড়ি নদীর ধারে থাকত ছোট্ট পরী তিয়ারা। ওর ছিল এক ছোট্ট ঝাঁপি, যা কেবল রাত হলেই আলো দিত। কিন্তু সেই আলো একদিন হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায়।

তিয়ারা ব্যাকুল হয়ে খুঁজতে থাকে ঝাঁপির আলো। রাতের অন্ধকারে পথ দেখা মুশকিল, কিন্তু সে জানে—এই আলো ছাড়া জঙ্গল ঘুমোতে পারে না। আলো ছিল জাদুর, যা স্বপ্ন এনে দিত।

হঠাৎ তার সামনে হাজির হয় বাঘ মামা, গম্ভীর গলায় বলে, “তোমার আলো আমি দেখেছি, এক ছায়ামানব নিয়ে গেছে রাতের পাহাড়ে।” তিয়ারার চোখ বড় বড়, “আমি তো একাই যাব!”

রাতের পাহাড়ে পা রেখেই তিয়ারা শুনল মৃদু গুঞ্জন। এক গুহায় ছায়ামানব জাদুর আলো নিয়ে বসে আছে। কিন্তু আশ্চর্য! সে কাঁদছে। তার স্বপ্নে আলো ঢুকছে না!

তিয়ারা ধীরে এগিয়ে গিয়ে বলল, “আলো কেবল তখনই জ্বলে, যখন মনে থাকে ভালোবাসা।” ছায়ামানব একটু হাসল, আর তখনই ঝাঁপির আলো আবার ঝলমল করে উঠল!

আলো নিয়ে তিয়ারা ফিরে এল পাপড়ি নদীর ধারে। পুরো জঙ্গল আলোকিত, পাখিরা ঘুমোতে পারছে, গাছেরা শান্ত। সবাই খুশি, কারণ তিয়ারার সাহস আর ভালোবাসায় ঘুম ফিরল জঙ্গলে।

সেই রাত থেকে তিয়ারার ঝাঁপি শুধু আলো নয়, স্বপ্নও ছড়ায়। শিশুরা ঘুমোতে যাওয়ার আগে বলত, “তিয়ারার আলো যেন আমাদের স্বপ্নেও আসে।” আর এভাবেই গল্প শেষ, আবার নতুন স্বপ্নের শুরু।

চিঠির শেষ লাইন