ভূতুড়ে গ্রাম বাড়ি

গোলাপী সন্ধ্যা, গ্রামের পথ ধরে চলে আসছে মিতা। তার পা থমকে যায় এক পুরনো বাড়ির সামনে। দীর্ঘ বছর পর এখানে ফিরে এসেছে সে। তবে বাড়ির মধ্যে কী আছে, তা জানে না। মনে হয় কিছু অজানা ভয় লুকিয়ে আছে।

মিতা জানত, বাড়িটা ভয়ানক ছিল। তার মা বলতেন, “এই বাড়ির গন্ধে আত্মা রয়েছে।” সে হাসত, কিন্তু আজ মনে হয়, সত্যিই কিছু একটা এখানে রয়েছে। দরজা খুলে গেলে এক অদ্ভুত ঠান্ডা বাতাস তার মুখে লেগে যায়।

ভেতরে ঢুকতেই একটি ম্লান আলো তার চোখে পড়ে। চারপাশে পুরনো আসবাবপত্র, মেঝেতে ছড়িয়ে পড়া ধুলো—সব কিছুই নীরব। তবে কেমন যেন অস্বস্তি। সে কেন ফিরেছিল এখানে? পেছন থেকে হঠাৎ একটি খালির শব্দ শোনে মিতা।

মিতা ভয় পেয়ে পিছনে তাকায়, কিন্তু কিছু নেই। ধীরে ধীরে হেঁটে যেতে থাকে। হঠাৎ, সিঁড়ি থেকে নিচে কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে সে থমকে দাঁড়িয়ে যায়। ঘরটায় এখন কিছু অদ্ভুত উপস্থিতি অনুভব হয়, যেন কেউ তাকে পর্যবেক্ষণ করছে।

এক কোণার আয়নায় এক অজানা মুখের প্রতিবিম্ব দেখা যায়, কিন্তু মিতা ঘুরে তাকাতেই কিছুই নেই। সে বুঝতে পারে—বাড়ি শুধু পুরনো নয়, এখানে এক অন্ধকার অতীত লুকিয়ে আছে। সেখানকার প্রতিটি দেওয়াল যেন তার গোপন কথাগুলো জানে।

সে হঠাৎ একটি পুরনো ছবি দেখে। মা, বাবা, আর তার ছোটবেলার ছবি। কিন্তু কিছু অদ্ভুতভাবে ভুল, কিছু বিচিত্র। তার মা কেন এভাবে হাসছিল? তার চোখে এক ভয়াল দৃষ্টি, যেন সে জানত, এই বাড়ির ইতিহাস রক্তে সিক্ত।

হঠাৎ ঘরের দরজা ভেঙে খুলে যায়, একটি পুরনো শব্দ শোনা যায়—একটি করুণ কাঁদুনির আওয়াজ। মিতা থমকে যায়, তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে এক অদ্ভুত সিলুয়েট। তার চোখে এক চরম রহস্য। কেন ফিরেছিল সে? কেন এই ভয়?

চুড়ির শব্দ