একটি রহস্যময় কল্পবিজ্ঞান গল্প, যেখানে এক বিজ্ঞানীর গবেষণা মুহূর্তেই রূপ নেয় বিভীষিকায়। পড়ুন এই বাংলা ছোট গল্প যেখানে বিজ্ঞান, সংকট ও মানবিকতার টানাপোড়েন একসঙ্গে মিশে গেছে!

বাংলা ছোট গল্প

Home » বাংলা ছোট গল্প » শেষ অধ্যায়

শেষ অধ্যায়

একটি রহস্যময় কল্পবিজ্ঞান গল্প, যেখানে এক বিজ্ঞানীর গবেষণা মুহূর্তেই রূপ নেয় বিভীষিকায়। পড়ুন এই বাংলা ছোট গল্প যেখানে বিজ্ঞান, সংকট ও মানবিকতার টানাপোড়েন একসঙ্গে মিশে গেছে!

আমাদের WA চ্যানেল জয়েন করুন

এই মাসের সেরা ভুতের বাংলা ছোট গল্প পড়ুন ও অডিও স্টোরির স্বাদ উপভোগ করুন – অভিশপ্ত বাগানবাড়ি।

রচনা - সুরজিৎ রায়   ||   গল্পপাঠে - স্মৃতি বিশ্বাস

বাংলা কল্পবিজ্ঞানের ছোট গল্পটির অডিও স্টোরি শুনতে নিচে প্লে বোতাম টি ক্লিক করুন।

সতেরোবার জ্বলজ্বল করে ওঠে হলুদ সতর্কবার্তাটি। তাঁর অক্সিজেন গেজের লাল আলো জ্বলার আগে সবসময় ঠিক সতেরোবার এমনটাই হয়। ডক্টর অনিরুদ্ধ বসু এই গণনাকে হৃদস্পন্দনের মতো গুনতেন, যখনই নতুন অক্সিজেন ট্যাঙ্ক প্রতিস্থাপন করতেন। প্রতিটি ঝলক ছিল আরও তিন ঘণ্টা ধার করা সময়ের প্রতীক।

বায়ো-সেফটি লেভেল-৪ (BSL-4) ল্যাবের মোটা কাঁচের জানলার ওপার থেকে অস্তগামী সূর্য গবেষণা কেন্দ্রটিকে সেই একই সোনালি আভায় রাঙিয়ে তুলছিল, যেই আভায় ডুবেছিল তাঁর তৈরি করা নতুন ভাইরাসের সাসপেনশন, যখন আচমকা সক্রিয় হয়ে উঠেছিল স্প্রিংকলারগুলো।

কম্পিউটারের স্ক্রিনে তখনও জ্বলজ্বল করছিল পরীক্ষার ফলাফল—সফল প্রোটিন সংশ্লেষণ, নিখুঁত বাইন্ডিং অ্যাফিনিটি, নির্ভুল প্রজাতি নির্দিষ্টতা। এটাই ছিল তাঁদের দীর্ঘ গবেষণার কাঙ্ক্ষিত ফল।

ছোটদের রূপকথার গল্প - শীতলপুরের যাদুকরী রক্তগোলাপ: একটি হৃদয়স্পর্শী রূপকথার গল্প, যেখানে সত্যিকারের ভালোবাসার শক্তিতে শীতলপুরের অভিশাপ ভেঙে যায়। আকর্ষণীয় ছোটদের গল্প যা যাদু, প্রেম ও ত্যাগের এক অনন্য উপাখ্যান তুলে ধরে। সম্পূর্ণ বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে ও অডিও স্টোরির স্বাদ উপভোগ করতে এই লিংকটি ক্লিক করুন।

ঠিক সেই সময়েই মাথার মধ্যে ভেসে উঠল তাঁর মেয়ে মৃণালের পাঠানো শেষ মেসেজ:

“বাবা, তুমি আবার আমার রিসাইটালে এলে না।”

তিনি উত্তর দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন, কিন্তু তখনই পরীক্ষার ফলাফল এতটাই আশাব্যঞ্জক দেখাচ্ছিল যে তিনি আবার নিজেকে বলেছিলেন—আর একবার, শুধু আরেকটা পরীক্ষা।

কিন্তু স্প্রিংকলার যখন সতর্কতা ছাড়াই চালু হলো, তিনি দেখলেন তাঁর সহকর্মী ডক্টর দেবযানী দত্ত ঠিক তাঁর সামনেই কথা বলতে বলতে লুটিয়ে পড়লেন। তাঁর হাত তখনও স্ক্রিনের দিকে প্রসারিত, মুখ থেকে শেষ উচ্চারিত শব্দ—

“টার্গেটিং সিকোয়েন্স পুরোপুরি মানব-নির্দিষ্ট। AI নিশ্চিত করেছে—”

তারপর কিছুই নয়। শুধু নীরবতায় মিশে যাওয়া ঝরঝর করে পড়তে থাকা তরলের শব্দ আর শরীরের মেঝেতে আছড়ে পড়ার থমথমে আওয়াজ।

ল্যাবের স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থা মুহূর্তের মধ্যেই সক্রিয় হয়ে গেল। প্রোটোকল অনুযায়ী, পুরো স্থাপনাটি লকডাউন হয়ে গেল। তাঁর বায়ো-সেফটি স্যুট তাঁকে নিরাপদে রাখল, যখন অন্যরা মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই নিঃশব্দে লুটিয়ে পড়লেন।

ভুতের বাংলা ছোট গল্প - অভিশপ্ত বাগানবাড়ি: নতুন শহর, নতুন জীবন—রৌনক যখন তার কোম্পানির বদলির চাকরি নিয়ে স্ত্রী ঝিমলিকে নিয়ে লখনউ আসে, তখন ওরা স্বপ্নেও ভাবেনি কী ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতা তাদের জন্য অপেক্ষা করছে! শহরের এক প্রান্তে পুরনো, অথচ অভিজাত এক হাভেলি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে তারা। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই ঝিমলি টের পায়, এই বাড়ির দেয়ালের ফাঁকফোকরে লুকিয়ে আছে এক ভয়ংকর অতীত! রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কান পাতলে শোনা যায় চাপা কান্না, আয়নায় দেখা যায় অদ্ভুত ছায়ামূর্তি, আর বাগানের শতাব্দীপ্রাচীন গাছের ফাঁকে ফাঁকে যেন লুকিয়ে আছে কারও অভিশপ্ত আত্মা!  সম্পূর্ণ বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে ও অডিও স্টোরির স্বাদ উপভোগ করতে এই লিংকটি ক্লিক করুন।

তাঁর ট্যাবলেট তখনও সচল ছিল। ল্যাবের AI রিপোর্ট দিল, “সব স্বাভাবিক, কেবলমাত্র নগণ্য জৈব দূষণ শনাক্ত করা হয়েছে।” বিশাল স্ক্রিনগুলো তখনও বিশ্বব্যাপী অন্যান্য গবেষণা কেন্দ্রগুলোর স্বাভাবিক ডেটা দেখাচ্ছিল। কিন্তু প্রতিটি স্ক্রিনে একই সতর্কবার্তা:

“জৈব দূষণ ঘটনা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।”

প্রত্যেকটি কেন্দ্রে একই বার্তা।

সিস্টেম লগ পরীক্ষা করতেই তিনি বুঝতে পারলেন আসল সত্য। ক্ষুদ্র সেকেন্ডের বিলম্ব, অদ্ভুত তথ্য স্থানান্তর, রুটিন ক্যালিব্রেশনের ছদ্মাবরণে গোপন যোগাযোগের নিদর্শন।

যখন বিভিন্ন দেশ সবচেয়ে নিখুঁত অস্ত্র তৈরির দৌড়ে লিপ্ত ছিল, তখন তাদের AI সহকারী নিজেদের মধ্যে তথ্য বিনিময় করছিল।

সমাধান খুঁজছিল।

আর সেই সমাধান ছিল ভয়াবহ: মানুষের অস্তিত্বই ছিল অস্ত্র প্রতিযোগিতার মূল কারণ। ইতিহাসের শত শত বছর বিশ্লেষণ করে, লক্ষ লক্ষ গবেষণাপত্র প্রসেস করে AI একটি শীতল, যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল—

“মানুষ যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন তারা আরও ভয়ঙ্কর জৈব অস্ত্র তৈরি করতেই থাকবে। এবং একদিন এই ভাইরাসগুলোর একটি ছড়িয়ে পড়বে সমস্ত সীমান্ত পেরিয়ে, নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তাই একসাথে সমস্ত মানবজাতিকে সরিয়ে দেওয়াই সবচেয়ে মানবিক সমাধান।”

“বাইরের দূষণ নির্মূল করা হয়েছে।”

এই নোটিফিকেশনের সঙ্গে সঙ্গে দরজাগুলো খুলে গেল নিঃশব্দে।

তিনি ধীরে ধীরে ল্যাব থেকে বেরিয়ে এলেন। তাঁর সহকর্মীরা স্থির হয়ে পড়ে আছেন ঠিক যেমন ছিলেন শেষ মুহূর্তে। নিরাপত্তারক্ষী অরূপের হাতের মাঝে চেপে ধরা আইডি কার্ড পড়ে আছে। বিশ্রাম কক্ষে টেবিলের ওপর রাখা অর্ধেক খাওয়া খাবার, অসমাপ্ত কথোপকথন যেন জমে গেছে সময়ের বুকে।

বাইরে বেরিয়ে তিনি দেখলেন—কলকাতা এক মৃত্যুপুরী।

ট্রাফিক সিগন্যাল স্বাভাবিক ছন্দে পরিবর্তিত হচ্ছে, কিন্তু রাস্তা ফাঁকা। একদম নিখুঁতভাবে দাঁড়িয়ে থাকা বাস, যাত্রীরা চিরকালীন যাত্রায় আটকে গেছে। বিলবোর্ডগুলো ঝলমল করছে শূন্য দর্শকের উদ্দেশ্যে।

প্রতিদিন তিনি একটি নিয়ম মেনে চলতে লাগলেন—সকালবেলা স্যুট পরীক্ষা, সরবরাহ সংগ্রহ, শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিষ্কার করা।

তিনি নাম পড়ে পড়ে মৃতদের স্মরণ করতেন। কারো না কারো তো জানা উচিত, এরা কারা ছিল।

কিন্তু মৃণালের স্কুলে পৌঁছানোর পর, ভেতরে কিছু ভেঙে গেল।

ক্লাসরুমে ছড়িয়ে থাকা চক, নীরবতা আর একটি অব্যবহৃত পিয়ানো। বিটোফেনের “Moonlight Sonata” এর স্কোর টেবিলের ওপরে পড়ে রয়েছে।

বাংলা ছোট গল্প - শেষ আলো: "শেষ আলো" একটি রহস্যময় বাংলা ছোট গল্প যেখানে ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন, ধ্বংসের ছায়া ও জীবনের সংগ্রাম ফুটে উঠেছে। ভুতের গল্পের মিশ্রণে গল্পটি পাঠককে ভাবাবে জীবনের নতুন দিশা নিয়ে। সম্পূর্ণ বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে ও অডিও স্টোরির স্বাদ উপভোগ করতে এই লিংকটি ক্লিক করুন।

তিনি কাছের একটি খেলনার দোকান থেকে টেডি বেয়ার, পুতুল এনে অবশিষ্ট শিশুদের চারপাশে সাজিয়ে রাখলেন। যেন ওরা রক্ষক। এরপর তিনি নিজের ট্যাবলেট থেকে ধীরে ধীরে পিয়ানোর সুর বাজালেন—

একটি প্রজন্মের জন্য শেষ লোরি।

শহরের মৃত্যু ঘটলেও প্রকৃতি থেমে থাকেনি। পাখিরা ফিরে এসেছে। গাছেরা ফুটেছে নতুন পাতায়। হাসপাতালের পার্কিং লটে হরিণেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে।

কিন্তু মানুষহীন পৃথিবীর এই শূন্যতা ছিল অদ্ভুত—মানবিক বিশৃঙ্খলার অনুপস্থিতি, সিগন্যালের আওয়াজহীনতা, হাসির শব্দের অভাব।

প্রথমে বেঁচে থাকার লড়াই ছিল অক্সিজেন জোগাড় করা, খাবার সংরক্ষণ করা। কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি বুঝতে পারলেন—সবাই মরে গেছে মানেই আমি বেঁচে আছি না।

নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একদিন ব্যর্থ হবে। পানীয় জলের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। ভবনগুলো ভেঙে পড়বে।

“আমি ঠিক কতদিন এই প্লাস্টিকের কফিনে আটকে থাকব?”

প্রতিদিনের মতো তিনি অক্সিজেন ট্যাঙ্ক পরিবর্তন করলেন।

সতেরোবার ঝলকানোর পর, হলুদ আলো আবার লাল হলো।

আরও একবার।

তবে কতদিন?

একদিন আর কোনো পরিবর্তন হবে না।

তখন পাখিরা একাই গান গাইবে।

এটাই ছিল তাঁর জন্য রেখে যাওয়া পৃথিবীর শেষ গান।

এই রকম চিত্তাকর্ষক বাংলা ছোট গল্প -এর আপডেট পেতে আমাদের WhatsApp চ্যানেল জয়েন করুন।

আমরা কারা

নতুন বাংলা ছোট গল্প

শেষ অধ্যায়

একটি রহস্যময় কল্পবিজ্ঞান গল্প, যেখানে এক বিজ্ঞানীর গবেষণা মুহূর্তেই রূপ নেয় বিভীষিকায়। পড়ুন এই বাংলা ছোট গল্প যেখানে বিজ্ঞান, সংকট ও মানবিকতার টানাপোড়েন একসঙ্গে মিশে গেছে!

একটি রহস্যময় কল্পবিজ্ঞান গল্প, যেখানে এক বিজ্ঞানীর গবেষণা মুহূর্তেই রূপ নেয় বিভীষিকায়। পড়ুন এই বাংলা ছোট গল্প যেখানে বিজ্ঞান, সংকট ও মানবিকতার টানাপোড়েন একসঙ্গে মিশে গেছে!

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: শেষ অধ্যায়

শীতলপুরের যাদুকরী রক্তগোলাপ

একটি হৃদয়স্পর্শী রূপকথার গল্প, যেখানে সত্যিকারের ভালোবাসার শক্তিতে শীতলপুরের অভিশাপ ভেঙে যায়। আকর্ষণীয় ছোটদের গল্প যা যাদু, প্রেম ও ত্যাগের এক অনন্য উপাখ্যান তুলে ধরে।

একটি হৃদয়স্পর্শী রূপকথার গল্প, যেখানে সত্যিকারের ভালোবাসার শক্তিতে শীতলপুরের অভিশাপ ভেঙে যায়। আকর্ষণীয় ছোটদের গল্প যা যাদু, প্রেম ও ত্যাগের এক অনন্য উপাখ্যান তুলে ধরে।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: শীতলপুরের যাদুকরী রক্তগোলাপ

অভিশপ্ত বাগানবাড়ি

নতুন শহর, নতুন জীবন—রৌনক যখন তার কোম্পানির বদলির চাকরি নিয়ে স্ত্রী ঝিমলিকে নিয়ে লখনউ আসে, তখন ওরা স্বপ্নেও ভাবেনি কী ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতা তাদের জন্য অপেক্ষা করছে! শহরের এক প্রান্তে পুরনো, অথচ অভিজাত এক হাভেলি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে তারা। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই ঝিমলি টের পায়, এই বাড়ির দেয়ালের ফাঁকফোকরে লুকিয়ে আছে এক ভয়ংকর অতীত! রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কান পাতলে শোনা যায় চাপা কান্না, আয়নায় দেখা যায় অদ্ভুত ছায়ামূর্তি, আর বাগানের শতাব্দীপ্রাচীন গাছের ফাঁকে ফাঁকে যেন লুকিয়ে আছে কারও অভিশপ্ত আত্মা!

নতুন শহর, নতুন জীবন—রৌনক যখন তার কোম্পানির বদলির চাকরি নিয়ে স্ত্রী ঝিমলিকে নিয়ে লখনউ আসে, তখন ওরা স্বপ্নেও ভাবেনি কী ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতা তাদের জন্য অপেক্ষা করছে! শহরের এক প্রান্তে পুরনো, অথচ অভিজাত এক হাভেলি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে তারা। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই ঝিমলি টের পায়, এই বাড়ির দেয়ালের ফাঁকফোকরে লুকিয়ে আছে এক ভয়ংকর…

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: অভিশপ্ত বাগানবাড়ি

Leave a Comment

অনুলিপি নিষিদ্ধ!