কোলকাতার জমাট আঁধার ছেড়ে বেরিয়ে পড়লাম শান্তিনগরের এক লোনা রাস্তায়। এপ্রিলের শেষ, গরম ঢেউ এসে গেছে, তবে বাতাসে ঈষৎ শীতলভাব। নতুন ফ্ল্যাটটা খুঁজে বের করাটাই আমার জন্যে চমক ছিল। পুরনো এক জমিদার বাড়ি, বিশাল আর একটু জীর্ণ। লেখিকা শোভনা সেন, আমি, এই নিরালায় লেখার স্বপ্ন পূরনের আশায় এসে পৌঁছেছি চাঁদপুর গ্রামে।
বাড়ির মধ্যে ঢুকতেই এক অদ্ভুত শান্তি নেমে এলো। আধোআলো, ধুলোয় ঢাকা আসবাবপত্র। চারপাশে ঘুরে বেড়াতে লাগলাম। দোতলায় উঠে দেখি একটা বড় ঘর, জানালার বাইরে ধানক্ষেত আর দূরে নীল পাহাড়ের চূড়া। আমার লেখার ঘর হবে এটাই। ঘরের এক কোণে চোখে পড়লো পুরনো এক আলমারি। খুলে দেখি ভিতরে পুরনো কাগজপত্র, কাপড়, আর একটা মোটা খাতা। কাগজ হলুদ হয়ে গেছে, লেখাটা বাঁকা হাতের।
খাতাটা খুলে পড়তে শুরু করলাম। লেখাটা শিবনাথ দত্তের, ১৮৮৭ সালের। চাঁদপুর গ্রামেরই এক জমিদার পরিবারের ছেলে। লিখছেন এক অশুভ আত্মার কথা, যে প্রতি শতাব্দীতে ফিরে আসে গ্রামবাসীদের ভয় দেখাতে। শুরু হয়েছিল ১৭৮৭ সালে, যখন গ্রামের প্রতিষ্ঠাতা জমিদার ঈশান দত্ত নিজের ভাইকে বিশ্বাসঘাতকতা করে জমি কেড়ে নিয়েছিলেন। সেই ভাই, অভিনন্দ দত্ত, আত্মহত্যা করেছিলেন গ্রামেরই মাঝখানে থাকা বিশালাক্ষী মন্দিরের পুকুরে। শিবনাথ লিখছেন, গ্রামের কিছু বয়স্ক লোকের মতে, অভিনন্দ দত্তের অভিশাপই এই আত্মা। কুয়াশার মধ্যে দুঃখের আর ক্রোধের চিৎকার শোনা যায় বলেও লিখেছেন।
পড়তে পড়তে গা শিউরে উঠলো। কিন্তু লেখিকা হিসেবে, রহস্যের গন্ধ পেয়ে গেলাম। খাতাটা বুকে চেপে ধরে নেমে এলাম নিচে। বাড়িওয়ালাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলাম, শিবনাথ দত্তের কথা জানেন? জানলেন। বললেন, শিবনাথ দত্তের লেখা খাতা নিয়ে গ্রামে অনেক গল্প আছে। কিন্তু সেসব নিয়ে জড়ানো ঠিক না, মেজদি।
আমার কৌতূহল আরো বাড়লো। পরের দিন গ্রামের বাজারে ঘুরতে বেরোলাম। একটা পুরনো চায়ের দোকানে বসে বয়স্ক এক লোকের সঙ্গে গল্প জমলো। তার নাম হরিদাস, গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি। শিবনাথ দত্তের লেখা খাতার কথা জানালে, কয়েকটা চাপা গোঙানি ছাড়া হরিদাস আর কিছু বললেন না। তার চোখে এক অদ্ভুত ভীতি ফুটে উঠলো। বুঝলাম, গ্রামের মানুষেরা এই অতীত নিয়ে কথা বলতে চায় না। নিজের মতো করেই তথ্য খুঁজতে বেরোলাম। পরের কয়েকটা দিন লাইব্রেরি আর গ্রামের পুরনো দলিল খতিয়ে কাটলো। অবশেষে, ঈশান দত্তের জমি কেনার কাগজপত্র পেলাম। কিন্তু সেখানে কোনো বিশ্বাসঘাতকতার কথা ছিল না। সবকিছুই আইনগত পদ্ধতিতে হয়েছিল। তাহলে শিবনাথের লেখাটা কী? মিথ্যা নাকি কোনো গোপন কথা লুকিয়ে আছে?
এক রাতে, ঝড়ের ঝোঁকে জানালার কাচ ভেঙে গেল। ঠান্ডা বাতাস আর ঈষৎ আলোয় ঢাকা ঘরে শিউরে উঠলাম। হঠাৎ, দূর থেকে এক অদ্ভুত কান্নার শব্দ ভেসে এলো। শোনা গেল যেন কেউ মৃদু স্বরে “ঈশান…” বলে চিৎকার করছে। শরীরটা কাঁপতে লাগলো। এই শব্দ কি শিবনাথের লেখা থেকেই আসছে?
পরের দিন সকালে হরিদাসের সঙ্গে দেখা হলো। তিনি আমাকে বিশালাক্ষী মন্দির দেখাবার প্রস্তাব দিলেন। মন্দিরের পুকুরের ধারে গিয়ে হরিদাস বললেন, “এই পুকুরে ১৭৮৭ সালে অভিনন্দ দত্ত আত্মহত্যা করেছিলেন।” পুকুরের জলটা অদ্ভুত নিস্তব্ধ। মনে হলো, যেন জলের নিচে একটা অশান্ত চোখ আমাকেই দেখছে।
হরিদাসের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফিরছিলাম, হঠাৎ করেই একটা ছেলেকে দেখলাম। বয়স হবে না সপ্তাহের বেশি। সে আমার দিকে চেয়ে হাসলো। হাসিটা অদ্ভুত, চোখ দুটো কালো গর্তের মতো। চমকে উঠে থমকে গেলাম। কিন্তু ছেলেটা আর নেই। গ্রামের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলাম, কিন্তু কেউ ওই ছেলেকে চেনে না।
রাতে, আবার সেই কান্নার শব্দ। এবার আরও স্পষ্ট। আর শব্দটা এলো ঠিক আমার ঘরের জানালার বাইরে থেকে। জানালায় সামান্য ফাঁক দিয়ে দেখলাম, ঘন কুয়াশার মধ্যে একটা মূর্তি দাঁড়িয়ে আছে। লম্বা কোট, মুখ ঢাকা। কেবল কান্নার শব্দ ছাড়া আর কোনো আওয়াজ নেই। ভয়ে আমার চিৎকার আটকে গেল।
পরের দিন সকালে আর দেরি করতে চাইলাম না। হরিদাসের কাছে গিয়ে সব খুলে বললাম। শিবনাথের লেখা, কান্নার শব্দ, আর সেই অদ্ভুত ছেলে। হরিদাস চিন্তাভাবনা করে বললেন, “ঈশান দত্তের বংশধর আর গ্রামে নেই। কিন্তু আছে অভিনন্দ দত্তের বংশধর, গ্রামের এক প্রান্তে থাকেন।”
আমি হরিদাসের সঙ্গে গ্রামের এক প্রান্তে পৌঁছে গেলাম। সেখানে ছোট্ট এক চালা চালা বাড়ি। বাড়ির বাইরে বসে ছিলেন এক বৃদ্ধা, চেহারায় শিবনাথের লেখা অভিনন্দ দত্তের সঙ্গে কিছুটা সাদৃশ্য আছে। হরিদাস তাকে সব খুলে বললেন। বৃদ্ধার নাম সোনা। সোনা শুনলেন সব মনোযোগ দিয়ে। তারপর আস্তে করে বললেন, “আমাদের পরিবারে এই গল্প প্রজন্ম ধরে চলে আসছে। ঈশান দত্ত জমি কেড়ে নেওয়ার পর থেকেই এই অভিশাপ। প্রতি শতাব্দীতে, কুয়াশা নামার সময় অভিনন্দ দত্তের অতৃপ্ত আত্মা ফিরে আসে। কিন্তু কাউকে স্পর্শ করতে পারে না। শুধু কান্নার শব্দ করে ঈশানের নাম ধরে চিৎকার করে।”
আমার কাছে এখন সবুজ সিগন্যাল জ্বলে উঠলো। শিবনাথ হয়তো সত্যিই জমি কেড়ে নেওয়ার কথা লিখতে পারেননি, কিন্তু গ্রামের লোকজনের মধ্যে এই গল্পটা প্রচলিত ছিল। আর সেই গল্পই হয়তো অভিনন্দ দত্তের অতৃপ্ত আত্মাকে শান্তি দিতে পারে না। সোনাকে জিজ্ঞাসা করলাম, “এই অভিশাপ কিভাবে ভাঙা যায়?”
সোনা চুপ করে কিছুক্ষণ ভাবলেন। তারপর বললেন, “বিশালাক্ষী মন্দিরের পুকুরের তলায় একটা লোহার বাক্স আছে। সেখানে ঈশান দত্ত লিখেছিলেন, কীভাবে জমিটা অর্জন করেছিলেন, কেন জমিটা চাই ছিলেন। ঈশান দত্তের ছেলেবেলার এক বন্ধু ছিলেন অভিনন্দ। কিন্তু দুই বন্ধুর মধ্যে বিবাদ বাঁধে জমি নিয়ে। ঈশান জমিটা কিনে নিতে বাধ্য হন, কিন্তু অভিনন্দকে অসম্মান করেননি বলে লিখেছিলেন।
এই তথ্য জানাটা জরুরি ছিল। কিন্তু পুকুরের তলায় লোহার বাক্সটা? সেটা তোলা অসম্ভব। হরিদাসের পরামর্শে গ্রামের ডুবুরিকে খবর দিলাম। সে জাল দিয়ে পুকুরের তলা খুঁড়তে রাজি হলো। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টার পর জলের উপরে উঠলো একটা মরচে লেগে থাকা লোহার বাক্স। বাক্সটা খুলতেই ভেতর থেকে বেরুলো পুরনো এক কাগজপত্র।
কাগজপত্রটা খুলে পড়লাম। ঈশান দত্তের লেখা ছিল সত্যি। তিনি জমিটা কিনে নিয়েছিলেন, কিন্তু অভিনন্দকে অর্থ দিয়ে এবং সম্মান জানিয়ে। কিন্তু গ্রামের লোকজনের কাছে তা হয়নি প্রকাশ। হয়তো গুঞ্জন, ভুল বোঝাবুঝির কারণে অভিনন্দ মনে করেছিলেন তাকে প্রতারিত করা হয়েছে। এই ভুল বোঝাবুঝির জেরেই হয়তো আত্মহত্যা।
সন্ধ্যা নামার আগেই বিশালাক্ষী মন্দিরে পৌঁছে গেলাম। হরিদাস, সোনা আর গ্রামের কয়েকজন প্রবীণ লোকজনও সেখানে এসেছিলেন। পুকুরের ধারে দাঁড়িয়ে ঈশান দত্তের লেখা জোরে জোরে পড়লাম। সত্যিটা সবার সামনে আসলো। কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর গ্রামবাসীদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হলো। সত্যিটা জানতে পেরে অনেকেই অবাক হয়ে গেলেন।
পুকুরের দিকে তাকিয়ে বললাম, “অভিনন্দ দত্ত, আপনি সত্যিটা জানতে পারলেন। ঈশান দত্ত আপনাকে প্রতারিত করেননি।” হঠাৎ, ঠান্ডা বাতাস বইতে লাগলো। কুয়াশাটা ঘন হতে থাকলো। আর তার মধ্যে মিশে গেল এক দীর্ঘশ্বাস। যেন শতাব্দীর অভিমান মুছে গেল সেই শ্বাসের সঙ্গে। কুয়াশাটা কেটে গেল।
পরের দিন, গ্রামের মানুষ্যের মধ্যে একটা শান্তি নেমে এলো। অভিনন্দ দত্তের আত্মা আর ফিরে আসেনি। শিবনাথের লেখা একটা রহস্যের সূত্র ছিল ঠিকই, কিন্তু পুরো গল্পটা জানাটা জরুরি ছিল। সত্যি উদঘাটনই ভাঙলো শতাব্দীর অভিশাপ। চাঁদপুর ছেড়ে চলে আসার কথা ভাবছিলাম, কিন্তু গ্রামের মানুষের আন্তরিকতা, অতিথিপরায়ণতা, আর অবশেষে রহস্যের সমাধান – এই সবকিছু মনে রেখে আরও কিছুদিন থাকার সিদ্ধান্ত নি
কয়েক সপ্তাহ কেটে গেল চাঁদপুরে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে উঠলো। সন্ধ্যের আড্ডায় গল্পগুজব চলতো। একদিন, হরিদাস আমাকে একটা পুরনো ছবি দেখালেন। ছবিতে দুই তরুণ, পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছেন। একজনের হাতে জমিজরিপের কাগজ, অন্যজনের হাসিমুখ। হরিদাস বললেন, “এই ঈশান দত্ত আর অভিনন্দ দত্ত।”
ছবিতে তাকিয়ে আমার চোখ আটকে গেল। ঈশানের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অভিনন্দ দত্তের চেহারা দেখে আমার মনে হলো, সেই ছোট্ট ছেলে, যাকে দেখেছিলাম জানালার বাইরে কুয়াশার মধ্যে।
হঠাৎ, গা শিউরে উঠলো। কী যেন একটা বোঝার চেষ্টা করছিলাম। ঈশান দত্তের লেখা, শিবনাথের লেখা, সেই ছোট্ট ছেলে – সবকিছু যেন একটা ধাঁধার টুকরো হয়ে হাতে এলো।
হরিদাসকে জিজ্ঞাসা করলাম, “অভিনন্দ দত্তের কোনো বংশধর নেই, তাই না?”
হরিদাস মাথা নাড়লেন, “না, কেউ নেই।”
“কিন্তু, সেই ছোট্ট ছেলে?”
হরিদাস চিন্তাভাবনা করে বললেন, “গ্রামে অনেকেই মনে করেন, অভিনন্দ দত্তের আত্মা হয়তো কোনো শিশুর দেহে ঢুকেছিল। কিন্তু, এটা শুধু গুঞ্জন।”
আমার আরাম হলো না। কিছু একটা গোপন কথা আছে, সেটা পরিষ্কার। রাতে বিছানায় শুয়েও ঘুম আসলো না। সারাক্ষণ সেই ছোট্ট ছেলের চেহারা ভেসে উঠলো চোখের সামনে।
পরের সকালে সোনার বাড়িতে গেলাম। সোনা আমাকে দেখে অবাক হলেন। জানালেন, গতকাল রাতে অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছেন। স্বপ্নে দেখেছেন, একটা ছেলে তাকে বলছে, “আমার মা কাঁদছে না আর।”
আমি সোনাকে সব খুলে বললাম – ছবির কথা, সেই ছেলের কথা। সোনা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। শেষে বললেন, “আমার কাছেও একটা ছবি আছে।”
সোনা একটা পুরনো ফ্রেম এনে খুললেন। ছবিতে একটা মহিলা, কোলে একটা শিশু। মহিলার চোখ দুটিতে অসীম দুঃখ।
“এই আমার মা,” সোনা বললেন, “এ আর ছেলেবেলার আমি।”
আমি ছবিটা আর নিজের মনের ছবিটা মিলিিয়ে দিলাম। দুই চেহারার মধ্যে একটা অদ্ভুত সাদৃশ্য।
হঠাৎ বুঝতে পারলাম। অভিনন্দ দত্তের আত্মা হয়তো শিশু অবস্থায় থাকা সোনার দেহে ঢুকেছিল। কিন্তু, ঈশান দত্তের সত্যিটা জানার পর, অভিনন্দ দত্তের অভিমান মুছে গেল।
সেই ছোট্ট ছেলে হয়তো অভিনন্দ দত্ত।
আমার বুক থেকে একটা পাথর নামলো। সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেল। অভিনন্দ দত্তের আত্মা শিশু সোনার দেহে ঢুকেছিল ঠিকই, কিন্তু কোনো অশুভ উদ্দেশ্যে নয়। হয়তো নিজের পরিবারের কাছে থাকার, নিজের অস্তিত্ব জানানোর এক অবচেতন আকাঙ্ক্ষায়। কিন্তু, ঈশান দত্তের প্রতারিত না হওয়ার সত্যিটা জানার পর, অভিনন্দ দত্তের অভিমান মুছে গেল। সেই ছোট্ট ছেলে হয়তো অভিনন্দ দত্তেরই শেষ নিঃশ্বাসের সাথে বিদায় নিয়েছে, ছেলেবেলার সোনার চেহারাটা রেখে যাওয়া মাত্র।
সোনাকে জড়িয়ে ধরলাম। “আপনার মা আর কষ্ট পাবেন না,” বললাম। “আপনি আর কষ্ট পাবেন না।”
সোনা চোখের কোণে জল টানতে বললেন, “শতাব্দীর অভিশাপ মুছে গেল।”
গ্রামে আবারো শান্তি ফিরে এলো। গ্রামবাসীরা জানতে পারলো অভিনন্দ দত্তের গল্পের পূর্ণাঙ্গ রূপ। ঈশান দত্তের বংশধর না থাকলেও, অভিনন্দ দত্তের বংশধর হিসেবে সোনাকে গ্রামের সম্মান জানানো শুরু হলো। আমি লেখিকা হিসেবে এই অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা কাগজে লিখে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলাম। “কুয়াশার কান্না” – শিরোনামটা মনে হলো ঠিক আছে।
চাঁদপুর ছেড়ে যাওয়ার আগের রাতে, সোনার বাড়ির উঠোনে বসেছিলাম। তারাদের আলোয় জগৎ ঝলমল করছে। হঠাৎ, দূর থেকে একটা মৃদু সুর ভেসে এলো। বাঁশি। সুরটা মিষ্টি, মন ছুঁয়ে যাচ্ছে।
হরিদাসের কাছে জানতে পারলাম, এটা অভিনন্দ দত্তের পছন্দের বাঁশি। প্রতি বছর, কুয়াশা নামার সময় এই সুর গুনগুনিয়ে বেড়াতেন গ্রামে।
চোখ বন্ধ করে শুনলাম। এবারের সুরটা আর কান্নার মতো নয়, শান্ত, মুক্তির। অভিনন্দ দত্ত হয়তো এবার সত্যিই শান্তিতে আছেন। হয়তো মাঝে মাঝে, কুয়াশা নামার সময় এই সুর ভেসে আসবে, এক অতীতের স্মৃতি হয়ে। কিন্তু, আর কোনো অভিশাপ নয়, শুধু এক সুর, মুক্ত আত্মার সুর।