রহস্য রোমাঞ্চে ভরা এক বাংলা গল্প!শিলিগুড়িতে বিখ্যাত ব্যবসায়ী সূর্যকান্ত মিত্র খুন!ইন্সপেক্টর সোমনাথ মজুমদারের তদন্তে উঠে আসে নানা রহস্য।নাতনী অদিতি কি খুনের মূল চক্রী?চুরি যাওয়া মূল্যবান পেইন্টিংয়ের সাথে কী সম্পর্ক?একের পর এক রহস্যের সমাধানে সোমনাথ পৌঁছান সত্যের কাছে।রহস্য রোমাঞ্চ পছন্দ করলে এই বাংলা গল্প আপনার জন্যই!

বাংলা ছোট গল্প

Home » বাংলা ছোট গল্প » রতুলের রহস্য

রতুলের রহস্য

রহস্য রোমাঞ্চে ভরা এক বাংলা গল্প!শিলিগুড়িতে বিখ্যাত ব্যবসায়ী সূর্যকান্ত মিত্র খুন!ইন্সপেক্টর সোমনাথ মজুমদারের তদন্তে উঠে আসে নানা রহস্য।নাতনী অদিতি কি খুনের মূল চক্রী?চুরি যাওয়া মূল্যবান পেইন্টিংয়ের সাথে কী সম্পর্ক?একের পর এক রহস্যের সমাধানে সোমনাথ পৌঁছান সত্যের কাছে।রহস্য রোমাঞ্চ পছন্দ করলে এই বাংলা গল্প আপনার জন্যই!

কলকাতা পুলিশের ইন্সপেক্টর সোমনাথ মজুমদার চিরাচরণ ক্যাফেতে বসে ছিলেন। সামনের চায়ের কাপে এখনো বাষ্প ধরছে। একটি দশ বছরের ছেলে, রতুল, তার পাশেই বসে ছিল। ছেলেটির হাঁটুর কাছে একটি মলিন ঝোলা। পথে দেখা হয়েছিল ছেলেটিকে, কাঁদছিল। সোমনাথ জানতে পারেন, ছেলেটি বাড়ি ছেড়েছিল, কারণ তার এক কাকা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন।

ঠিক সেই সময়, সোমনাথের ওয়াকিটকিতে জরুরি বার্তা এলো। শিলিগুড়িতে এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সূর্যকান্ত মিত্র, খুন হয়েছেন। সোমনাথ অবিলম্বে ছেলেটিকে নিরাপদ জায়গায় রেখে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।

ঘটনাস্থলে পৌঁছে সোমনাথ দেখলেন, সূর্যকান্ত মিত্র তার বাড়ির ষ্টুডিয়োতে নিথর পড়ে আছেন। ঘরটি গোলমাল। একটা মূল্যবান পেইন্টিং দেওয়াল থেকে খোঁটা। কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা বিষয় ছিল ঘরের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা এক তরুণী, অদিতি সেন। অদিতির একটা কানের দুল হারিয়ে গিয়েছিল ছিল।

অদিতি সূর্যকান্ত মিত্রের নাতনী। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করল। অদিতি কান্নাকাটি করে জানাল, সে তার দাদুর বাড়িতে এসে দেখেছেন ঘরটা উল্টাপাল্টা এবং তার দাদু মৃত। তিনি কাউকে দেখেননি। সোমনাথ লক্ষ্য করলেন, অদিতির হাত কাঁপছে এবং চোখ লাল।

সোমনাথ জানতে পারলেন, সূর্যকান্ত মিত্রের স্ত্রী, রত্না, কিছুদিন আগে মারা গিয়েছেন। তাদের ছেলে, অদিতির বাবা, অভিষেক, বিদেশে থাকেন। অদিতি কলেজের ছাত্রী এবং তার সঙ্গে থাকেন তার খুড়তুতো দাদা, যশ।

ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে সোমনাথ কিছু সূত্র পেলেন। ভাঙা জানালার কাচের কাছে কিছু পায়ের ছাপ পাওয়া গেল। দেওয়ালে ঝুলানো অন্যান্য পেইন্টিংগুলি স্পর্শহীন ছিল, কেবলমাত্র চুরি যাওয়া পেইন্টিংটিই সরানো হয়েছিল। এটা কি নিছক চুরি নাকি খুনের সাথে যোগাযোগ আছে?

পরের দিন সকালে সোমনাথ যশকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। যশ জানাল, সে আগের রাতে বন্ধুদের সাথে ছিল এবং সকালেই খবর পেয়ে বাড়িতে ফিরেছে। যশের আলিবি যাচাই করার ব্যবস্থা করলেন সোমনাথ। অদিতির কলেজের অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলো। অধ্যক্ষ জানালেন, অদিতি আগের দিন ক্লাসে ছিল।

কিন্তু সোমনাথের মনে একটা সন্দে থেকে গেল। অদিতির হারানো দুলটি

সোমনাথের সন্দে আরো জোরদার হলো যখন তিনি জানতে পারলেন, চুরি যাওয়া পেইন্টিংটির নাম ছিল “মুক্তা-কুমারী” এবং সেই পেইন্টিংয়ে চিত্রিতা মেয়েটির কানে ঠিক একই রকম মুক্তার দুল ছিল। পুলিশ মূল্যবান পেইন্টিংটির খোঁজে তল্লাশি শুরু করল।

এদিকে, রতুলের কথা সোমনাথের মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল। ছেলেটির কাকা নিখোঁজ হওয়ার কথাটি আর সূর্যকান্ত মিত্রের খুনের মধ্যে কোনো যোগাযোগ আছে কি না, তা জানার জন্য সোমনাথ রতুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। রতুল জানাল, তার কাকা, বিশ্বজিৎ, সূর্যকান্ত মিত্রের কাছে কাজ করতেন। কয়েকদিন আগে বিশ্বজিৎ হঠাৎ নিখোঁজ হন এবং তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। রতুলের কথা শুনে সোমনাথের মনে আরো প্রশ্ন জাগল। সূর্যকান্ত মিত্র বিশ্বজিৎকে কেন চাকরি থেকে ছাঁটাই করলেন, আর বিশ্বজিৎ নিখোঁজ হওয়ার সাথে সূর্যকান্ত মিত্রের খুনের কি সম্পর্ক থাকতে পারে?

কয়েকদিন পর, পুলিশের খোঁজে কিছুটা সফলতা এলো। শিলিগুড়ির একটি গুপ্ত বাজারে চুরি যাওয়া পেইন্টিংটি উদ্ধার করা হলো। কিন্তু চোর ধরা না পড়লে মূল রহস্যের সমাধান হয়নি। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করল গুপ্ত বাজারের দোকানদারদের। একজন দোকানদার জানালেন, পেইন্টিংটি এক মুখোশধারী ব্যক্তি বিক্রি করতে এসেছিলেন।

এই নতুন তথ্য সোমনাথের তদন্তে আরো জটিলতা এনে দিল। যদি অপরাধী অদিতি না হন, তাহলে তিনি কে? আর কেন সূর্যকান্ত মিত্রকে খুন করলেন? মুক্তা-কুমারীর দুলের সাথে অদিতির হারানো দুলের মিল কি শুধুমাত্র কাকতালীয়?

সোমনাথ অদিতিকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। এবার অদিতি স্বীকার করলেন, খুনের রাতে তিনি বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন ঘরটা গোলমাল এবং তার দাদু মৃত। কিন্তু তিনি কাউকে দেখেননি। অদিতি আরো জানালেন, তার হারানো দুলটি তার মায়ের ছিল এবং খুনের রাতেই তিনি তা হারিয়ে ফেলেছেন।

সোমনাথ অদিতির কাছ থেকে দুলের বিবরণ নিলেন এবং তার সন্দে আরো জোরদার হলো। কারণ, অদিতির হারানো দুলটির বিবরণ ঠিক চুরি যাওয়া পেইন্টিংয়ে থাকা মুক্তা-কুমারীর দুলের মতোই ছিল। অদিতিকে আরো জোর করা হলে, তিনি কান্নাজড়িয়ে স্বীকার করলেন, খুনের রাতে তিনি ঝগড়া করছিলেন তার দাদুর সাথে। কিন্তু তিনি তাকে খুন করেননি।

সোমনাথ বুঝতে পারলেন, অদিতি হয়তো সব সত্যিই বলছেন না। তিনি অদিতিকে আশ্বাস দিলেন সত্যি কথা বললে তার কোনো ক্ষতি হবে না। অদিতি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন, তারপর কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন, “আমার দাদু চেয়েছিলেন আমি বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করি। কিন্তু আমি চাইনি। আমি বাংলায় থাকতে চেয়েছিলাম। খুনের রাতে আমরা এই নিয়েই ঝগড়া করছিলাম। উত্তেজনায় হঠাৎ করেই… আমি… আমি তাকে ঠেলে দিয়েছিলাম।”

সোমনাথ অবাক হয়ে গেলেন। অদিতির কথা সত্যি হতে পারে। কিন্তু তাহলে খুনের পরে কে ঘরটা গোলমাল করেছে? আর চুরি যাওয়া পেইন্টিংয়ের সাথে কী সম্পর্ক? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে সোমনাথ অদিতির খুড়তুতো দাদা যশকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করলেন।

এবার যশের আচরণে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করলেন সোমনাথ। যশ আরো বেশি ঘাবড়াচ্ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে যশ স্বীকার করলেন, খুনের রাতে তিনি বাড়িতে ফিরেছিলেন। তিনি দেখেছেন অদিতি তার দাদুর সাথে ঝগড়া করছেন এবং তার দাদু হঠাৎ করেই নিচে পড়ে গেছেন। যশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন এবং পরিস্থিতি ঢাকার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি ঘরটা গোলমাল করেছিলেন যাতে মনে হয় কেউ বাড়িতে ঢুকে খুন করেছে। চুরি যাওয়া পেইন্টিংটিও তিনিই বিক্রি করেছেন।

যশের কথা সত্যি কিনা তা যাচাই করার জন্য সোমনাথ তাকে গ্রেফতার করলেন। কিন্তু এখনো একটি প্রশ্ন থেকে গেল। সূর্যকান্ত মিত্র বিশ্বজিৎকে কেন চাকরি থেকে ছাঁটাই করলেন?

রহস্যের এই শেষ খণ্ডটি পূরণ হলো রতুলের মাধ্যমে। রতুল জানালো, তার কাকা বিশ্বজিৎ সূর্যকান্ত মিত্রের কাছেই কাজ করতেন। কিন্তু বিশ্বজিৎ জানতে পারেন যে, সূর্যকান্ত মিত্র জালিয়াতি করে বিদেশে অর্থ পাচার করছেন। বিশ্বজিৎ প্রমাণ সহ সব কিছুই অদিতির বাবাকে জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সূর্যকান্ত মিত্র বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্বজিৎকে নিখোঁজ করে দেন। সূর্যকান্ত মিত্র ভয় পেয়েছিলেন যে, বিশ্বজিৎ পুলিশের কাছে সব খুলে বলবেন। খুনের রাতে অদিতির সাথে ঝগড়ার সময় সূর্যকান্ত মিত্র হয়তো অদিতিকে জানিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ তাকে জালিয়াতির কথা জানাতে চেয়েছিলেন। এই কথায় উত্তেজিত হয়ে যশ হয়তো সূর্যকান্ত মিত্রকে ঠেলে দিয়েছিলেন।

সোমনাথ রতুলের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে দেখলেন সব তথ্য ঠিক আছে। বিশ্বজিৎকে খুঁজে বের করা এখন জরুরি হয়ে পড়ল। কিন্তু বিশ্বজিৎ কোথায় নিখোঁজ, সে সম্পর্কে কোনো সূত্রই পাওয়া যাচ্ছিল না।

এদিকে, যশের বিরুদ্ধে প্রমাণও যথেষ্ট হয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতার করা হলো। যশ স্বীকার করলো, অদিতির সাথে ঝগড়ার সময় উত্তেজনায় সে তার কাকাকে ঠেলে দিয়েছিল, কিন্তু খুনের ইচ্ছা তার ছিল না।

অদিতির বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া হয়নি। তার বাবা বিদেশ থেকে ফিরে এলেন। মেয়ের মানসিক অবস্থা দেখে তিনি খুবই মর্মাহত হলেন। সবকিছুর পরেও তিনি তার মেয়েকে সান্ত্বনা দিলেন এবং আইনি ঝামেলা থেকে রক্ষা করলেন।

কিন্তু রহস্যের একটা অংশ এখনো অমীমাংসিত। বিশ্বজিৎ কোথায় নিখোঁজ? সোমনাথ বিশ্বজিৎকে খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত আরো জোরদার করলেন। অবশেষে, কিছুদিন পরে পুলিশ বিশ্বজিৎকে উত্তরবঙ্গের এক দূর্যবহ অঞ্চলে আটক করতে সক্ষম হয়।

বিশ্বজিৎ পুলিশকে জানালো, সূর্যকান্ত মিত্র তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। বিশ্বজিৎ কোনওরকমে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং কিছুদিন গুপ্ত অবস্থায় থাকে। পরে সে সোমনাথের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কিন্তু পারেননি।

বিশ্বজিৎ দেওয়া তথ্য যাচাই করা হলো। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সূর্যকান্ত মিত্রের বিদেশে অর্থ পাচারের প্রমাণ পাওয়া গেল।

এইভাবে, এক অসাবধীক ঘটনা, একটি খুনের রহস্যের সূত্রপাত ঘটালো। পুলিশের দক্ষ তদন্তে সূর্যকান্ত মিত্রের অপরাধ প্রকাশ হয়ে গেল। বিশ্বজিৎ নিরাপদে ফিরে এলেন এবং সত্যের জয় হলো।

এই রকম চিত্তাকর্ষক বাংলা ছোট গল্প -এর আপডেট পেতে আমাদের WhatsApp চ্যানেল জয়েন করুন।

About The Author

নতুন বাংলা ছোট গল্প

জীবনপথের সন্ধানে

মোটিভেশনাল বাংলা ছোট গল্প: সঞ্জয়ের আত্ম-উদ্বোধন এবং নতুন জীবন শুরু করার যাত্রা। অনুপ্রেরণা এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটি সাফল্যমণ্ডিত গল্প।

মোটিভেশনাল বাংলা ছোট গল্প: সঞ্জয়ের আত্ম-উদ্বোধন এবং নতুন জীবন শুরু করার যাত্রা। অনুপ্রেরণা এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটি সাফল্যমণ্ডিত গল্প।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: জীবনপথের সন্ধানে

নিঃশব্দ মুক্তি

"নিঃশব্দ মুক্তি" একটি বাংলা ছোট গল্প যেখানে থালিয়া, একজন নির্যাতিত স্ত্রী, ফুটবল আসক্ত স্বামী মার্কের অত্যাচারের শৃঙ্খল ভেঙে নিজের ও মেয়ে গাব্বির জন্য নতুন জীবনের সন্ধান করে। গল্পটি সমাজের অন্ধকার বাস্তবতা ও সাহসিকতার মাধ্যমে নারীর মুক্তির পথে যাত্রাকে তুলে ধরে।

"নিঃশব্দ মুক্তি" একটি বাংলা ছোট গল্প যেখানে থালিয়া, একজন নির্যাতিত স্ত্রী, ফুটবল আসক্ত স্বামী মার্কের অত্যাচারের শৃঙ্খল ভেঙে নিজের ও মেয়ে গাব্বির জন্য নতুন জীবনের সন্ধান করে। গল্পটি সমাজের অন্ধকার বাস্তবতা ও সাহসিকতার মাধ্যমে নারীর মুক্তির পথে যাত্রাকে তুলে ধরে।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: নিঃশব্দ মুক্তি

মুক্তির পথে প্রেম

১৯৪৩ সালের ভারতীয় মুক্তির আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত এই ঐতিহাসিক কথাসাহিত্য গল্পে বিজয় ও সুফিয়ার প্রেম এবং সংগ্রামের কাহিনী উঠে এসেছে। বাংলা ছোট গল্পের এই অধ্যায়ে, সাহসী অভিযান ও বিপদের মধ্যে ভালোবাসা ও দেশপ্রেমের মূর্ত প্রতীক হয়ে ওঠে তাদের জীবন।

১৯৪৩ সালের ভারতীয় মুক্তির আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত এই ঐতিহাসিক কথাসাহিত্য গল্পে বিজয় ও সুফিয়ার প্রেম এবং সংগ্রামের কাহিনী উঠে এসেছে। বাংলা ছোট গল্পের এই অধ্যায়ে, সাহসী অভিযান ও বিপদের মধ্যে ভালোবাসা ও দেশপ্রেমের মূর্ত প্রতীক হয়ে ওঠে তাদের জীবন।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: মুক্তির পথে প্রেম

Leave a Comment

অনুলিপি নিষিদ্ধ!