ষাট বছরের পুরনো রহস্য উন্মোচন! এক অসাধারণ "অবলম্বন" চিত্রকর্ম, এক লেখক, এবং এক গ্রামের লুকানো রহস্য। এই বাংলা গল্পের লেখনীতে ফুটে উঠেছে রহস্য, রোমাঞ্চ, এবং শিল্পের গভীরতা।

বাংলা ছোট গল্প

Home » বাংলা ছোট গল্প » রহস্যের রঙ

রহস্যের রঙ

ষাট বছরের পুরনো রহস্য উন্মোচন! এক অসাধারণ "অবলম্বন" চিত্রকর্ম, এক লেখক, এবং এক গ্রামের লুকানো রহস্য। এই বাংলা গল্পের লেখনীতে ফুটে উঠেছে রহস্য, রোমাঞ্চ, এবং শিল্পের গভীরতা।

আমাদের WA চ্যানেল জয়েন করুন

এই মাসের সেরা রোমান্টিক ছোট গল্প, পড়ুন ও অডিও স্টোরির স্বাদ উপভোগ করুন – পুনঃবিচ্ছেদ

প্রথম অধ্যায়: শিল্পকলার মেলা এবং রহস্যময় চিত্র

কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ির উঠোনে আজ উৎসবের আমেজ। সারা মাঠ জুড়ে রঙিন তাঁবুর নিচে সাজানো হয়েছে নানা ধরনের শিল্পকর্ম। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা কারিগর আর শিল্পীরা তাঁদের সৃষ্টির পসরা নিয়ে বসেছেন। তাঁতের শাড়ির বাহার, মৃৎশিল্পের সুন্দর মূর্তি, আর জলরঙের চিত্র—সব কিছু মিলে যেন এক স্বপ্নরাজ্য। চারদিকে মানুষের কোলাহল, হালকা হাওয়ায় ভেসে আসা পিঠেপুলির গন্ধ, আর মৃদু সঙ্গীতের সুর এই মেলার পরিবেশকে করে তুলেছে প্রাণবন্ত।  

ঈশান, ষাটের কোঠায় পৌঁছে যাওয়া এক খ্যাতনামা রহস্য লেখক, এই মেলায় এসেছেন কেবলমাত্র দেখতে। তার প্রিয় বিষয় হলো রহস্যের গভীরে ডুব দেওয়া। তিনি এক সময় সাংবাদিক ছিলেন, কিন্তু পরে রহস্য গল্প লেখার প্রতি তার আগ্রহ তাকে এই পেশায় নিয়ে আসে। চোখে চশমা, ধূসর চুল আর পরিপাটি পাঞ্জাবি পরিহিত ঈশানকে দেখে বোঝা যায়, তিনি কোনো সাধারণ ব্যক্তি নন। জীবনের অনেক কিছুই তিনি দেখেছেন, কিন্তু তার মন এখনও কৌতূহলে ভরপুর।  

মেলার ভিড়ের মধ্যে ঈশানের চোখ হঠাৎই থেমে যায় এক জায়গায়। একটি বিমূর্ত চিত্র তার মনোযোগ কেড়ে নেয়। ছবিটির নাম “অবলম্বন”। নীল আর সবুজের মিশ্রণে আঁকা ছবিটি খুব সাধারণ মনে হলেও, ঈশানের মনে হলো এটি আসলে খুব গভীর কোনো বার্তা বহন করছে। ছবিটির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে তার মনে হলো, এর মধ্যে যেন কোনো এক রহস্যময় ছায়া লুকিয়ে আছে। নীলের আড়ালে আর সবুজের স্তরে স্তরে যেন এক জটিল অনুভূতি ধরা দিয়েছে। তিনি তার চোখ মেলাতে পারছেন না ছবিটির সঙ্গে। যেন ছবিটি তাকে নিজের দিকে টানছে।  

ঈশান ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলেন ছবিটির কাছে। তার চোখের সামনে চিত্রটির প্রতিটি স্তর যেন নতুন অর্থ নিয়ে ভেসে উঠছে। মনে হচ্ছে, এটি শুধু এক টুকরো ছবি নয়, এর মধ্যে কেউ যেন কোনো বার্তা লুকিয়ে রেখেছে। তার মনে হলো, ছবির নীল আর সবুজ রঙের মিশ্রণে এক ধরনের শোক আর চিন্তিত চোখের ছায়া আছে।  

ছবিটির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন একজন তরুণী—ছিপছিপে গড়ন, মায়াবী মুখ আর স্নিগ্ধ চোখ। তরুণীর নাম আনন্দিতা। ঈশান জানতে পারলেন, তিনিই ছবিটির শিল্পী। আনন্দিতা একজন মেধাবী চিত্রশিল্পী, যিনি তার ছবি দিয়ে জীবনের অনুভূতিগুলোকে প্রকাশ করেন। তার বয়স ত্রিশের কোঠায়, কিন্তু তার ছবিতে যেন অভিজ্ঞতার ছাপ স্পষ্ট।  

ঈশান আনন্দিতার কাছে গিয়ে বললেন, “এই ছবিটা খুব সুন্দর। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, এর মধ্যে কিছু লুকিয়ে আছে।”  

আনন্দিতা মুচকি হেসে বললেন, “ছবিটি আমার দাদুর স্মৃতি থেকে অনুপ্রাণিত। ছোটবেলায় আমি আমার দাদুর সঙ্গে নীল আকাশের নিচে, সবুজ গাছের তলায় খেলতাম। সেই সময়গুলোই আমি রঙের মাধ্যমে ধরে রাখতে চেয়েছি।”  

ঈশান চুপ করে তার কথা শুনছিলেন। কিন্তু তার মনে হচ্ছিল, শুধু স্মৃতি ধরে রাখার জন্য নয়, এই ছবির মধ্যে যেন আরও কিছু আছে। তিনি বললেন, “তোমার ছবির নীল আর সবুজের মধ্যে এমন কিছু অনুভূতি রয়েছে, যা কেবলমাত্র দেখেই বোঝা যায় না। এটি যেন কোনো গভীর রহস্যের অংশ।”  

আনন্দিতা কিছুটা বিস্মিত হয়ে ঈশানের দিকে তাকালেন। তার চোখে মৃদু কৌতূহল। তবে তিনি কিছু বললেন না।  

ঈশানের মনে একধরনের অস্থিরতা কাজ করতে থাকল। “অবলম্বন” ছবিটির মধ্যে যে ছায়া বা বার্তা তিনি দেখতে পাচ্ছেন, তা তাকে যেন আঘাত করছে। তিনি বুঝতে পারলেন, এটি শুধু একটি শিল্পকর্ম নয়, এর মধ্যে লুকিয়ে আছে এক গভীর গল্প, যা তার সামনে প্রকাশ পেতে চাইছে।  

মেলার কোলাহল ধীরে ধীরে ঈশানের কান থেকে মুছে যেতে থাকল। তিনি স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। তার চোখে কেবল “অবলম্বন”। মনে হচ্ছিল, এই রহস্য তাকে আরও গভীরে নিয়ে যাবে। তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হলেন, এই ছবির রহস্যের পেছনের গল্পটি তাকে জানতে হবে।

রহস্য-রোমাঞ্চ বাংলা ছোট গল্প - মৃত্যুর শেষ খাতা: "মৃত্যুর শেষ খাতা" একটি রহস্য রোমাঞ্চ বাংলা ছোট গল্প, যেখানে এক সাধারণ বীমা কর্মী রহস্যময় মৃত্যু ও প্রতারণা চক্র উন্মোচনে সাহসিকতার সঙ্গে জীবন ও সততার লড়াই করে। সম্পুর্ন্য বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে ও অডিও স্টোরির স্বাদ উপভোগ করতে এই লিংকটি ক্লিক করুন।

দ্বিতীয় অধ্যায়: আনন্দিতার দাদুর বাড়ি

গভীর রাত। ঈশান তার লেখার টেবিলে বসে চুপচাপ চিত্রটির কথা ভাবছিলেন। “অবলম্বন” যেন তার মনের ভেতরে কোনো গভীর ঢেউ তুলে দিয়েছে। টেবিলের উপর রাখা কাগজ-কলমের দিকে তাকিয়ে তিনি উপলব্ধি করলেন, লেখার চিন্তা তার মস্তিষ্কে আসছে না। কোনো সাধারণ রহস্য নয়, এটি যেন তার নিজের ভেতরের অজানা অনুভূতিগুলোকে স্পর্শ করেছে। তিনি জানেন, এই রহস্যের উত্তর খুঁজতে তাকে আরও এগোতে হবে।  

পরদিন সকালেই ঈশান সিদ্ধান্ত নিলেন আনন্দিতার দাদুর পুরনো বাড়িতে যাবেন। আনন্দিতা তাকে আগেই বাড়িটির ঠিকানা দিয়েছিল। রাজবাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে একটি নির্জন এলাকায় বাড়িটি অবস্থিত। রিকশায় করে ঈশান গন্তব্যে পৌঁছানোর সময় লক্ষ্য করলেন, চারপাশের দৃশ্য ক্রমশ বদলে যাচ্ছে। শহরের কোলাহল পেরিয়ে, নির্জন গ্রামীণ পরিবেশ তাকে ঘিরে ধরল। পথে দু’পাশে শুষ্ক গাছ আর ছোট্ট কুঁড়ে ঘর চোখে পড়ছিল। সবকিছু যেন এক ধরনের নির্জনতার সাক্ষী।  

বাড়ির সামনে পৌঁছে ঈশান থমকে দাঁড়ালেন। পুরনো, ধূসর রঙের বাড়িটি যেন সময়ের ভারে ন্যুব্জ হয়ে আছে। বাড়ির চারপাশে বড় বড় গাছ, আর তাদের ছায়ায় ডুবে থাকা উঠোন। বাড়িটির মলিন দেয়ালে সময়ের ছাপ স্পষ্ট। উঠোনে একটি পুরনো কাঠের বেঞ্চ দেখা গেল। যেন কেউ বহুদিন আগে এখানে বসে কোনো গল্প বলছিল।  

বাড়ির ভেতরে ঢুকে ঈশান দেখলেন, একটি সরু বারান্দা ধরে হাঁটছেন একজন বৃদ্ধ। ঈশান ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়ে সালাম দিলেন। বৃদ্ধটি বারান্দার এক কোণে একটি কাঠের সড়াতে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। বয়সের ভারে ন্যুব্জ, তবে চোখে অদ্ভুত এক গভীরতা। ঈশান জানতে পারলেন, এই বৃদ্ধের নাম অভিষেক। তিনিই আনন্দিতার দাদু।  

অভিষেককে দেখে ঈশান তার মনের ভেতরের প্রশ্নগুলোকে আর আটকে রাখতে পারলেন না। তিনি বললেন, “আপনার নাতনির চিত্রটি আমাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। তার চিত্রে আপনার স্মৃতির ছায়া আছে বলে তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, এর পেছনে আরও কিছু লুকিয়ে রয়েছে।”  

অভিষেক ধীরে ধীরে মাথা তুললেন। তার চোখে যেন বিষণ্নতার এক গভীর নদী বইছে। তিনি বললেন, “আমি সত্যি জানি না ছবিটিতে এমন কী আছে, যা তোমার মন কাড়ল। তবে আনন্দিতা ছোট থেকেই চিত্রের মাধ্যমে তার অনুভূতিগুলো প্রকাশ করে। দাদু হিসেবে আমি তার খেলাধুলা আর হাসির সঙ্গী ছিলাম। কিন্তু…” তিনি থামলেন। কথার মাঝে এক ধরনের শূন্যতা যেন জায়গা নিল।  

ঈশান তার কথা শুনতে শুনতে লক্ষ্য করলেন, অভিষেকের চোখে এক অদ্ভুত ধোঁয়াশা। ঠিক তখনই, বৃদ্ধ একটি পুরনো ছবির অ্যালবাম থেকে একটি ছবি বের করে ঈশানের হাতে দিলেন।  

ছবিটিতে দুই কিশোর দেখা যাচ্ছে। তাদের একজন হাসিমুখে দাঁড়িয়ে, আর অন্যজনের চোখে এক ধরনের চিন্তিত দৃষ্টি। সেই দৃষ্টির ভেতর যেন অসীম দুঃখ লুকিয়ে আছে। ছবিটির পিছনে ছোট করে লেখা ছিল, “১৯৪৮—শেষ দিন”। 

ঈশানের মনে হলো, এই ছবি আর “অবলম্বন” ছবির মধ্যে কোনো এক যোগসূত্র রয়েছে। তিনি অভিষেককে প্রশ্ন করলেন, “এই ছবির কিশোরেরা কারা?”  

অভিষেক এক গভীর নিঃশ্বাস ফেলে বললেন, “এদের একজন আমি, আর অন্যজন আমার ছোট ভাই, অভিজিৎ। সে একদিন হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যায়। তারপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।”  

ঈশানের মনে হাজারো প্রশ্ন জমা হতে থাকল। “ছবিটির পেছনে লেখা এই কথার মানে কী? ‘শেষ দিন’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?”  

বৃদ্ধ কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর বললেন, “অভিজিৎ নিখোঁজ হওয়ার আগে আমরা এই ছবিটি তুলেছিলাম। সেই দিনটি আমাদের শেষ দিন ছিল একসঙ্গে। তার নিখোঁজ হওয়ার রহস্য আজও আমি বুঝতে পারিনি। তবে আনন্দিতা তার স্মৃতিতে সেই দিনগুলোকে বাঁচিয়ে রেখেছে।”  

ঈশান অনুভব করলেন, ছবিটির পেছনে লুকিয়ে থাকা গল্পটি এক গভীর রহস্যময় যাত্রার ইঙ্গিত দিচ্ছে। “অবলম্বন” চিত্রটি কি এই ঘটনা থেকেই অনুপ্রাণিত? নাকি এর পেছনে আরও কোনো অজানা সত্য লুকিয়ে আছে?

তৃতীয় অধ্যায়: চিত্রের রহস্য উন্মোচন

আনন্দিতার দেওয়া তথ্য তাকে ভাবিয়ে তুলেছিল। অভিজিৎ, যে এক ঝড়ের রাতে নিখোঁজ হয়ে যায়, তার সম্পর্কে কোনো তথ্য কেন অভিষেক কখনো প্রকাশ করেননি? ঈশানের মনে হতে লাগল, এই রহস্যের গভীরে এমন কিছু লুকিয়ে রয়েছে যা হয়তো আনন্দিতা বা তার পরিবারও পুরোপুরি জানে না।  

পরদিন সকালে, ঈশান সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি আবার অভিষেকের সঙ্গে কথা বলবেন। অভিষেকই হয়তো এই রহস্যের চাবিকাঠি। পুরনো বাড়িতে পৌঁছে ঈশান লক্ষ্য করলেন, অভিষেক তখন উঠোনে একটি কাঠের চেয়ারে বসে আছেন। চারপাশের গাছের ছায়ায় ঢেকে থাকা উঠোনে সকালটা ছিল শান্ত, কিন্তু অভিষেকের চোখের গভীরে যেন ঝড় বইছিল।  

ঈশান ধীরে ধীরে গিয়ে তার সামনে দাঁড়ালেন। বৃদ্ধ তার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন। ঈশান ভদ্রভাবে বললেন, “আমি জানতে চেয়েছিলাম সেই ছবির কিশোরদের গল্প। কিন্তু আপনি যা বললেন, তাতে আমার মনে হচ্ছে, আপনি সবটা বলেননি। আমি সত্যি জানতে চাই, অভিজিৎ কীভাবে নিখোঁজ হলেন।”  

অভিষেক কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর ঈশানের দিকে তাকিয়ে বললেন, “তোমাকে আমি এত সহজে সেই গল্প বলব না। কারণ সেই গল্প শুধু আমার ভাইকে হারানোর নয়, আমার নিজের আত্মার একটি অংশ হারানোরও গল্প।”  

ঈশান বুঝলেন, তাকে আরও গভীরভাবে জিজ্ঞেস করতে হবে। তিনি ধীরে ধীরে বললেন, “আমি আপনার এই কষ্টকে শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু আপনি যদি নিজের মনের কথা না বলেন, তাহলে কি সেই রহস্য কখনো সমাধান হবে? আনন্দিতা সেই চিত্রের মাধ্যমে যা প্রকাশ করতে চেয়েছে, তা কি আপনার গল্পের সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত নয়?”  

অভিষেক দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। তারপর তিনি বললেন, “তোমার কথা ঠিক। হয়তো সময় এসেছে এই বোঝা নামানোর। কিন্তু সেই রাতের কথা বলা আমার জন্য সহজ নয়।”  

তিনি এক কাপ চা নিয়ে ঈশানকে বললেন, “১৯৪৮ সালের সেই ঝড়ের রাতের কথা মনে হলে এখনো শিউরে উঠি। আমরা দুজন ভাই ছিলাম, অভিজিৎ আর আমি। আমার চেয়ে বয়সে তিন বছরের ছোট ছিল সে। খুব মেধাবী আর সাহসী ছেলে ছিল। কিন্তু সেই রাতে এমন কিছু ঘটেছিল যা আমার বিশ্বাসকেও নড়বড়ে করে দিয়েছিল।”  

ঈশান মুগ্ধ হয়ে অভিষেকের কথা শুনছিলেন। অভিষেক বললেন, “সেই রাতে প্রচণ্ড ঝড় উঠেছিল। গাছপালা ভেঙে পড়ছিল, আর বাড়ির দরজা-জানালা ভয়ঙ্কর শব্দে বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। অভিজিৎ আমাকে বলল, সে উঠোনে একটি অদ্ভুত আলোর ঝলকানি দেখেছে। আমি তাকে ভয় পেয়ে ভিতরে থাকার কথা বলেছিলাম, কিন্তু সে শুনল না। বলল, ‘আমাকে ওই আলোটা দেখতে হবে।’ তারপর সে বেরিয়ে গেল, আর আমি তাকে আর কখনো দেখিনি।”  

ঈশান জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি খুঁজতে যাননি?”  

অভিষেক কাঁপা গলায় বললেন, “আমি বেরিয়েছিলাম। কিন্তু সেই ঝড়ের মধ্যে কোথাও তাকে খুঁজে পাইনি। পরদিন সকালে পুরো গ্রাম তন্নতন্ন করে খুঁজেছি, কিন্তু কোনো চিহ্ন মেলেনি। কেউ তাকে দেখেনি, কেউ কিছু জানত না। তারপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।”  

ঈশানের মনে প্রশ্ন উঠল, “তাহলে সেই আলো কী ছিল? সেটা কি কল্পনা, নাকি সত্যি কিছু?”  

অভিষেক বললেন, “আমি জানি না। সেই রাতের পর থেকে আমার নিজের মনেই সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করত না যে আলোর ব্যাপারটা সত্যি। সবাই বলত, হয় সে কোনো দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, নাহয় কোথাও পালিয়ে গেছে। কিন্তু আমি জানি, এমন কিছু ঘটেছিল যা সাধারণ নয়।”  

ঈশান অনুভব করলেন, অভিজিৎ-এর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় হয়তো প্রকৃতির কোনো অজানা রহস্য জড়িয়ে রয়েছে। তিনি অভিষেকের হাত ধরে বললেন, “আমি এই রহস্যের উত্তর খুঁজব। কারণ এই গল্প শুধু একটি নিখোঁজ হওয়া ছেলের নয়, বরং একটি পরিবারের ভেঙে পড়া স্মৃতিরও।”  

অভিষেক ঈশানের দিকে তাকিয়ে বললেন, “তুমি যদি সত্যিই খুঁজে বের করতে পারো, তবে আমাকে বলো। আমার জীবনের শেষ দিনগুলিতে আমি আমার ভাইয়ের সত্যিটা জানতে চাই।”  

ঈশান ফিরে যাওয়ার সময় অভিষেক তাকে একটি পুরনো ডায়েরি দিলেন। অভিজিৎ-এর লেখা ডায়েরি। ঈশান বুঝলেন, এই ডায়েরির মধ্যেই হয়তো লুকিয়ে আছে সেই রহস্যের সূত্র। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।  

রহস্য-রোমাঞ্চ বাংলা ছোট গল্প - আকাশছোঁয়া রহস্য: রাতে সোহমের সামনে উন্মোচিত হয় এক অদ্ভুত দৃশ্য। লেকের ধারে এক উজ্জ্বল গোলক, আর তার ভেতরে রহস্যময় এক প্রাণী! পৃথিবী রক্ষার জন্য কি সোহমকে এই অদ্ভুত প্রাণীর সাহায্য নিতে হবে?রহস্য রোমাঞ্চে ভরা এই বাংলা গল্পে জেনে নিন সোহমের অভিযানের কাহিনী। সম্পুর্ন্য বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে এই লিংকটি ক্লিক করুন।

চতুর্থ অধ্যায়: রহস্যের গভীরে প্রবেশ

অভিষেকের দেওয়া ডায়েরি নিয়ে বাড়ি ফিরে আসার পর, ঈশান গভীর মনোযোগ দিয়ে তার পাতা উল্টাতে শুরু করলেন। ডায়েরির পুরনো, হলুদ হয়ে যাওয়া পাতাগুলো যেন সময়ের সাক্ষী। প্রতিটি শব্দেই অভিজিৎ-এর ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠছিল। ডায়েরির শেষ কিছু পাতায় অদ্ভুত কিছু নোট ছিল। সেখানে লেখা ছিল কিছু তারিখ, জায়গার নাম, এবং কিছু অস্পষ্ট বাক্য। কিন্তু কিছুই পরিষ্কার হচ্ছিল না। ঈশান বুঝতে পারলেন, এই ডায়েরিতে এমন কিছু লুকানো থাকতে পারে যা অভিজিৎ-এর নিখোঁজ হওয়ার রহস্যের মূলে রয়েছে।  

পরের দিন, ঈশান আনন্দিতার সঙ্গে দেখা করলেন। ডায়েরিটি তার হাতে তুলে দিয়ে বললেন, “এখানে এমন কিছু লেখা রয়েছে যা আমাদের অনুসন্ধানের সূত্র হতে পারে। তবে এই লেখাগুলো বিশ্লেষণ করতে হবে। হয়তো এর মধ্যে এমন কিছু লুকিয়ে রয়েছে যা আমরা এখনো বুঝতে পারিনি।”  

আনন্দিতা ডায়েরিটি হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখতে লাগলেন। পৃষ্ঠার কোণগুলো এতই পুরনো ছিল যে হালকা টান দিতেই খুলে পড়ছিল। কিন্তু তার চোখ আটকে গেল একটি তারিখের ওপর—”২২ মে, ১৯৪৮”। তার নিচে লেখা, “আলো আবার দেখা দিল। আমার মনে হয়, আমি এর কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।”

আনন্দিতা ঈশানের দিকে তাকিয়ে বলল, “এটা কি সেই ঝড়ের রাতের তারিখ হতে পারে? অভিষেক কাকা বলেছিলেন যে সেই রাতেই অভিজিৎ নিখোঁজ হয়েছিল।”  

ঈশান মাথা নাড়লেন, “সম্ভবত। কিন্তু এখানে ‘আলো’ কী? সেই আলো কি অভিজিৎ-এর নিখোঁজ হওয়ার কারণ? নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কাহিনি লুকিয়ে আছে?”  

তারা ঠিক করল, ডায়েরির নোট অনুযায়ী সেই জায়গাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। তারা প্রথমে সেই বাড়ির পুরনো স্টোররুমে গিয়ে অভিজিৎ এবং অভিষেকের ছোটবেলার কিছু পুরনো ছবি খুঁজতে শুরু করল। সেখানে ধুলো জমা বাক্সের মধ্যে একগাদা ছবি পাওয়া গেল। প্রতিটি ছবিতে যেন সময় আটকে আছে।  

একটি ছবিতে অভিজিৎ এবং অভিষেক একসঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে। পিছনের প্রাকৃতিক দৃশ্যটি ছিল রহস্যময়। গাছের ছায়ায় কিছু অদ্ভুত চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল। আনন্দিতা ছবিটি হাতে নিয়ে বলল, “দেখো, এখানে যেন একটা অদ্ভুত নকশার মতো কিছু রয়েছে। এটা কি কোনো জায়গার চিহ্ন হতে পারে?”  

ঈশান ছবিটি ভালো করে দেখলেন। তারপর বললেন, “হ্যাঁ, এটি কোনো প্রতীক বা চিহ্ন হতে পারে। কিন্তু এর মানে কী?”  

তারা সিদ্ধান্ত নিল, সেই জায়গাটিতে যেতে হবে। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে আনন্দিতার ফোনে একটি কল এল। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে একজন প্রবীণ কণ্ঠস্বর শোনা গেল। লোকটি নিজেকে পরিচয় দিলেন দীনেশ বলে। তিনি ছিলেন অভিষেকের পুরনো বন্ধু এবং জানতেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।  

দীনেশ তাদের বললেন, “তোমরা যদি সত্যিই অভিজিৎ-এর নিখোঁজ হওয়ার রহস্য বের করতে চাও, তাহলে তোমাদের তার শেষ অবস্থান খুঁজে বের করতে হবে। আমি শুনেছিলাম, সেই রাতে সে গ্রামের পশ্চিম দিকের জঙ্গলের দিকে গিয়েছিল।”  

ঈশান এবং আনন্দিতা এই নতুন তথ্য পেয়ে রওনা হলেন। পথে যেতে যেতে ঈশানের মনে হতে লাগল, অভিজিৎ-এর নিখোঁজ হওয়ার কারণ হয়তো কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এর পেছনে হয়তো এমন কিছু রহস্য লুকিয়ে রয়েছে যা মানুষের বোধের বাইরে।  

জঙ্গলে পৌঁছে তারা দেখতে পেল, জায়গাটি পুরোপুরি পরিত্যক্ত। গাছপালা এতটাই ঘন হয়ে গিয়েছিল যে সূর্যের আলো মাটিতে পৌঁছাতে পারছিল না। জায়গাটি যেন সময়ের বাইরে থমকে আছে। সেখানে হেঁটে চলার সময় তারা খেয়াল করল, মাটিতে এমন কিছু চিহ্ন রয়েছে যা ছবির নকশার মতো।  

আনন্দিতা বলল, “ঈশান, এখানেই নিশ্চয়ই কিছু ঘটেছিল। এই চিহ্নগুলো দেখে মনে হচ্ছে, এগুলো কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।”  

ঠিক তখনই, তারা দেখতে পেল মাটির একটি অংশ ভিন্নভাবে বসে আছে। জায়গাটি খুঁড়তে গিয়ে তারা একটি পুরনো বাক্স পেল। বাক্সটি খুলতেই তার মধ্যে থেকে বেরোল একটি চিঠি এবং একটি ছোট্ট পাথরের টুকরো। চিঠিতে লেখা ছিল, “আলো সবকিছু জানে। কিন্তু তার কাছে পৌঁছানোর জন্য সত্যিকারের সাহস প্রয়োজন।”

ঈশান এবং আনন্দিতা দুজনেই অবাক হয়ে গেল। এই রহস্য যেন আরও গভীর হয়ে উঠল। এখন প্রশ্ন হলো, এই ‘আলো’ কী? পাথরের টুকরোটিই বা কী ইঙ্গিত করছে?  

তারা বুঝতে পারল, অভিজিৎ-এর নিখোঁজ হওয়ার পেছনে কোনো সাধারণ কারণ নেই। হয়তো এটি কোনো অপরাধ, কোনো গোপন ষড়যন্ত্র, বা এমন কিছু যা মানুষের মনের বাইরে। রহস্য আরও জটিল হয়ে উঠল, এবং ঈশান এবং আনন্দিতার সামনে একটি নতুন পথ খুলে গেল। 

রহস্য-রোমাঞ্চ বাংলা ছোট গল্প - নির্জন সেতু: এক রহস্যময় মৃত্যু, এক নির্জন সেতু, এবং বন্ধুত্বের টান। রহস্য রোমাঞ্চে ভরা এই বাংলা গল্পে শিউলি তার বন্ধু সোনার মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করে।কীভাবে মারা গেল সোনা?কে তার মৃত্যুর পিছনে দায়ী?শিউলি রহস্যের সমাধান খুঁজে বের করতে নেমে পড়ে। সম্পুর্ন্য বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে এই লিংকটি ক্লিক করুন।

পঞ্চম অধ্যায়: রহস্যের সমাধান

জঙ্গলে পাওয়া চিঠি এবং পাথরের টুকরো হাতে নিয়ে ঈশান এবং আনন্দিতা বাড়ি ফিরে আসে। সারা পথ তাদের মনে একটাই প্রশ্ন ঘুরছিল—এই ‘আলো’ কী, আর কেন তা অভিষেকের জীবনে এত গুরুত্বপূর্ণ ছিল? আনন্দিতা ডায়েরি এবং পুরনো ছবিগুলো আবার দেখতে লাগল, যেন সেগুলোতেই সমস্ত উত্তর লুকিয়ে রয়েছে।  

ঈশান বলল, “এই রহস্য এতদিন ধরে সময়ের আবরণে ঢাকা ছিল। এখন আমরা জানি, এই চিত্রগুলো শুধু শিল্পকর্ম নয়, বরং আবেগ, শোক, এবং অভিষেকের মনের অন্ধকার দিকগুলোর প্রতিফলন। তবে প্রশ্ন হলো, তিনি কেন এই বিষয়গুলো লুকিয়ে রেখেছিলেন?”  

আনন্দিতা গভীরভাবে চিন্তা করতে করতে বলল, “কাকা অভিষেক সবসময় খুব রিজার্ভ মানুষ ছিলেন। তিনি আমাদের পরিবার বা দাদুর সঙ্গে খুব বেশি কথা বলতেন না। হয়তো তার এই চিত্রগুলো তার নিজের জীবনের সত্যিকারের গল্প বলার একমাত্র উপায় ছিল।”  

ঈশান ডায়েরির শেষ পৃষ্ঠাগুলোতে আবার চোখ বুলাল। হঠাৎই তার চোখ আটকে গেল একটি বাক্যে, যেখানে অভিজিৎ লিখেছিলেন: “চিত্রই আমার ভাষা। এখানে আমার জীবনের সবকিছু সুরক্ষিত।”

এটি পড়ে ঈশান অনুভব করলেন, অভিজিৎ চিত্রের মাধ্যমে তার শোক এবং যন্ত্রণার কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু চিত্রগুলোর মধ্যে ঠিক কী লুকানো ছিল, তা এখনও অস্পষ্ট।  

তারা অভিষেকের আঁকা সেই প্রধান চিত্রটি আবার দেখার সিদ্ধান্ত নিল। পুরনো ঘরে রাখা ছবিটির সামনে দাঁড়িয়ে আনন্দিতা বলল, “এই ছবিটি যেন আমাকে কোনো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে, কিন্তু আমি ঠিক বুঝতে পারছি না।”  

ঈশান ছবিটির প্রতিটি অংশ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগল। হঠাৎই তিনি লক্ষ্য করলেন, ছবির এক কোণে একটি ক্ষুদ্র প্রতীক লুকানো রয়েছে। এটি সেই প্রতীক, যা তারা জঙ্গলে পেয়েছিল। ঈশান বুঝতে পারলেন, এটি কেবল একটি নকশা নয়, বরং একটি সংকেত।  

ঈশান বলল, “এই প্রতীকটি হয়তো সেই ‘আলো’-এর দিকেই ইঙ্গিত করছে। এটা কোনো জায়গা বা সময়ের কথা বলতে পারে।”  

তারা দুজনই প্রতীকটির অর্থ বুঝতে বিভিন্ন সূত্র খুঁজতে লাগল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর, তারা জানতে পারল যে এটি আসলে একটি প্রাচীন সংস্কৃত শব্দের প্রতীক, যার মানে হলো “প্রকাশ”।

এবার চিত্রের মধ্যে লুকানো রহস্য যেন একটু একটু করে স্পষ্ট হতে লাগল। অভিষেক তার চিত্রের মধ্যে নিজের শৈশবের সেই সময়গুলোকে প্রকাশ করেছিলেন, যেগুলো তার মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। তিনি তার ভাই অভিজিৎ-এর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলোকে এই চিত্রের মাধ্যমে জীবন্ত করেছিলেন।  

তবে সবচেয়ে বড় সত্যটি জানা গেল চিত্রটির পেছনে লেখা একটি ছোট্ট নোট থেকে। সেখানে অভিষেক লিখেছিলেন: “আমার শৈশবের আলো আমার ভাই অভিজিৎ। তার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলোই আমার জীবনের সবচেয়ে উজ্জ্বল স্মৃতি। আমি জানি, সে এখনো কোথাও না কোথাও আমার পাশে রয়েছে।”

এই নোটটি পড়ে আনন্দিতা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে। তিনি বললেন, “আমার কাকা অভিষেক তার শোক এবং যন্ত্রণা এই চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তিনি কখনোই তা সরাসরি বলতে পারেননি। এই চিত্র তার জীবনের সমস্ত গল্পকেই ধরে রেখেছে।”  

ঈশান বলল, “এটি কেবল একটি রহস্য উন্মোচনের গল্প নয়, এটি হলো আত্মপ্রকাশের গল্প। এটি দেখায়, কিভাবে শিল্প একটি মানুষের জীবনের শোক এবং যন্ত্রণা প্রকাশ করতে পারে।”  

এই অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে ঈশান নিজের লেখার জন্য একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পেল। তিনি বুঝতে পারলেন, প্রতিটি গল্পের গভীরে একটি মানবিক সত্য লুকিয়ে থাকে, যা আমাদের আবেগকে স্পর্শ করে।  

আনন্দিতাও শান্তি পেলেন। তার কাকা অভিষেক এবং দাদু অভিজিৎ-এর মধ্যে যে সম্পর্ক এবং শোকের গল্প লুকিয়ে ছিল, তা এখন তার কাছে স্পষ্ট। এই চিত্রটি শুধু এক টুকরো ক্যানভাস নয়, এটি ছিল তাদের পারিবারিক ইতিহাসের এক মূল্যবান অংশ।  

ঈশান এবং আনন্দিতা চিত্রটি আবার যত্ন করে মেলে ঘরে রেখে দিলেন। তাদের মনে হলো, অভিষেক এবং অভিজিৎ-এর গল্প শেষ হয়ে গেলেও, তাদের স্মৃতি এবং শিল্প চিরকাল জীবিত থাকবে। এই চিত্র যেন তাদের জীবনের এক নতুন আলো হয়ে উঠল, যা তাদের অতীতকে সম্মান করতে এবং ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করল। 

এই রকম চিত্তাকর্ষক বাংলা ছোট গল্প -এর আপডেট পেতে আমাদের WhatsApp চ্যানেল জয়েন করুন।

আমরা কারা

নতুন বাংলা ছোট গল্প

শেষ পত্র

স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝে হারিয়ে যাওয়া এক প্রেমের গল্প! পড়ুন এবং অডিও স্টোরির স্বাদ উপভোগ করুন এক হৃদয়স্পর্শী রোমান্টিক বাংলা ছোট গল্প সাথে, যেখানে এক বিবাহিত পুরুষ স্বপ্নে দেখা নীহারিকার প্রেমে অমোঘ টানে জড়িয়ে পড়ে।

স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝে হারিয়ে যাওয়া এক প্রেমের গল্প! পড়ুন এবং অডিও স্টোরির স্বাদ উপভোগ করুন এক হৃদয়স্পর্শী রোমান্টিক বাংলা ছোট গল্প সাথে, যেখানে এক বিবাহিত পুরুষ স্বপ্নে দেখা নীহারিকার প্রেমে অমোঘ টানে জড়িয়ে পড়ে।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: শেষ পত্র

কালের কোটর

পূর্বজন্মের পাপ কি এই জীবনে পিছু ছাড়ে না? বাড়ির ছাদের চিলেকোঠায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় ছোট্ট রিংগো। তার বাবা পাগলের মতো খুঁজতে গিয়ে আবিষ্কার করে এক রহস্যময় কঠোর—যা সময়ের গভীরে লুকিয়ে থাকা এক ভয়ংকর সত্য বহন করছে। চোখের সামনে ঘটে যেতে থাকে অস্বাভাবিক সব ঘটনা—প্রাচীন ছায়ামূর্তি আর এক বিভীষিকাময় অতীতের স্মৃতি, যা আসলে তার নিজের! সে বুঝতে পারে, এই সবকিছু জড়িয়ে আছে তার পূর্বজন্মের এক অভিশাপের সাথে। সে কি পারবে এই অতৃপ্ত অতীত থেকে মুক্তি পেতে? নাকি সময়ের নিষ্ঠুর শিকল টেনে নিয়ে যাবে তাকে এক ভয়ংকর পরিণতির দিকে?

পূর্বজন্মের পাপ কি এই জীবনে পিছু ছাড়ে না? বাড়ির ছাদের চিলেকোঠায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় ছোট্ট রিংগো। তার বাবা পাগলের মতো খুঁজতে গিয়ে আবিষ্কার করে এক রহস্যময় কঠোর—যা সময়ের গভীরে লুকিয়ে থাকা এক ভয়ংকর সত্য বহন করছে। চোখের সামনে ঘটে যেতে থাকে অস্বাভাবিক সব ঘটনা—প্রাচীন ছায়ামূর্তি আর এক বিভীষিকাময় অতীতের স্মৃতি, যা আসলে তার নিজের!…

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: কালের কোটর

দানব মামার বন্ধু

"দানব মামার বন্ধু" একটি মজার ছোটদের গল্প, যেখানে মুন্না ও এক দানবের অদ্ভুত বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। রূপকথার গল্পের আবহে দানব মামা তার ভালো ব্যবহার দিয়ে গ্রামবাসীর মন জয় করে।

"দানব মামার বন্ধু" একটি মজার ছোটদের গল্প, যেখানে মুন্না ও এক দানবের অদ্ভুত বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। রূপকথার গল্পের আবহে দানব মামা তার ভালো ব্যবহার দিয়ে গ্রামবাসীর মন জয় করে।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: দানব মামার বন্ধু

Leave a Comment

অনুলিপি নিষিদ্ধ!