অধ্যায় ১: রাত্রির কৃষ্ণ বিন্দু
কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে, দক্ষিণ দিকের লেকের ধারের পুরনো দোতলা বাড়িটা একসময় জমিদারি বাড়ি ছিল। তবে সময়ের সাথে সাথে তার জৌলুস হারিয়ে তা এক নিস্তব্ধ কুটিরে পরিণত হয়েছে। এই বাড়িরই বাসিন্দা সোহম চক্রবর্তী, একজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, যার কাজ মানুষের দৃষ্টি এড়িয়ে অজানা রহস্য আর প্রযুক্তির মেলবন্ধন খুঁজে বের করা। মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই সোহমের বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি নিয়ে এক অদ্ভুত কৌতূহল জন্মেছে, যা তাকে প্রায়ই অন্যদের থেকে আলাদা করে রেখেছে। তার সঙ্গী বলতে রয়েছে রানী—একজন বিশ্বস্ত জার্মান শেফার্ড কুকুর, যে তার সাহচর্যে দিন-রাত কাটায়।
সেই রাতে, সবকিছুই ছিল স্বাভাবিক। আকাশে তারারা হীরের মতো ঝলমল করছিল, আর লেকের জলে প্রতিফলিত তারাদের আলো যেন ছোট ছোট টুকরো করে পৃথিবীর মায়াজাল তৈরি করেছিল। সোহম জানালার ধারে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল। তার হাতে ছিল একটি আধুনিক দূরবীন। একবার চাঁদ, একবার তারাগুলো দেখে সে আপনমনে ভাবছিল—মানুষের প্রযুক্তি কতখানি এগিয়েছে আর কত কিছু জানার বাকি। কিন্তু তার এই ভাবনার জগৎ হঠাৎই থেমে গেল।
এক অদ্ভুত কৃষ্ণ বিন্দু তার চোখে পড়ল। প্রথমে সেটা খুবই ক্ষুদ্র বলে মনে হচ্ছিল, যেন আকাশের একটি দাগ। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যে সেটি ক্রমশ বড় হতে লাগল। প্রথমে সোহম ভেবেছিল, এটা হয়তো কোনো উপগ্রহ বা ড্রোন। কিন্তু পরক্ষণেই তার মনে হলো, এর গতিবিধি কিছুটা অস্বাভাবিক। কৃষ্ণ বিন্দুটির মসৃণ গতি আর এক দৃষ্টিকটু উজ্জ্বলতা তাকে অস্বস্তিতে ফেলে দিল। সে দ্রুত নিজের দূরবীন দিয়ে সেটি দেখার চেষ্টা করল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, দূরবীনেও কিছু পরিষ্কার দেখা গেল না।
তার পাশেই রানী ঘুমিয়ে ছিল। তবে রানীর স্বভাবের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন একটি শব্দ ঘরের পেছনের দিক থেকে শোনা গেল। রানী চমকে উঠে গর্জন করতে শুরু করল। “কী হলো রানী?”—সোহম জিজ্ঞাসা করলেও তার নিজের মনের ভিতরেও এক অদ্ভুত অস্বস্তি কাজ করছিল।
বাড়ির পেছনের দিক থেকে লাল আলো আর এক ধাতব ঠকঠকানির শব্দ রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে দিল। সোহম দ্রুত জানালার কাছে গিয়ে বাইরে তাকাল। গাছপাড়ার ধারে লেকের পাশে কিছু একটা জ্বলজ্বল করছে। আলোটা ক্রমশ বাড়ছিল। কৌতূহলী সোহম মোবাইল হাতে নিয়ে নেটওয়ার্ক চেক করল। কিন্তু নেটওয়ার্ক ছিল না। ফোনে সাহায্য চাওয়ার সুযোগও বন্ধ হয়ে গেল।
ভয়ের সঙ্গে কৌতূহল মিশে সোহম ঠিক করল, সে নিজেই দেখবে কী ঘটছে। রানীকে নিয়ে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে লেকের দিকে এগিয়ে গেল। বাড়ির লোহার গেট, যা সাধারণত বন্ধ থাকে, আজ যেন অদ্ভুতভাবে খোলা। লাল আলোয় দেখা গেল লেকের পাশেই একটি বিশাল ধাতব গোলক। গোলকের তলা থেকে বেরোচ্ছে মৃদু লাল আলো আর ঠকঠকানির শব্দ। গোলকটি সম্পূর্ণ মসৃণ, কোথাও কোনো ফাটল বা দরজা দেখা যায় না।
সোহম সাহস করে গোলকের কাছে গেল। তার হাত থরথর করে কাঁপছিল, কিন্তু মন বলছিল, “দেখতেই হবে।” হঠাৎ একটি ক্লিক শব্দ করে গোলকের এক অংশ খুলে গেল। সেখান থেকে বেরিয়ে এলো একটি সরু সিঁড়ি। সিঁড়ি দিয়ে গোলকের ভেতর আলোকিত একটি সাদা ঘর দেখা গেল। সোহমের চোখ বিস্ময়ে বড় হয়ে গেল। ঘরের মাঝখানে বসে আছে একটি অদ্ভুত প্রাণী।
প্রাণীটির গায়ের রঙ সাদা, তার লম্বা দেহ, বড় কালো চোখ, এবং তার মুখে এমন এক অদ্ভুত হাসি, যা দেখে সোহম স্থির হয়ে গেল। প্রাণীটি সোহমের দিকে ইঙ্গিত করে ভেতরে আসার জন্য ডাকল। রানী গর্জন করে সতর্ক করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু সোহমের কৌতূহল তাকে থামাতে পারল না।
রহস্য-রোমাঞ্চ বাংলা ছোট গল্প - নির্জন সেতু: এক রহস্যময় মৃত্যু, এক নির্জন সেতু, এবং বন্ধুত্বের টান। রহস্য রোমাঞ্চে ভরা এই বাংলা গল্পে শিউলি তার বন্ধু সোনার মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করে।কীভাবে মারা গেল সোনা?কে তার মৃত্যুর পিছনে দায়ী?শিউলি রহস্যের সমাধান খুঁজে বের করতে নেমে পড়ে। সম্পুর্ন্য বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে এই লিংকটি ক্লিক করুন।
অধ্যায় ২: জ্যোতির সাথে প্রথম পরিচয়
গোলকের ভেতরে ঢুকে সোহম এমন কিছু দেখল যা তার কল্পনার বাইরেও ছিল। দেয়ালের গায়ে ফুটে উঠেছে মহাবিশ্বের মানচিত্র—অসংখ্য গ্রহ-নক্ষত্রের সুনিপুণ বিন্যাস। মাঝখানে পৃথিবীর ছবি, যা নীল-সবুজ রঙের আলোয় আলোকিত। দেয়ালের অন্য এক অংশে রয়েছে জটিল গাণিতিক সংকেত, যা দেখে সোহম অনুমান করল, এগুলো হয়তো কোনো উন্নত প্রযুক্তির যোগাযোগের ভাষা। ঘরের মাঝখানে স্থাপন করা রয়েছে একটি অদ্ভুত মেশিন, যার চারদিকে নানা রঙের আলো ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুরো পরিবেশটা যেন ভবিষ্যতের কোনো দুনিয়ার অংশ।
সোহম বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার ভাবনার জগৎ যেন থমকে গিয়েছিল। হঠাৎ সেই অদ্ভুত প্রাণী, যেটি নিজেকে “জ্যোতি” বলে পরিচয় দিল, কথা বলতে শুরু করল। তার কণ্ঠ ছিল মসৃণ এবং গভীর।
জ্যোতি: “ভয় পেও না, পৃথিবীর মানুষ। আমি তোমাকে কোনো ক্ষতি করব না। আমার নাম জ্যোতি। আমি এসেছি বহুদূরের এক গ্রহ থেকে।”
সোহম ভয়ে পিছিয়ে আসার চেষ্টা করল, কিন্তু তার মনের কৌতূহল তাকে থামতে দিল না। ধীর কণ্ঠে সে প্রশ্ন করল, “তুমি কে? এখানে কেন এসেছ?”
জ্যোতি একটু হাসল। তার বড় কালো চোখ দুটো সোহমের দিকে নিবদ্ধ করে বলল, “আমাদের গ্রহ একসময় তোমাদের পৃথিবীর মতোই বাসযোগ্য ছিল। কিন্তু অতিরিক্ত প্রযুক্তির ব্যবহার, পরিবেশ দূষণ, আর লোভ আমাদের গ্রহকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা এই ভুল পুনরাবৃত্তি হতে দিতে পারি না। আমরা পৃথিবীর মানুষকে সতর্ক করতে এসেছি, যাতে তোমরা আমাদের মতো একই ভুল না কর।”
সোহমের মনে হাজারো প্রশ্ন উঠতে লাগল। সে জিজ্ঞাসা করল, “তোমাদের গ্রহে কী ঘটেছিল? আর কীভাবে তোমরা এত দূরের গ্রহ থেকে এখানে এলে?”
জ্যোতি একটু থেমে উত্তর দিল, “আমাদের গ্রহ, যার নাম ‘লুমেনা,’ একসময় প্রযুক্তিতে পৃথিবীর চেয়েও উন্নত ছিল। কিন্তু আমরা সেই প্রযুক্তির অপব্যবহার করেছি। আমাদের গ্রহের প্রাকৃতিক সম্পদ শেষ হয়ে গিয়েছিল, আর পরিবেশ এমন পর্যায়ে নষ্ট হয়েছিল যে সেখানে জীবন অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তাই আমরা উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে মহাবিশ্বে ভ্রমণ শুরু করি, নতুন বাসস্থান খুঁজতে।”
এই কথা শুনে সোহমের কৌতূহল আরও বেড়ে গেল। সে বলল, “তোমাদের প্রযুক্তি কি আমাদের চেয়েও উন্নত? কীভাবে তোমরা মহাবিশ্বের বিভিন্ন গ্রহে যাতায়াত করো?”
জ্যোতি বলল, “আমাদের প্রযুক্তি ‘কোয়ান্টাম ফোল্ডিং’ পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। এটি মহাবিশ্বের স্থান আর সময়কে এমনভাবে ভাঁজ করে দেয় যে কয়েক আলোকবর্ষ দূরের গ্রহেও আমরা কয়েক মিনিটে পৌঁছাতে পারি। এই গোলক, যেটি তুমি দেখছ, এটি আমাদের ভ্রমণের মাধ্যম। তবে এটি শুধুমাত্র গবেষণার জন্য ব্যবহৃত হয়। আমরা কোনো গ্রহকে দখল করি না। আমরা সেখানে গিয়ে তাদের জীবনযাত্রা আর পরিবেশ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করি।”
সোহম হতবাক হয়ে শুনছিল। তার মনে হলো, যেন সে কোনো বৈজ্ঞানিক ফ্যান্টাসির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এর মাঝেই গোলকের চারপাশের আলো ক্রমশ ম্লান হয়ে আসতে লাগল। গোলকের ভেতরের মেশিনগুলোও যেন ধীরে ধীরে নিস্তব্ধ হয়ে পড়ছিল।
জ্যোতি বলল, “আমাদের ভ্রমণের সময় শেষ। আমি এখন ফিরে যাব। তবে মনে রেখো, পৃথিবীকে রক্ষা করার দায়িত্ব তোমাদের। এই গ্রহের প্রকৃতি আর জীবন অত্যন্ত সুন্দর, কিন্তু অত্যন্ত নাজুক। একে ধ্বংস হতে দিও না।”
সোহম তার ভেতরের এক ধরনের অদ্ভুত শূন্যতা অনুভব করল। সে জিজ্ঞাসা করল, “তুমি কি আবার আসবে?”
জ্যোতি বলল, “পৃথিবী যদি বাঁচতে চায়, তবে আমাদের দেখা হবে। এখন তুমি বাইরে যাও।”
সোহম গোলকের ভেতর থেকে বাইরে নেমে এলো। রানী তার পায়ের কাছে গুটিসুটি মেরে ছিল, কিন্তু তার চোখে ছিল অদ্ভুত আতঙ্ক।
গোলকের ভেতর থেকে হালকা একটি ধাতব শব্দ শোনা গেল। গোলকটি ধীরে ধীরে মাটি থেকে উঠে গেল। কিছুক্ষণ পর সেটি আকাশের দিকে উঠতে শুরু করল। আকাশে এক উজ্জ্বল লাল রেখা তৈরি করে সেটি অদৃশ্য হয়ে গেল।
অধ্যায় ৩: একটি অদ্ভুত সন্ধান
পরের দিন সকালে সোহম ঘটনাটিকে প্রথমে স্বপ্ন ভেবে ভুলে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু লেকের ধারের গাছের নীচে পোড়া মাটির চিহ্ন দেখে তার কৌতূহল আবার বাড়িয়ে উঠল। সে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে গাছের নিচে ছড়ানো কালো, ভাঁজ করা মাটির টুকরোগুলোর দিকে তাকাল। যেকোনো সাধারণ আগুনের চিহ্নের থেকে এটির গঠন আলাদা ছিল—এটা যেন একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে পোড়ানো হয়েছে। মাটির ওপরের কিছু ধাতব কণা চকচক করছিল, যা সোহমের মনেও সন্দেহ জাগিয়ে তুলল।
সোহম আর কিছু না ভেবে তার বন্ধু তনয়কে খবর দিল। তনয় ছিল একজন গবেষক, যিনি প্রযুক্তি ও মহাকাশবিজ্ঞানে বিশেষজ্ঞ। সোহম জানত, তনয় সবকিছুই বিশ্লেষণ করে দেখবে এবং সত্যটা বের করতে সাহায্য করবে।
তনয় সোহমের কাছে এসে ঘটনাটা শুনে প্রথমে তাকে সন্দিহান দৃষ্টিতে দেখল। “তুমি কি নিশ্চিত যে এটা স্বপ্ন নয়?” তনয় প্রশ্ন করল। তার গাঢ় কালো চোখের কোণে কিছুটা সন্দেহ ও বিভ্রান্তি ছিল। তবে সোহম তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, “আমার কোনো ভুল হয়নি। পোড়া মাটি ও গোলকের আশপাশে কিছু অদ্ভুত জিনিস ছিল।”
তনয় দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলল, “এটা তো সত্যিই খুব অদ্ভুত। কিন্তু পোড়া মাটির চিহ্ন ও গোলক—এগুলো সাধারণ কিছু নয়।” সোহম তার হাতে থাকা মাটির নমুনাটি তনয়ের কাছে বাড়িয়ে দিল। তনয় তা নিয়ে তার ল্যাবে চলে গেল, এবং সোহমও তাকে অনুসরণ করল।
তনয় তার গবেষণাগারে মাটির নমুনা পরীক্ষা করতে শুরু করল। প্রথম দিকে কিছুই অসাধারণ মনে হয়নি, তবে মাটির ভেতরে কিছু অদ্ভুত ধাতুর উপস্থিতি তাকে অবাক করে দিল। “এই ধাতু পৃথিবীতে আগে কখনো পাওয়া যায়নি,” তনয় অবাক হয়ে বলল। “এটি কোনো পরিচিত ধাতুর মধ্যে পড়ে না। এর উপাদানগুলো খুবই বিরল।”
তারপর তনয় আরো কিছু পরীক্ষা চালাল, এবং সোহম দেখতে পেল যে ধাতুর ওপর থাকা জটিল সংকেতগুলোও কিছু অস্বাভাবিক তথ্য প্রদান করছে। এগুলো দেখতে যেন কোনো ভাষার মতো, কিন্তু অদ্ভুতভাবে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল না। “এটা কি হতে পারে?” সোহম অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল।
তনয় মাথা নেড়ে বলল, “এটা যদি অন্য কোনো গ্রহের প্রযুক্তি হয়, তবে কী হতে পারে? আমি যে সংকেতগুলো দেখছি, সেগুলো একটা নতুন যোগাযোগ পদ্ধতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। হয়তো জ্যোতি বা তার গ্রহের কিছু প্রতিনিধি এই পৃথিবীতে আগেই এসেছে।”
এটা শোনার পর সোহমের মনে আরও বেশি প্রশ্ন জমতে লাগল। সে বলল, “তবে তারা কি আমাদের জানানো চায়? তাদের উদ্দেশ্য কি শুধুমাত্র সতর্কতা দান, নাকি অন্য কিছু?”
তনয় কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, “এটা একেবারে নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। কিন্তু যে ধাতু এবং সংকেত আমরা পেয়েছি, তা আমাদের সামনে কিছু অদ্ভুত নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।”
সোহম চিন্তা করতে লাগল, “তবে আমাদের এই ঘটনা সবার কাছে প্রকাশ করা উচিত নয়। যদি সাধারণ মানুষ জানে, তবে তা শুধু আতঙ্ক সৃষ্টি করবে।”
তনয় সম্মতি জানিয়ে বলল, “ঠিকই বলেছ। আমাদের প্রথমে এসব নমুনা এবং সংকেত নিয়ে আরও পরীক্ষা করতে হবে। যদি সত্যিই এটি কোনো অ্যালিয়েন প্রযুক্তি হয়, তবে আমাদের আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে।”
তারা সিদ্ধান্ত নিল, ঘটনাটি গোপন রাখা এবং আরও তদন্ত করার। তনয় কিছু নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবের ভেতর আরেকটি পরীক্ষা চালাল, এবং সোহমও তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তনয় কনক্রীট ফলাফল পেয়েছিল। “এই ধাতু থেকে কোনো শক্তি বিকিরিত হচ্ছে। এটি কোনো জীবন্ত বস্তু নয়, তবে একটি অতি উন্নত প্রযুক্তির অংশ।” তনয় বলল।
সোহম গম্ভীরভাবে বলল, “তাহলে, আমরা যে গোলক দেখেছি, সেটি যদি শুধু ভ্রমণের মাধ্যম না হয়? যদি সেটি আমাদের উপর নজর রাখার জন্য এখানে থাকে?”
তনয় তার ল্যাবের স্ক্রীনে তাকিয়ে বলল, “এটা তো অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। কিন্তু এর সঠিক কারণ জানার জন্য আমাদের আরও তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।”
এভাবেই সোহম এবং তনয় বুঝতে পারল, তারা এমন এক রহস্যের মাঝে পড়ে গেছে যা পৃথিবীকে চিরকাল বদলে দিতে পারে।
রহস্য-রোমাঞ্চ বাংলা ছোট গল্প - রাত্রির কান্না: "রাত্রির কান্না" একটি রহস্য রোমাঞ্চ বাংলা ছোট গল্প যেখানে ঠাকুরবাড়ির গোপন ষড়যন্ত্র, হত্যা ও ন্যায়ের লড়াই উন্মোচিত হয়। গোয়েন্দা অশ্বিনী সেনের নেতৃত্বে সত্যের সন্ধান উঠে আসে। সম্পুর্ন্য বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে এই লিংকটি ক্লিক করুন।
অধ্যায় ৪: সংকেতের রহস্য
তনয় এবং সোহম গভীর রাতের পর রাত একসঙ্গে কাজ করতে লাগল। তাদের পরীক্ষাগারে বিশাল কম্পিউটারের স্ক্রীনে সংকেতগুলো বারবার চলতে থাকল। সংকেতটি যে কোনো সাধারণ কোডের মতো ছিল না, তা সহজেই স্পষ্ট হয়ে উঠল। তনয় বলল, “এটা কোনো বিশেষ ধরনের মহাজাগতিক ভাষা, যা পৃথিবীর ভাষার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়।” সোহম আশ্চর্য হয়ে তাকাল, “অতএব, এর মানে হল যে, কেউ পৃথিবীর বাইরে থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে?”
তনয় মাথা নেড়ে বলল, “ঠিক। যদি এই সংকেতগুলির দিকে ভালোভাবে তাকানো যায়, তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এখানে এমন কিছু প্যাটার্ন রয়েছে, যা এক ধরনের ‘মহাজাগতিক সংকেত’—একটি বার্তা—যা জানাচ্ছে, পৃথিবীকে সতর্ক থাকতে হবে।”
তারা ধীরে ধীরে সংকেতটি ডিকোড করতে শুরু করল, আর প্রতিটি পদক্ষেপে তাদের চোখে আরও বেশি সন্দেহের আঁচড় লাগছিল। কিছুটা সময় পর, একটি অংশ স্পষ্ট হয়ে উঠল—এটি ছিল একটি সতর্কবার্তা, যা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছিল, পৃথিবী বা মানবজাতি যদি তাদের পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা না করে, তবে বিপদ আসবে।
সোহম হতবাক হয়ে বলল, “তাহলে, এটা সত্যিই আমাদের পৃথিবীর ভবিষ্যত সম্পর্কে কিছু বলতে চাইছে। তারা কি আমাদের গ্রহের অবস্থা নিয়ে চিন্তিত? তাদের গ্রহ তো ধ্বংস হয়ে গেছে অতিরিক্ত প্রযুক্তির ব্যবহারেই।”
তনয় চিন্তিতভাবে বলল, “হ্যাঁ, এবং তাদের প্রযুক্তি পৃথিবীর বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য এতটা উন্নত। তারা ঠিকই বুঝতে পেরেছে, আমরা যে পথ অনুসরণ করছি, সেটি আমাদের জন্য বিপদজনক হতে পারে।”
তাদের পরীক্ষার ফলাফল থেকে আরো কিছু রহস্যময় উপাদান উঠে আসল। তনয় বলল, “এটা শুধু একটিই সতর্কবার্তা নয়, আরও কিছু সংকেত আছে যা আসলে আমাদের পরিবেশের ওপর নজর রাখছে। এই সংকেতের প্যাটার্নগুলো খুব সূক্ষ্মভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে—এটা একটা ইশারা, যেন কিছু অত্যন্ত শক্তিশালী প্রযুক্তি পৃথিবীতে লুকিয়ে আছে এবং এটি আমাদের উপর প্রভাব ফেলছে।”
সোহম বিভ্রান্ত হয়ে বলল, “তবে, কেন তারা আমাদের পৃথিবীতে এতটা গভীরভাবে নজর রাখছে? তাদের লক্ষ্য কি শুধু সতর্কতা দেওয়া, নাকি আমাদের পরিবর্তন করার জন্য কিছু করা?”
তনয় সোজা হয়ে বসে বলল, “এটা এক ধরনের পরীক্ষা হতে পারে। তারা দেখছে, আমরা কীভাবে এই সংকেতগুলো গ্রহণ করি এবং কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাই। তারা হয়তো আমাদের প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে আমাদের ভবিষ্যতের জন্য কোনো পদক্ষেপ নিতে চায়।”
তিন দিন পর, তনয় এবং সোহম আবারও পরীক্ষাগারে বসে ছিল। সোহম এক গ্লাস জল খাচ্ছিল, আর তনয় আবারো সংকেতগুলোর বিশ্লেষণ করতে লাগল। কিছুক্ষণ পরে তনয় চমকে উঠল। “সোহম, আমি কিছু একটা খুঁজে পেয়েছি!”
সোহম চমকে তাকিয়ে বলল, “কী খুঁজে পেয়েছো? তুমি কি জানো, তারা আমাদের দিকে কীভাবে নজর রাখছে?”
তনয় উত্তেজনার সাথে বলল, “না, আসলে… এটি আরো গভীর কিছু হতে পারে। আমি যা দেখছি, সেটি পৃথিবীর চারপাশে এক ধরনের শক্তি বা প্রভাব তৈরি হচ্ছে—যা একটি স্থায়ী পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত করছে। এর মানে, তাদের প্রযুক্তি সম্ভবত পৃথিবীতে কোন এক পদ্ধতিতে ঢুকে পড়েছে এবং সেটা আমাদের মধ্যে কাজ করছে।”
সোহম আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, “তাহলে, আমরা কী করতে পারি? এই পৃথিবী যে এখন খুবই বিপজ্জনক অবস্থায়, সেটা তো আমরা জানি।”
তনয় ভাবনায় মগ্ন হয়ে বলল, “আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কীভাবে আমরা এই সংকেতগুলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেব। তবে, যদি আমরা এটা সবাইকে জানাই, তাহলে অযথা আতঙ্ক সৃষ্টি হতে পারে।”
তাদের চিন্তায় অনেক কিছু এলোমেলো হয়ে উঠল। তারা জানত, সংকেতটি যে পৃথিবীকে সতর্ক করতে এসেছে, তা স্পষ্ট। কিন্তু যেভাবে তারা পৃথিবীকে সচেতন করবে, তাতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এদিকে, তনয়ের ল্যাবের একটি ছোট স্ক্রীনটিতে আকস্মিকভাবে একটি নতুন সংকেত আসতে শুরু করল। সোহম সেটা দেখার পর তনয়কে ডাকল, “তনয়! এটা কী? আবার নতুন কিছু আসছে!”
তনয় দেখল, স্ক্রীনে সংকেতটি খুবই অদ্ভুত। এর মধ্যে এক ধরনের প্রাণীর অঙ্গভঙ্গি ছিল, যেন তারা কোনো বিশেষ আকারে মনের অবস্থাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। “এটা তো সম্ভবত… তারা আমাদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করছে!” তনয় বলল। “এটা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হতে পারে। তারা আমাদের ভুলে যেতে দেয়নি, কারণ আমাদের প্রতিক্রিয়া তারা হিসাব করতে চাইছে।”
সোহম মনে মনে ভয়ে কাঁপতে লাগল। “তাহলে, তারা কি আমাদের পরীক্ষার অংশ হিসেবে ব্যবহার করছে? আমরা কি এক ধরনের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছি?”
তনয় মাথা নেড়ে বলল, “এটা হতে পারে। আমাদের তাদের উদ্দেশ্য বুঝে বের করতে হবে। এটা শুধু যে সতর্কবার্তা, তা নয়; এর পেছনে অনেক বড় কিছু থাকতে পারে।”
তাদের মধ্যে কথোপকথন চলছিল, কিন্তু একে একে নতুন তথ্য ও রহস্য উন্মোচিত হচ্ছিল। তারা জানতে পারছিল, পৃথিবী আসলে এক বিপদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এবং পৃথিবী ও মহাকাশের মধ্যে একটা সম্পর্ক রয়েছে—যা বিজ্ঞানীদের কল্পনার বাইরে।
রহস্য-রোমাঞ্চ বাংলা ছোট গল্প - রক্তকলমের রহস্য: "রক্তকলমের রহস্য" একটি রহস্য রোমাঞ্চ বাংলা ছোট গল্প, যেখানে সোনা ও কিং একটি অভিশপ্ত রক্তমাখা কলমের ভয়ানক সত্য উন্মোচন করে। গল্পে রহস্য, ভৌতিক থ্রিল এবং সাহসিকতার সমাহার। সম্পুর্ন্য বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে ও অডিও স্টোরির স্বাদ উপভোগ করতে এই লিংকটি ক্লিক করুন।
অধ্যায় ৫: ভবিষ্যতের দিকে এক নতুন দিশা
তনয় এবং সোহম একসাথে তাদের গোপন গবেষণা কেন্দ্রে কাজ চালিয়ে যেতে লাগল। নতুন ও অজানা ধাতব নমুনাগুলি এবং সংকেতগুলো নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে তারা দিনের পর দিন ল্যাবরেটরি ত্যাগ করল না। সোহম বারবার অনুভব করছিল, তারা যেন কিছু এমন কিছু খুঁজে পেতে চলেছে, যা পৃথিবী এবং মহাজাগতিক সত্যের মধ্যে এক অজানা সম্পর্ক উন্মোচিত করবে।
তনয় একটি নতুন গবেষণা রিপোর্টে কিছু অদ্ভুত ও সন্দেহজনক উপাদান আবিষ্কার করল। “সোহম, তুমি যদি ভালো করে খেয়াল করো, এই ধাতুর মধ্যে এক ধরনের অদ্ভুত শক্তি ঢুকেছে। যে সংকেত আমরা ডিকোড করেছিলাম, তার মধ্যে ত্রুটি দেখা যাচ্ছে। কেউ যেন আমাদের উপর নজর রাখছে।” তনয় বলল। সোহম অবাক হয়ে তাকিয়ে বলল, “কীভাবে? এর মানে তো হতে পারে যে… আমাদের গবেষণা থেকে কেউ বা কিছু আমাদের পিছু নিচ্ছে?”
তনয় কিছুটা চিন্তিত হয়ে বলল, “হ্যাঁ, এবং এটা এমন কিছু হতে পারে, যা আমরা বুঝতে পারছি না। এই ধাতু এবং সংকেত শুধুমাত্র পৃথিবী থেকেই আসে না, বরং অন্য কোথাও থেকে তাদের প্রভাব অনুভূত হচ্ছে।”
তারা জানত, পৃথিবী থেকে দূরে কোথাও এক অন্য জগৎ বা পৃথিবী অপেক্ষা করছে, যে পৃথিবী ধ্বংসের পথে যেতে পারে, এবং তারা এখান থেকে সেই বার্তা পাঠাচ্ছে। কিন্তু কেন? কেন তারা তাদের সংকেতগুলো এত গোপনে রেখেছে? কেন তারা সরাসরি যোগাযোগ করতে চায়নি?
“আমাদের কি এটি বিশ্বের সামনে প্রকাশ করা উচিত?” সোহম বলল, তার কণ্ঠে উদ্বেগ ছিল। “তবে, যদি পৃথিবী প্রস্তুত না থাকে, তাহলে বিশাল আতঙ্ক সৃষ্টি হতে পারে।” তনয় মুচকি হেসে বলল, “ঠিক তাই, সোহম। প্রথমে আমাদের কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
এদিকে, পরীক্ষাগারে দীর্ঘ সময় কাটানোর পর তনয় একটি নতুন গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করল। সে বলল, “এই সংকেতের আরেকটি অংশে আমি একটি কোড পেয়েছি, যা জানাচ্ছে তারা আমাদের পরিবেশের উপর নজর রাখছে। কিন্তু এটা যা পরিণতি হতে পারে, সেটা… আরও খারাপ!”
সোহম চিন্তা করতে লাগল, “অর্থাৎ, তারা পৃথিবীর ভবিষ্যতকে দেখতে পেয়ে আমাদের সাহায্য করতে চায়, কিন্তু এটি সরাসরি হস্তক্ষেপের মতো। তাদের এখানে উপস্থিতি আমাদের জীবনের প্রতিটি কোণায় মিশে রয়েছে, যেন তারা আমাদের ভবিষ্যতের প্রতি নিঃশব্দভাবে প্রভাব ফেলছে।”
তনয় আরও কিছু ক্লু তুলে ধরল, “এটা শুধুমাত্র একটি গবেষণা বা পরীক্ষা নয়, সোহম। আমরা যদি এই সংকেতগুলির প্রতি আরো গভীর মনোযোগ দিই, তবে বুঝতে পারব, এই বার্তা আমাদের মধ্যে এক ধরনের দায়িত্বশীলতা তৈরি করতে চাইছে। তারা চায়, আমরা অতিরিক্ত প্রযুক্তির ব্যবহার না করে, পৃথিবীর প্রকৃত ভারসাম্য রক্ষা করি। তারা আমাদের শেখাতে চায়, প্রযুক্তি আমাদের গন্তব্য নয়, বরং প্রকৃতি ও আমাদের সম্পর্কই মূল।”
তবে, যেহেতু তারা এতদিন গোপনে কাজ করেছে, তনয় সোহমকে আবারও সাবধান করল, “এখনও অনেক কিছু অজানা আছে, সোহম। আমাদের পরিকল্পনা খুব সাবধানে করতে হবে। যদি আমরা এটা সবার সামনে আনি, তাহলে পৃথিবী এবং মহাজাগতিক শক্তির মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।”
সোহম সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলল, “তবে, কি আমরা এটি লুকিয়ে রাখবো? পৃথিবী কি এর যোগ্য প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে? আমরা জানি, প্রযুক্তির চাপে পরিবেশ ভেঙে পড়ছে। তবে এই সংকেত আমাদের জানাচ্ছে, যদি আমরা এই অতি ব্যবহৃত প্রযুক্তির প্রতি নজর না দিই, তা হলে আমরা যে বিপদের মুখোমুখি হবো, তা বর্ণনাতীত।”
তনয় নীরবে কিছুক্ষণ ভাবতে লাগল। তারপর বলল, “তুমি ঠিক বলছ, সোহম। কিন্তু যদি এই বার্তাটি ঠিকমতো পৌঁছানো না যায়, তবে পৃথিবী আরও বিপদে পড়তে পারে।”
একদিন সন্ধ্যায়, সোহম এবং তনয় গোপন গবেষণা কেন্দ্রের কম্পিউটারের স্ক্রীনে পুরনো সংকেতের নতুন অংশ দেখল, যা তাদের হতবাক করে দিল। সেই সংকেতের মধ্যে ছিল একটি ডেটা সিরিজ, যা পৃথিবী ও জ্যোতির গ্রহের মধ্যে শক্তির অদ্ভুতভাবে মিলিত হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল। এই শক্তি পৃথিবীতে কোনো না কোনোভাবে প্রবাহিত হচ্ছে, এবং সে শক্তির উপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ না পেলে বিপদ হতে পারে।
সোহম আর তনয় চমকে গিয়ে একে অপরের দিকে তাকাল। “এটি যেন… এক ধরনের সংকেত, যা আমাদের জানানোর চেষ্টা করছে, আমরা এখন কোথায় যাচ্ছি।” সোহম বলল। “এটা নিশ্চিত যে, আমাদের সামনে কিছু অপেক্ষা করছে, যা আমরা এখনো পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি।”
তনয় সহমত জানিয়ে বলল, “জ্যোতি আমাদের সতর্ক করতে চেয়েছিল, এবং এখন আমরা জানি, আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পৃথিবী এবং মহাকাশের মধ্যে এক অদৃশ্য সম্পর্ক গড়ে উঠছে। এই সংকেতগুলির ভিত্তিতে, হয়তো আমাদের উচিত পৃথিবীকে এই বিপদ সম্পর্কে জানানো। তবে, কখনও কখনও একটি সত্য গ্রহণ করা কঠিন হয়।”
সোহম জানত, এই সন্ধ্যায় সব কিছু যেন বদলে যেতে পারে। সে জানত, একদিন আবার জ্যোতির সঙ্গে তার দেখা হতে পারে, এবং এই মিশনটি মানবজাতির জন্য এক নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। কিন্তু তার মনে ছিল এক গভীর সন্দেহ, যেটি তাকে ভাবিয়ে তুলছিল—সত্যি কি তারা শুধুমাত্র একটি সতর্কবার্তা পেয়েছে, না কি এই সংকেতের পেছনে আরও কিছু গভীর রহস্য লুকিয়ে রয়েছে?