হস্য রোমাঞ্চে ভরা এক বাংলা গল্প!জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে রহস্যময় মৃত্যু!এক শিক্ষিকা, এক মালি, আর এক রহস্যময় ডায়েরির পাতা -সব মিলিয়ে এক রোমাঞ্চকর গল্প।

বাংলা ছোট গল্প

Home » বাংলা ছোট গল্প » রাত্রির কান্না

রাত্রির কান্না

হস্য রোমাঞ্চে ভরা এক বাংলা গল্প!জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে রহস্যময় মৃত্যু!এক শিক্ষিকা, এক মালি, আর এক রহস্যময় ডায়েরির পাতা -সব মিলিয়ে এক রোমাঞ্চকর গল্প।

কোলকাতার প্রাচীন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির উঁচু দেওয়ালের ছায়ায় লুটিয়েছিল রাত। ভেজা পাতার সরসরানি আর দূরে কোথাও কুকুরের আভাসী আ,উঁ করে ওঠা ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই। এই নিঃশব্দে, বিরাট ঠাকুরবাড়ির জানলার ফাঁক দিয়ে একটা ক্ষীণ আলোকরেখা ঝিলমিল করছিল। সেই আলোর দিকেই এগিয়ে গেল সোহম। হাতে জ্বলন্ত মোমবাতির কাঠি, যার ধারটা ধারালো ছুরির মতো।

ঠাকুরবাড়ির জানলাটা ভাঙা। ভিতরে ঢুকে সোহম চমকে উঠল। ঘরের মাঝখানে মৃতদেহ। এক মহিলা, বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। রক্তে রাঙানো শাড়ি, নিথর চোখ। গলার কাছে একটা চওড়া, রক্তমাখা ক্ষত। শান্তিনিকেতনের শিক্ষিকা, মিসেভি।

কিন্তু মৃতদেহই যে শুধু থমকে দাঁড়িয়ে দিল সোহমকে, তা নয়। ঠাকুরবাড়ির এক কোণায়, জোড় হাতে বসে থাকা এক তরুণী। চোখে অসম্ভব ভয়, আর পায়ের কাছে ছোট্ট একটা পুকুর জমেছে। মুখে গোঁজা থাকা কাপড়টা সরিয়ে দিল সোহম। মুখটা দেখে আরও চমক লাগলো তার

“পিয়া?” সে চিনতে পারলো মেয়েটিকে। পিয়া, তার ছোটবেলার খেলার সাথী, যে কয়েক বছর আগে পড়াশোনা শেষ করে মুম্বাই চলে গিয়েছিল! “পিয়া, তুমি এখানে? কি হয়েছে?”

পিয়ার কণ্ঠে কোনো সাড়া নেই। শুধু চোখ দুটো ভয়ে পানাহত। সোহম বুঝলো, মেয়েটির সাথে কথা বলে লাভ নেই। এখন পুলিশ ডাকা জরুরি। মোবাইলটা বের করতে গিয়েই থমকে গেল সে। নেই নেটওয়ার্ক।

এই বিশাল ঠাকুরবাড়িতে আর কেউ ছিল না। মিসেভি আর পিয়া। একজন খুন, আরেকজন সাক্ষী। কিন্তু এই দুইয়ের মাঝে কী ঘটেছিল, তা নেহাতই বুঝতে পারছিল না সোহম। একটা সময় কাঠামাঠি গলা শোনা গেল।

“কে আছে?”

সোহম পিছনে ফিরল। একটা দীর্ঘাকায়, মধ্যবয়সী পুরুষ দাঁড়িয়ে। হাতে ল্যাম্প ঝুলছে, যার আলোয় তার মুখটা অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

“আমি সোহম,” সোহম নিজের পরিচয় দিল। “এখানে এসেছিলাম মিসেভিকে দেখা করতে। কিন্তু…” সে ইশারা করল মৃতদেহের দিকে।

পুরুষটি চমকে উঠল। কাছে এসে মৃতদেহ দেখল সেও। তারপর চোখ পড়ল পিয়ার দিকে। চোখ দুটো সন্দেহে কুঁচকে গেল।

“এই মেয়েটি কে?” জিজ্ঞাসা করল পুরুষটি। কণ্ঠটা ছিল রুক্ষ, কড়া।

“পিয়া,” বলল সোহম। “আমার ছোটবেলার বন্ধু।”

পুরুষটি কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর বলল, “আপনি জানেন না, মিসেভি কয়েকদিন ধরে একটা মেয়েকে খুঁজছিলেন। পুলিশেও এফআইআর দিয়েছিলেন।”

সোহমের কপালে চিন্তার রেখা পড়ল। “কী মেয়ে? কেন খুঁজছিলেন?”

“এটা এখনই বলা যাবে না,” বলল পুরুষটি। “আপনি বরং বের হয়ে যান। পুলিশ আসছে।”

“কিন্তু পিয়া…”

“পুলিশকে সব জানাবেন।” পুরুষটির কণ্ঠে এবার একটা কড়া আদেশের ভাব ঢুকে গেল। সোহম আর একটা কথা বলার আগেই সে ঘরের দরজাটা ছেঁকে দিল।

একটা অস্বস্তি গেঁথে ধরল সোহমকে। পুলিশ না আসা পর্যন্ত সেই ঘরেই বন্দি হয়ে রইল সে। মাঝে মাঝে পিয়ার দিকে চোখ যেত। মেয়েটি এখনো জড়িয়েই ছিল। কী জানি কী ভাবছিল সে, কী দেখেছিল, কী জানতো, কিছুই বুঝতে পারছিল না সোহম।

একঘণ্টা পরে শোনা গেল দূরে সাইরেনের আওয়াজ। একটু পরেই ঠাকুরবাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকল কয়েকজন পুলিশ অফিসার। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন একজন বয়স্ক, খাঁটি বাঙালি মুখোমশালা পুলিশ অফিসার, সিআই অশ্বিনী সেন।

“কী হয়েছে এখানে?” জিজ্ঞাসা করলেন অশ্বিনী।

সোহম সব খুলে বলল। মিসেভির মৃতদেহ, পিয়াকে দেখা, আর সেই অচেন পুরুষের কথা। অশ্বিনী মৃতদেহের দিকে গেলেন। পরীক্ষা করে তিনি বললেন, “খুনটা খুব পরিষ্কার হাতে কাজটা করেছে। কোনো রকমের লড়াইয়ের চিহ্ন নেই।”

তিনি তারপর পিয়ার কাছে এলেন। মেয়েটির গা থেকে গোঁজা কাপড়টা সরিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “কী হয়েছে তোমার?”

পিয়া কাঁপতে শুরু করল। তারপর একটা থেমে থেমে কথা বলতে শুরু করল। সে জানালো, সে মুম্বাই ছেড়ে কয়েকদিন আগে কলকাতায় এসেছে। মিসেভির খোঁজে। কারণ, মিসেভি জানিয়েছিলেন, পিয়ার বাবার মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন করতে পারবেন।

পিয়ার বাবা, অজিত দত্ত, কয়েক বছর আগে এই জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে মালি হিসেবে কাজ করতেন। এক রাতে তার মৃতদেহ ঠাকুরবাড়ির বাহিরে পাওয়া যায়। পুলিশ তদন্ত করে মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলে ঘোষণা করে। কিন্তু পিয়া বিশ্বাস করতে পারেনি। মনে মনে সন্দে ছিল তার, বাবার মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা নয়। কিন্তু তখন সে ছোট, কোনো কিছু করতে পারেনি। কয়েক বছর পর, মিসেভির সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ হয় পিয়ার। মিসেভি জানান, অজিতের মৃত্যুর সময় তিনি এই ঠাকুরবাড়িতে থাকতেন। আর কিছু জানা তথ্য আছে তার, যেগুলো পুলিশের কাছে প্রকাশ করেননি। সেই তথ্যের আলোকেই পিয়াকে কলকাতায় আসতে বলেছিলেন মিসেভি।

পুলিশ অফিসার অশ্বিনী সেন মনোযোগ দিয়ে শুনলেন পিয়ার কথা। তারপর জিজ্ঞাসা করলেন, “কিন্তু এখানে এসে মিসেভির সাথে দেখা হলো কিনা?”

পিয়া মাথা নাড়ল। “এখানে এসে দেখি, দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতে গেলাম। কিন্তু দরজা খোলাই ছিল। ভিতরে ঢুকে দেখি, মিসেভি মৃত পড়ে আছেন। আর…” পিয়া থেমে গেল, চোখ দুটো ভয়ে পূর্ণ হয়ে উঠল।

“আর কী?” জোর দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন অশ্বিনী।

“আর…” পিয়া কাঁদতে শুরু করল, “আর একজন লোক ছিল। সে আমাকে…” সে হাত দিয়ে গলাটা নির্দেশ করল।

পুলিশ অফিসাররা একে অপরের দিকে তাকিয়ে চোখে ইশারা করলেন। এই ঘটনায় আরো একটা রহস্যের স্তর জমা হলো। খুন কি একজন নয়, দুজন? আর সেই অচেন পুরুষটি কে?

অশ্বিনী সেন পিয়াকে সান্ত্বনা দিয়ে নিজের কার্ড দিলেন। “এখন আপনাকে থানায় যেতে হবে। সবকিছু লিখিতভাবে জিজ্ঞাসা করব।”

পুলিশ পিয়া আর সোহমকে নিয়ে থানায় চলে গেল। ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম কাজ শুরু করল। ঠাকুরবাড়ির চারপাশে ঘেরা টানা হলো। সারারাত জুড়ে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টায় ব্যস্ত থাকল পুলিশ।

কিন্তু প্রশ্নের উত্তর মিলছিল না। কে খুন করল মিসেভিকে? আর কী কারণে? আর সেই অচেন পুরুষের সঙ্গে এই খুনের কী সম্পর্ক? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে সোহম আর পিয়াও থানায় থাকলেন রাত জুড়ে।

সারা রাত জুড়ে জিজ্ঞাসা চলল। পুলিশ অফিসার অশ্বিনী সেন পিয়ার কাছ থেকে জানা তথ্য নিয়ে খতিয়ে দেখলেন। অজিত দত্ত, পিয়ার বাবা, ঠাকুরবাড়িতে মালি হিসেবে কাজ করার সময় এই বাড়ির মালিকদের কিছু গোপনীয়তা জেনে ফেলেছিলেন। সেই গোপনীয়তা হয়তো জানাজানি করার ভয় দেখিয়ে তাকে খুন করা হয়। কিন্তু সেই গোপনীয়তা ঠিক কী, তা পিয়াকে জানানো হয়নি।

অশ্বিনী সেন সোহমকেও জিজ্ঞাসা করলেন। সোহম জানাল, সে মিসেভির কাছে নিয়মিত টিউশন নিত। মিসেভি খুব ভালো শিক্ষিকা ছিলেন। কিন্তু কিছুদিন ধরেই তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন। কারো নাম না করে বলেছিলেন, কেউ তাকে হুমকি দিচ্ছে।

পুলিশ পরেরদিন ঠাকুরবাড়ির মালিকদের জিজ্ঞাসা করতে গেল। তারা অবশ্যই অজিতের মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলে জানালেন। মিসেভির খুনের সাথেও তাদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি জানালেন। কিন্তু তাদের জবাব অস্বাভাবিক শান্ত ছিল, যা পুলিশের সন্দে আরো বাড়িয়ে দিল।

এদিকে, ফরেনসিক রিপোর্টে জানা গেল, মিসেভিকে গলায় দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কোনো আঙ্গুলের ছাপ বা অন্য কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি। কিন্তু একটা জিনিস পুলিশের নজর কাড়ল। মৃতদেহের পাশে পাওয়া গেল একটা পুরনো ডায়েরির পাতা। সেই পাতায় লেখা ছিল, “আমি জানি।”

অশ্বিনী সেন সেই ডায়েরির পাতা নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন। হাতের লেখাটি চেনা মনে হলো তার। কিন্তু কোথায় সে এই লেখা দেখেছেন, মনে পড়ছে না। কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ করেই তার চোখ জ্বলজ্বলিয়ে উঠলো।

তিনি সোহমকে ডেকে পাঠালেন। সোহম এসে হাজির হলো। অশ্বিনী সেন ডায়েরির পাতাটা দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “এই হাতের লেখাটা চিনতে পারো?”

সোহম পাতাটা দেখে চমকে উঠল। “এটা… এটা তো মিসেভির লেখা!”

“হ্যাঁ,” বললেন অশ্বিনী সেন। “কিন্তু তাহলে মিসেভি নিজেই লিখেছেন, ‘আমি জানি।’ জানেন কী?”

এই প্রশ্নের উত্তর পেতে অশ্বিনী সেন ফিরে গেলেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। তিনি ঠাকুরবাড়ির চত্বার ঘুরে দেখলেন। তার চোখ পড়ল একটা পুরনো, জরাজীর্ণ কূয়ার দিকে। সেই কূয়ার মুখটা পাথরে ঢাকা ছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে হয়তো বৃষ্টির জলে সেই পাথরটা সরে গিয়েছে।

অশ্বিনী সেন নির্দেশ দিলেন ঐ কূয়াকে খোলার। দড়ি দিয়ে কিছু লোক নেমে গেল কূয়ার মধ্যে। একটু পরেই চিৎকার শোনা গেল। সবাই ছুটে গেল কূয়ার ধারে। দেখা গেল, লোকজনরা একটা মরচে লাগা ঝোলা টেনে উপরে আনছে। ঝোলাটা খুললেন অশ্বিনী সেন। ভিতরে ছিল অজিত দত্তের কঙ্কাল।

এবার সব পরিষ্কার হয়ে গেল। অজিত ঠাকুরবাড়ির মালিকদের কোনো গোপনীয়তা জেনে ফেলেছিলেন। সেই গোপনীয়তা ছিল, ঠাকুরবাড়িরই এক আত্মীয়াকে বিদেশ পাচার করার চক্র। অজিত এটা প্রকাশ করার ভয় দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ঠাকুরবাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করে এই কূয়াতে ফেলে দিয়েছিলেন।

কিন্তু মিসেভি কীভাবে জানলেন এই রহস্য?

পুলিশ জানতে পারল, মিসেভি অজিতের মেয়ে পিয়া কে ফেসবুকে চিনলেন। পিয়ার কাছ থেকেই তিনি এই গোপনীয়তা জানতে পারেন। মিসেভি পুলিশকে জানাতে চেয়েছিলেন সব। কিন্তু ঠাকুরবাড়ির লোকজন তা বুঝতে পেরেছিল। ফলে তারা মিসেভিকেও খুন করে ডায়েরির সেই পাতাটি ছেড়ে তার পাশে রেখে দেয়। যাতে মনে হয়, মিসেভি নিজেই হয়তো পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

অশ্বিনী সেন ঠাকুরবাড়ির মালিকদের গ্রেফতার করলেন। পুরো ঘটনার সমাধান করতে পেরে স্বস্তির  (ডট) (ডট) (ডট) (ডট) (ফুলস্টপ) টানলেন তিনি। পিয়া বছরের পর বছর ধরে বাবার মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে সফল হলেন। সোহমও বন্ধু মিসেভির মৃত্যুর রহস্য জানতে পেরে কিছুটা শান্তি পেলেন। কিন্তু জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির নিশ্চুপ দেওয়ালগুলো সাক্ষী থাকল এই রাতের রোঁদনের, এই অসত্য ও সত্যের লড়াইয়ের।

এই রকম চিত্তাকর্ষক বাংলা ছোট গল্প -এর আপডেট পেতে আমাদের WhatsApp চ্যানেল জয়েন করুন।

About The Author

নতুন বাংলা ছোট গল্প

জীবনপথের সন্ধানে

মোটিভেশনাল বাংলা ছোট গল্প: সঞ্জয়ের আত্ম-উদ্বোধন এবং নতুন জীবন শুরু করার যাত্রা। অনুপ্রেরণা এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটি সাফল্যমণ্ডিত গল্প।

মোটিভেশনাল বাংলা ছোট গল্প: সঞ্জয়ের আত্ম-উদ্বোধন এবং নতুন জীবন শুরু করার যাত্রা। অনুপ্রেরণা এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটি সাফল্যমণ্ডিত গল্প।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: জীবনপথের সন্ধানে

নিঃশব্দ মুক্তি

"নিঃশব্দ মুক্তি" একটি বাংলা ছোট গল্প যেখানে থালিয়া, একজন নির্যাতিত স্ত্রী, ফুটবল আসক্ত স্বামী মার্কের অত্যাচারের শৃঙ্খল ভেঙে নিজের ও মেয়ে গাব্বির জন্য নতুন জীবনের সন্ধান করে। গল্পটি সমাজের অন্ধকার বাস্তবতা ও সাহসিকতার মাধ্যমে নারীর মুক্তির পথে যাত্রাকে তুলে ধরে।

"নিঃশব্দ মুক্তি" একটি বাংলা ছোট গল্প যেখানে থালিয়া, একজন নির্যাতিত স্ত্রী, ফুটবল আসক্ত স্বামী মার্কের অত্যাচারের শৃঙ্খল ভেঙে নিজের ও মেয়ে গাব্বির জন্য নতুন জীবনের সন্ধান করে। গল্পটি সমাজের অন্ধকার বাস্তবতা ও সাহসিকতার মাধ্যমে নারীর মুক্তির পথে যাত্রাকে তুলে ধরে।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: নিঃশব্দ মুক্তি

মুক্তির পথে প্রেম

১৯৪৩ সালের ভারতীয় মুক্তির আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত এই ঐতিহাসিক কথাসাহিত্য গল্পে বিজয় ও সুফিয়ার প্রেম এবং সংগ্রামের কাহিনী উঠে এসেছে। বাংলা ছোট গল্পের এই অধ্যায়ে, সাহসী অভিযান ও বিপদের মধ্যে ভালোবাসা ও দেশপ্রেমের মূর্ত প্রতীক হয়ে ওঠে তাদের জীবন।

১৯৪৩ সালের ভারতীয় মুক্তির আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত এই ঐতিহাসিক কথাসাহিত্য গল্পে বিজয় ও সুফিয়ার প্রেম এবং সংগ্রামের কাহিনী উঠে এসেছে। বাংলা ছোট গল্পের এই অধ্যায়ে, সাহসী অভিযান ও বিপদের মধ্যে ভালোবাসা ও দেশপ্রেমের মূর্ত প্রতীক হয়ে ওঠে তাদের জীবন।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: মুক্তির পথে প্রেম

Leave a Comment

অনুলিপি নিষিদ্ধ!