কলকাতার বুকে, নিশ্চুপ এক গলির মোড়ে, দাঁড়িয়ে আছে সেই বিশাল, প্রাচীন জমিদার বাড়িটা। রাজবাড়ি নামে পরিচিত সেই জমিদার বাড়ি এখন জাদুঘরে রূপান্তরিত। কিন্তু এই জাদুঘর নিয়ে একটা কানাঘুষো চলে। লোকে গুঞ্জন করে, রাতে জাদুঘরের ভেতর থেকে আওয়াজ আসে। আবার কেউ কেউ দাবি করে, অপূর্ণ আত্মারা ঘুরে বেড়ায় এই বিশাল সৌধের অন্ধকার কোঠাগুলোয়।
এমন গুঞ্জনের মাঝেই এক বৃষ্টিভেজা দুপুরে জাদুঘরে ঢুকে পড়লেন সোমনাথ। ছেলেবেলা থেকেই রহস্যের প্রতি একটা অদম্য কৌতূহল ছিল তার মধ্যে। জাদুঘরের কর্তব্যরত প্রবীণ চৌকিদার তাকে একটু সন্দেহের চোখেই দেখল। কিন্তু সোমনাথ নির্বিকার, সে ঢুকে পড়ল ঐতিহ্যের সাক্ষী সেই প্রকাণ্ড কক্ষগুলোয়।
মূর্তি, ছবি, পুরনো কাপড়, অস্ত্রশস্ত্র – প্রতিটি জিনিসই যেন সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাওয়া অতীতকে ফিরিয়ে আনছিল। কিন্তু হঠাৎ থমকে গেল সোমনাথ। তার চোখ আটকে গেল এক বিরাট আকারের ক্যানভাসের উপর। ক্যানভাসটিতে আঁকা ছিল বাংলার জঙ্গলে বিচরণ করা এক বিশালকায় রাজহাতির দল। হাতিদের গম্ভীর চোখ, প্রবল দেহ – যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছিল ছবিতে। কিন্তু সোমনাথের মনোযোগ কেড়ে নিল অন্য কিছু।
ছবির ঠিক মাঝখানে, সবার বড় হাতির মাথার উপর, বিশাল লাল এক টিপ! সোমনাথ বেশি কিছু বুঝতে পারল না। জাদুঘরের এতো সব ঐতিহ্যের মধ্যে, এই আজগুবি টিপ কী করে এলো? মনে মনে ক্ষেপে গেল সে। রক্ষণাবেক্ষণের এতো বড় অবহেলা কি করে হয়? চৌকিদারকে খুঁজতে লাগল চারপাশে, কিন্তু কোথাও নেই।
একটু খুঁজতে খুঁজতে চলে গেল জাদুঘরের একটু দূরের, আলোআঁধারি একটা কক্ষে। সেখানে ছিল মূলত কিছু ভাঙাচোরা জিনিসপত্র। আর ঠিক সেই সময়, একটা জোরে কাঁপুনি দিয়ে জানালার পাশে ঢাকা থাকা একটা পুরনো পুতুল নড়ে উঠল! সোমনাথ চিৎকার করে উঠলো।
কিন্তু পরের মুহূর্তেই সে হতভরে দেখল; পুতুলটা নড়েনি বরং পুতুলের মাথার উপর লাল রঙের একটা টিপ ঝুলছে! সোমনাথের মাথাটা ঘুরে গেল। এই টিপ আর জানালার পাশে থাকা পুতুলের মাথার টিপ – এ দুটো কি একই জিনিস? কিন্তু, এটা কি করে সম্ভব?
এবার হন হন করে পুতুলের দিকে এগিয়ে গেলেন সোমনাথ। পুতুলটি ছিল খুবই পুরনো, ময়লাটে ও জীর্ণ, কাপড়গুলো জীর্ণ শীর্ণ, চোখ দুটো কালো গর্তের মতো। কিন্তু মাথার টিপটি টুকটুকে লাল রঙের লাল রঙের, সেটি জ্বলজ্বল করছিল। এই পুতুলের সাথে হাতির ছবির টিপের মিলটা কিছুটা হলেও কাকতীয় মনে হচ্ছিল না। কিন্তু তার মানে? এসবের সাথে জড়িত কোনো গল্প আছে নিশ্চয়ই!
আচমকা, জানালার বাইরে থেকে একটা ঝমঝম শব্দ এল। বৃষ্টি থেমে গিয়েছিল, এখন বাতাস খুব জোরেই হচ্ছে. জানালাটা খোলা ছিল, আর সেই সাথে ঝমঝম শব্দটা বাড়তে লাগল। সোমনাথ পুতুলের দিকে না তাকিয়ে জানালার দিকে তাকাল। জানালার কাচটা কাঁপছিল, যেন কিছু একটা ঠেলে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছে।
এই অবস্থায় আর দাঁড়ানোর মতো সাহস ছিল না সোমনাথের। পিছনে ফিরে দৌঁড় দিলেন সে। কিন্তু ঠিক জাদুঘরের বড় কক্ষে ঢোকার আগেই একটা ঠান্ডা হাত তার কাঁধে স্পর্শ করল! সোমনাথ আর চিৎকার করতে পারল না। চোখ বন্ধ করে মাথাটা নিচের দিকে নামিয়ে দিলেন। কিন্তু কিছুই হলো না। চোখ খুলে দেখল, চৌকিদার দাঁড়িয়ে আছেন তার সামনে। চোখ দুটো চিন্তাগ্রস্ত।
“কী হলো বাবু? এতো চিৎকার কেন?” জিজ্ঞাসা করলেন চৌকিদার।
সোমনাথ কি বলবে কিছুই বুঝতে পারলো না। কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর, কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, “ওই… ওই কক্ষটা… পুতুল…”
চৌকিদারের কপালে ভাঁজ পড়ে গেল; “কোন পুতুলটা? আপনি কিছু দেখলেন?”
সোমনাথ মাথা নাড়লেন। এখনো তার গা শিরশির করছিল। চৌকিদার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো; “এই জাদুঘরে এমনকিছু কিছু জিনিস আছে বাবু, যা দর্শনার্থীদের দেখানো হয় না। ওই আলোআঁধারি কক্ষগুলোতে রয়েছে কিছু ভাঙাচোরা জিনিসপত্র, আর কিছু… অব্দান্তু জিনিস।”
চৌকিদারের কথায় সোমনাথের কৌতূহল আরো বেড়ে গেল। কিন্তু তার চেয়েও বেশি ভয় লাগছিল। “অব্দান্তু জিনিস?” কাপা কাপা গলায় জিজ্ঞাসা করলেন সে।
চৌকিদার চারপাশে একবার নজর দিল, তারপর নিচু গলায় বলল, “এই জমিদার বাড়িতে, অনেক বছর আগে, এক খুনোখুনি হয়েছিল. রাজার এক আত্মীয়কে খুন করা হয়েছিল, আর তারপর থেকে এই বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়েছে।”
চৌকিদারের কথা শুনে সোমনাথের রক্ত হীম হয়ে গেল। খুনোখুনি? অশান্তি? এই সব শব্দগুলো তাকে আরো বেশি অস্বস্তিতে ফেলল। মনে মনে ভাবল, এতক্ষণ যে কৌতূহলে সে ঢুকে পড়েছিল, ঠিক সেটাই কি ছিল ভুল?
সে কাঁপা কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করলো, “কিন্তু, ওই পুতুলের মাথার টিপ আর হাতির ছবির টিপের সাথে মিল? সেটা কী?”
চৌকিদার একটু চুপ করে রইল, তারপর নিচু গলায় বলল; “কথিত আছে, খুন হওয়ার সময় রাজার আত্মীয়ের মাথায় লাল রঙের একটা টিপ পরা ছিল। আর খুনের পর থেকে, জমিদার বাড়িতে মাঝে মাঝে সেই লাল টিপের ছায়া দেখা যেত।”
সোমনাথের কাছে এসব কথা আষাঢ়ে গল্পের মতো মনে হচ্ছিল। তবে চৌকিদারের চোখের দিকে তাকিয়ে সে বিশ্বাস খুঁজে পেল। হয়তো সত্যিই কোনো অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটেছিল এই জমিদার বাড়িতে।
এই সময় জাদুঘরের বাইরে আকাশটা হঠাৎ কালো হয়ে গেল। ঝড়ের ঝাপটা শুরু হলো। চৌকিদার জানালার দিকে চিন্তিত চোখে তাকাল বলল; “আপনাকে এখনই এখান থেকে চলে যেতে হবে বাবু, বড় ঝড় শুরু হতে পারে।”
সোমনাথও বুঝতে পারলো দেরি করা ঠিক নয়। চৌকিদারের পিছু পিছু জাদুঘরের বাইরে বেরিয়ে পড়ল সে। বৃষ্টি আর ঝড়ের মধ্যে দৌড়াতে দৌড়াতে বাড়ির দিকে রওনা হলো। পিছনে জাদুঘরের বিশাল কালো দরজাটা বাতাসে ঝমঝমিয়ে যেন ফিসফাস করছিল, “আবার আসবে…”
সপ্তাহ দুয়েক কেটে গেল। সোমনাথ জাদুঘরের সেই অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা ভুলতে পারছিল না। রাতে ঘুমের মধ্যেও মাঝে মাঝে চোখে ভাসত লাল টিপের ছায়া আর ভাঙাচোরা পুতুলের ভয়ঙ্কর চোখ। কৌতূহল এখনো একটু ছিল ঠিকই, কিন্তু তার চেয়ে বেশি ভয়। জাদুঘরে আর ফিরব না, এটাই ঠিক করে রেখেছিল সে।
কিন্তু একদিন সকালে খবরের কাগজে চোখ আটকে গেল সোমনাথের। জাদুঘরে ডাকাতির খবর! চুরি হয়ে গিয়েছে মূল্যবান কিছু জিনিসপত্র। পুলিশ কিছু সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। কিন্তু খবরের শেষ লাইনে একটা ছবি ছাপা – সেই বিশাল হাতির ছবি! কিন্তু ছবির মাঝখানটা খালি!
সোমনাথের হাত-পা কাঁপতে শুরু করল। হাতির মাথার লাল টিপটা… সেটাও চুরি হয়ে গেছে? কিন্তু কেন? হঠাৎ তার মনে পড়ল চৌকিদারের কথা – খুন হওয়া রাজার আত্মীয়ের মাথার টিপ। লাল টিপের ছায়া। এই দুটোর মিল খুবই অস্বাভাবিক।
কৌতূহল আর ভয়ের এক জটিল টানে সোমনাথ ঠিক করল, সে ফের যাবে জাদুঘরে। চৌকিদারের সাথে কথা বলতে হবে। হয়তো সেই রহস্যের কোনো কিনারা পাওয়া যাবে।
জাদুঘরে ঢুকে সোমনাথ দেখল চারপাশে একটা অশান্তির ছায়া। চুরির ঘটনায় পুলিশের যাতায়াত, চৌকিদারদের চিন্তিত মুখ – সব মিলিয়ে এক অস্বস্তিকর পরিবেশ।
সোমনাথ জিজ্ঞাসা করল, “কী খবর? চুরির কিছু খোঁজ পাওয়া গেল?”
চৌকিদার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো; “না বাবা, এখনো কিছু পাওয়া যায়নি। কিন্তু আমার মনে হয়, এই চুরির পিছনে আরো কিছু আছে।”
“আরো কিছু?” অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল সোমনাথ।
“হ্যাঁ,” চৌকিদার চারপাশে একবার নজর দিয়ে গলাটা নিচু করলেন, “আমি আপনাকে সেদিন যে গল্পটা বললাম, খুনোখুনির, লাল টিপের ছায়ার – সেটা আসলে পুরো সত্যি না।”
সোমনাথ আরো অবাক হল, “মানে!?”
চৌকিদার আরো গলা কমিয়ে বলল, “এই জমিদার বাড়িতে আসলে খুনোখুনি হয়নি। রাজার আত্মীয় মারা গিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু একটা দুর্ঘটনায়। আর লাল টিপের ছায়া – সেটাও কেউ দেখেনি।”
“কিন্তু আপনি তো…” সোমনাথ কথাটা শেষ করতে পারল না।
“আমি , আসলে, ভয় দেখাতে চেয়েছিলাম,” স্বীকার করল চৌকিদার. “আপনি জানেন, এই জাদুঘরে কিছু জিনিস আছে, যা খুব একটা সুস্থ নয়। ঐ আলোআঁধারি কক্ষগুলোয় রাখা জিনিসগুলো নিয়ে একটা অভিশাপের গল্প আছে। কথিত আছে, সেগুলো নেড়চেড় করলে অশুভ শক্তি জাগে।”
চৌকিদারের কথা শুনে সোমনাথের পিঠে ঠান্ডা রক্ত বইতে লাগল. “কিন্তু… পুতুলের মাথার টিপ? সেটাও কি…”
“হ্যাঁ,” চৌকিদার মাথা নাড়ল, “সেটাও সেই অভিশাপগ্রস্ত জিনিসপত্রের মধ্যে একটা। আমি ভেবেছিলাম, আপনি যদি ঐ কক্ষে ঢুকে পড়েন, তাহলে ভয় পেয়ে আর আসবেন না।”
এই কথা শুনে সোমনাথের মাথাটা ঘুরে গেল। তার ভয়, কৌতূহল, সব মিশে গেল একাকার। সে চৌকিদারের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করল, “আচ্ছা, এই অভিশাপের গল্পটা, হাতির ছবির লাল টিপ চুরির সাথে কীভাবে জড়িত?”
চৌকিদার একটু চুপ করে রইল, তারপর নিচু গলায় বলল, “এই জাদুঘরে নতুন একটা কর্মী এসেছে। সে জানে এই অভিশাপের গল্প। সে বিশ্বাস করে, অভিশাপ ভাঙতে হলে, সেই লাল টিপ লাগবে।”
সোমনাথের কাছে এটা একটা পাগলাটে কথা মনে হলো। কিন্তু চৌকিদারের চোখের ভয় আর চিন্তা দেখে সে বুঝতে পারল, হয়তো এই গল্পটা একেবারেই অমূল নয়। হঠাৎ জাদুঘরের বাতাসে একটা ঠান্ডা ঝাপটা এল। চারপাশে একটা অস্বস্তিকর নিস্তব্ধতা নেমে এল।
“আপনাকে এখান থেকে চলে যেতে হবে, বাবু,” চৌকিদার জোর দিয়ে বললেন, “এই সময় ঐ কক্ষগুলোর কাছে যাওয়া ঠিক নয়।”
সোমনাথ জানত চৌকিদার ঠিকই বলছেন। কিন্তু এখন আর থামার উপায় নেই। সে জানতে চাইছিল, এই গল্পের শেষটা ঠিক কী। সাহস নিয়ে সে বলল, “আমাকে সেই কক্ষগুলো দেখান।”
চৌকিদার কিছু বলতে পারলেন না। সোমনাথের চোখের দৃঢ়তা দেখে তিনি বুঝতে পারলেন, ছেলেটিকে আর আটকানো যাবে না। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে সোমনাথকে নিয়ে জাদুঘরের আলোআঁধারি অংশে ঢুকে পড়ল। সেই জায়গাটা যেন একটা রহস্যের গহ্বর, যেখানে গেলে ফিরে আসা হয়তো আর সম্ভব হবে না। সোমনাথ জানতো ঝুঁকিটা কী, কিন্তু কৌতূহলের জ্বালায় সে সেই ঝুঁকি নিতে বাধ্য হল।
ধুলোমাখা কাঠের দরজা খুলে চৌকিদার সোমনাথকে ভেতরে নিয়ে গেল। ঠান্ডা, স্যাঁতসেঁতে বাতাসে এক অদ্ভুত গন্ধ। চারপাশে অন্ধকার, শুধু দু-একটা জীর্ণ জানালা দিয়ে বাইরের ঝাপসা আলো এসে পড়ছে। সোমনাথের হৃৎস্পন্দন ত্বরান্বিত হচ্ছিল।
একটু এগিয়ে যেতেই চোখে পড়লো ভাঙাচোরা মূর্তি, জীর্ণ পোশাক, আর ধুলোমাখা আসবাবপত্র। সোমনাথ লক্ষ্য করলো, কিছু জিনিসের উপরে কাপড় ঢাকা। চৌকিদার কাপড় সরিয়ে দিতেই দেখা গেলো ভয়ঙ্কর আকৃতির পুতুল, ভাঙা তলোয়ার, আর কঙ্কালের মতো খুলি।
হঠাৎ, বাইরে ঝড়ো হাওয়া বইলো। জানালাগুলো কাঁপতে লাগলো। সোমনাথ ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে জিজ্ঞাসা করলো, “এই অভিশাপের গল্পটা কি সত্যি?”
চৌকিদার চুপ করে রইলেন। তার মুখ বিবর্ণ।
হঠাৎ, কাপড় ঢাকা একটা বড় বাক্সের নড়াচড়া শুরু হলো। সোমনাথের হৃৎস্পন্দন থেমে গেলো।
আস্তে আস্তে কাপড় সরে গেলো। বাক্সের ভেতর থেকে উঠে এলো একটা কালো ছায়া। ছায়াটা ক্রমশ স্পষ্ট হতে লাগলো।
সোমনাথ চিৎকার করতে গেলো, কিন্তু তার গলা বন্ধ হয়ে গেলো।
ছায়াটা এগিয়ে এসে সোমনাথের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো।
সোমনাথ চোখ বন্ধ করে অজ্ঞান হয়ে গেলো।
কতক্ষণ পরে জ্ঞান ফিরলে সোমনাথ দেখলো সে জাদুঘরের বাইরে, চৌকিদারের পাশে বসে আছে।
“কী হয়েছিল?” সোমনাথ জিজ্ঞাসা করলো।
চৌকিদার দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। “আপনি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। ঐ বাক্সের ভেতরে কিছুই ছিল না।”
“কিন্তু… ছায়াটা?”
“আলো-আঁধারির খেলা,” চৌকিদার বললেন। “ভয় আমাদের চোখকে বোকা বানিয়ে ফেলে।”
সোমনাথ চুপ করে রইল।
হয়তো চৌকিদার ঠিকই বলেছেন।
কিন্তু তার মনে থেকে গেলো সেই ভয়ঙ্কর ছায়ার স্মৃতি।
এই রহস্যের সমাধান কি কখনোই হবে না?