এই ভুতের গল্পে আপনি দেখতে পাবেন ষাট বছরের জ্বালামুখী জেলে সাগর সেনের রহস্যময় অভিজ্ঞতা। দীঘা লাইটহাউস, আগুনে পোড়া নৌকা, আর অজানা জগতের টান - সব মিলিয়ে এক অসাধারণ বাংলা গল্প।

বাংলা ছোট গল্প

Home » বাংলা ছোট গল্প » এক রহস্যময় আলো

এক রহস্যময় আলো

এই ভুতের গল্পে আপনি দেখতে পাবেন ষাট বছরের জ্বালামুখী জেলে সাগর সেনের রহস্যময় অভিজ্ঞতা। দীঘা লাইটহাউস, আগুনে পোড়া নৌকা, আর অজানা জগতের টান - সব মিলিয়ে এক অসাধারণ বাংলা গল্প।

আমাদের WA চ্যানেল জয়েন করুন

এই মাসের সেরা ভুতের ছোট গল্প, পড়ুন ও অডিও স্টোরির স্বাদ উপভোগ করুন – ঝড়ের রাত

অধ্যায় ১: সাগর সেনের শেষ পালা

দিঘার উপকূলবর্তী লাইটহাউসের চারপাশের পরিবেশ বরাবরই রহস্যময়। দিনের বেলা সূর্যের আলোতে প্রান্তর আর ঢেউয়ের সৌন্দর্যে মুগ্ধ করা এই স্থান রাতের আঁধারে হয়ে ওঠে অদ্ভুত, যেন কোনো এক অজানা ভয়ের প্রতীক। গভীর রাতের আকাশে ছড়িয়ে থাকা তারার আলো আর সমুদ্রের গর্জন এক অদ্ভুত পরিবেশ তৈরি করে, যেখানে মনে হয় এই লাইটহাউস যেন জীবন্ত—একটি নীরব প্রহরী, যা অন্ধকারের মধ্যেও তার আলো জ্বেলে পথ দেখায়। তবে এই আলো কি শুধুই পথপ্রদর্শনের জন্য, নাকি এর গভীরে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো উদ্দেশ্য?

ষাট বছর বয়সী সাগর সেন, এই লাইটহাউসের দীর্ঘদিনের তত্ত্বাবধায়ক, এই প্রশ্নের উত্তর জানেন। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এই লাইটহাউসের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। প্রতিটি ঢেউয়ের শব্দ, প্রতিটি বাতাসের দোলা যেন তার কাছে এক ভাষা হয়ে উঠেছে। আজ তার শেষ কর্মদিবস। তবে সাগর জানেন, আজকের রাতটি কোনো সাধারণ রাত নয়।

সিঁড়ির ধাতব ঠুং ঠুং শব্দ যেন তারই হৃদস্পন্দনের প্রতিধ্বনি। প্রতি ধাপে উঠে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার মনের গভীরে কেমন একটা অজানা আশঙ্কা দানা বাঁধছে। ওয়াচ রুমের দরজা ঠেলে তিনি ঢুকে পড়লেন। সাগরের চোখ সরাসরি চলে গেল দেয়ালে ঝুলানো ফলকের দিকে। “১৯৭৫ সাল থেকে সাগর সেন – নিষ্ঠাবান কর্মী।” ফলকের চকচকে পৃষ্ঠে তার হাত ঘুরতে লাগল। যেন নিজের জীবনের প্রতিটি অধ্যায়কে আর একবার ছুঁয়ে দেখছেন। তার মনে পড়ে গেল, কীভাবে জীবনের অধিকাংশ সময় এখানে কাটিয়েছেন, এই লাইটহাউসের সাথে এক অদৃশ্য বন্ধনে জড়িয়ে পড়েছেন।

তবে আজকের রাতের পরিবেশ ভিন্ন। জানলার কাঁচ দিয়ে সমুদ্রের দিকে তাকালে তিনি দেখতে পেলেন ঢেউয়ের উপর অদ্ভুত ছায়া। যেন সেগুলো জীবন্ত, একসাথে নাচছে আর তাকে ইঙ্গিত করছে। লাইটহাউসের আলো, যা সবসময় একধরনের শান্ত ছন্দে ঝলমল করত, আজ অস্বাভাবিকভাবে স্পন্দিত হচ্ছে। প্রতিটি ঝলক যেন কিছু বলতে চাইছে, একটা সাবধানবাণী যা তিনি পড়তে পারছেন না।

একটা ফিসফিসানি শোনা গেল। খুবই মৃদু, কিন্তু স্পষ্ট। যেন দেয়ালের গায়ে কেউ তার নাম ধরে ডাকছে। “সাগর… সাগর…” শব্দটা বাতাসের সাথে মিশে যাচ্ছে, কিন্তু সাগরের মনকে অসাড় করে তুলছে। ভেতরের শীতলতা যেন তার শরীরকে শুষে নিচ্ছে। তিনি নিজেকে বোঝালেন যে এটা তার কল্পনা। কিন্তু শব্দটা ক্রমাগত বাড়তে থাকল, আর তার সাথে দেয়াল থেকে একটা অদ্ভুত কম্পন ছড়াতে লাগল।

লাইটহাউসের ইতিহাস তার মনে পড়ে গেল। তার গুরু, যিনি এই কাজ থেকে অবসর নিয়েছিলেন, একবার বলেছিলেন, “এই লাইটহাউস শুধু নাবিকদের পথ দেখানোর জন্য নয়। এটি অনেক প্রাচীন এক রহস্য বহন করে, যা আমরা বুঝতে পারি না।” সাগর সেই সময় কথাগুলোকে পাত্তা দেননি। কিন্তু আজ, এই অস্বাভাবিক পরিবেশে, সেই কথা তার মনে গভীরভাবে দাগ কেটে যাচ্ছে।

জানলার বাইরে তিনি দেখলেন সমুদ্রের ওপর ছায়াগুলো আরও দ্রুত নড়াচড়া করছে। যেন কোনো অজানা শক্তি তার দিকে এগিয়ে আসছে। বাতাসের গর্জন হঠাৎ করে থেমে গেল, আর চারদিকে এক ভৌতিক নীরবতা নেমে এলো। এই নীরবতা ভয়ের, যা তার শিরদাঁড়া বেয়ে ঠাণ্ডা স্রোতের মতো বয়ে গেল।

তারপর হঠাৎ করে আলোটা নিভে গেল। চারপাশে অন্ধকার, আর সেই ফিসফিসানি শব্দ আরও জোরালো হয়ে উঠল। দেয়াল থেকে একটা ছায়া যেন বেরিয়ে আসছে। সাগর পিছিয়ে গেলেন, কিন্তু ছায়াটা তার দিকে এগিয়ে আসছে। তার হৃদয়জুড়ে আতঙ্ক।

এই লাইটহাউস, যা এতদিন তার কাছে শুধু একটি দায়িত্ব ছিল, এখন মনে হচ্ছে এক জীবন্ত প্রহেলিকা। সাগর জানেন, আজকের রাত তার শেষ কর্মদিবস হওয়ার পাশাপাশি তার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়েরও সমাপ্তি। তবে এই সমাপ্তি কি শান্তির, নাকি কিছু অজানা বিভীষিকার?

ভুতের বাংলা ছোট গল্প - সাগর সন্ধ্যার রহস্য: এক ঝড়ো রাতে, নতুন আলোক রক্ষক লণ্ডন কক্ষে রহস্যময় ঘটনার সম্মুখীন হন। বিপিন দাসের আত্মা কি তাকে ভয় দেখাচ্ছে? সাগর সন্ধ্যায়ের আসল রহস্য কি? সম্পূর্ণ বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে এই লিংকটি ক্লিক করুন।

অধ্যায় ২: রাহুল মিত্রের সংগ্রাম

সমুদ্রের অন্ধকারে একাকী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন রাহুল মিত্র। তার নৌকাটি, যার নাম তিনি ভালোবেসে রেখেছিলেন ‘সমুদ্রবিলাস’, আজ যেন তার শেষ যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইলেকট্রিক প্যানেলের শর্টসার্কিট থেকে হঠাৎ করে আগুন লেগে যায়। নৌকার কাঠামো ক্রমশ ধোঁয়ায় ঢেকে যেতে থাকে, আর রাহুল নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। তার হাতে একমাত্র উপায় ছিল ফায়ার এক্সটিঙ্গুইশার। আগুনের শিখা নেভানোর চেষ্টা করতে করতে তার শরীর ঘামে ভিজে যায়, আর হাতের মাংসপেশি অবসন্ন হতে শুরু করে।

এমন সময় হঠাৎই তার চোখে পড়ল দূরের লাইটহাউস। কিন্তু আজকের লাইটহাউসের আলো স্বাভাবিক সাদা নয়। সেটা এক অস্বাভাবিক লালচে আলো, যা ধীরে ধীরে তীব্র হতে শুরু করল। তার মনে হল, এই আলো যেন তার দিকে এক অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে আছে, তাকে ডাকছে। রাহুলের ভেতরে এক অজানা অনুভূতি কাজ করতে লাগল। আলোটার দিকে তাকিয়ে তার গা শিউরে উঠল। মনে হল, এই আলো শুধু পথ দেখাচ্ছে না, বরং তাকে আটকে ফেলতে চাইছে।

রাহুল বুঝতে পারলেন, আগুনের ধ্বংসের হাত থেকে নৌকাটি আর বাঁচানো সম্ভব নয়। নৌকায় থাকা ইঞ্জিনের ক্ষয়প্রাপ্ত শব্দ তাকে জানান দিচ্ছিল যে সময় ফুরিয়ে আসছে। নিজের প্রাণ বাঁচানোর একমাত্র উপায় হিসেবে তিনি লাইটহাউসের দিকে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিলেন। নৌকাটি চালিয়ে তিনি ধীরে ধীরে লাইটহাউসের দিকে যেতে থাকলেন। কিন্তু এক অদ্ভুত ব্যাপার ঘটতে শুরু করল – যতই তিনি লাইটহাউসের কাছে আসছিলেন, ততই লাইটহাউসটি যেন বদলে যেতে শুরু করল।

রাহুল লক্ষ্য করলেন, লাইটহাউসটি অস্বাভাবিকভাবে নড়াচড়া করছে। লাল আলোটি যেন একটা ছায়ার মতো তার চারপাশে ঘুরছে। ঢেউয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুরো লাইটহাউসটি জীবন্ত হয়ে উঠেছে। একসময় তার মনে হল, লাইটহাউসটি তার দিকে এগিয়ে আসছে। ঘন অন্ধকারে, ঢেউয়ের গর্জন আর বাতাসের শিস ধীরে ধীরে যেন মানুষের চিৎকারে রূপান্তরিত হচ্ছে। রাহুল নিজের চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ গভীর শ্বাস নিলেন, নিজেকে বাস্তবতার মধ্যে ফিরিয়ে আনতে।

কিছুক্ষণ পর, তিনি আবার চোখ খুললেন। কিন্তু তখনও দৃশ্যটা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল। লাইটহাউসের লাল আলো তার নৌকাটিকে সম্পূর্ণরূপে ঢেকে ফেলেছে। মনে হল, আলোটা তাকে টেনে নিচ্ছে। রাহুলের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসতে লাগল। তার হাতের স্টিয়ারিং হুইলটা এমনভাবে ঘুরছিল, যেন সেটাকে কোনো অদৃশ্য শক্তি নিয়ন্ত্রণ করছে।

তার মনে পড়ে গেল কিছুদিন আগে শোনা গুজব – এই লাইটহাউস নাকি অভিশপ্ত। একসময় এখানে এক নাবিকের মৃত্যু হয়েছিল, আর সেই নাবিকের আত্মা নাকি আজও এই লাইটহাউসে ঘুরে বেড়ায়। রাহুল এসব গুজবে কখনো বিশ্বাস করতেন না। কিন্তু আজকের ঘটনা তার মনকে নাড়িয়ে দিল।

এক সময়, নৌকাটি ঢেউয়ের ধাক্কায় প্রায় উল্টে যেতে যাচ্ছিল। রাহুল কোনো রকমে নিজেকে স্থির রাখলেন। হঠাৎ করেই তিনি শুনলেন এক নারীকণ্ঠ। সেই কণ্ঠটা কোথা থেকে আসছে, তিনি বুঝতে পারলেন না। কণ্ঠটা বারবার একটা শব্দ বলছিল – “এসো…”

রাহুল তার চারপাশে তাকিয়ে দেখলেন, কিন্তু কোথাও কাউকে দেখতে পেলেন না। তার হাত-পা কাঁপতে লাগল। হঠাৎ করেই লাইটহাউসের লাল আলো নিভে গেল, আর চারদিকে গভীর অন্ধকার নেমে এলো। ঢেউয়ের গর্জন থেমে গিয়ে পরিবেশটা অস্বাভাবিক নীরব হয়ে গেল।

তারপর, লাইটহাউসের দিক থেকে একটা মৃদু হাসির শব্দ শোনা গেল। রাহুল সেই শব্দ শুনে চমকে উঠলেন। তার মনে হল, সেই হাসি যেন তাকে নিয়ে মজা করছে। অন্ধকারের মধ্যেই তিনি অনুভব করলেন, লাইটহাউসের দিক থেকে একটা ঠান্ডা বাতাস এসে তাকে ছুঁয়ে গেল। সেই ঠান্ডা বাতাস যেন তার শরীরের রক্তকে জমাট বাঁধিয়ে দিচ্ছে।

রাহুল বুঝতে পারলেন, তিনি আর এই লড়াইয়ে একা নেই। এই লাইটহাউস তার দিকে কীভাবে এগিয়ে আসছে, আর এই অদৃশ্য শক্তির মধ্যে তিনি কীভাবে বন্দি হয়ে যাচ্ছেন, তা বুঝতে পারা তার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু তিনি জানেন, এই রাত শুধু তার জীবনের নয়, তার বিশ্বাসেরও এক বড় পরীক্ষা।

অধ্যায় ৩: সাক্ষাৎ এবং সত্যের উদ্ঘাটন

সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ পেরিয়ে, ধ্বংসপ্রাপ্ত নৌকার সমস্ত ধোঁয়া আর আগুন থেকে মুক্তি পেয়ে, অবশেষে রাহুল পৌঁছালেন সেই অমোঘ লাইটহাউসে। লালচে আলোটা তখনও নিভে গেছে, কিন্তু লাইটহাউসের অদ্ভুত নিস্তব্ধতায় যেন অদৃশ্য কোনো শক্তি অনুভূত হচ্ছিল। লাইটহাউসের দরজা ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তার মনে হল, তিনি এক নতুন জগতে পা রেখেছেন। চারপাশের বাতাসটা ভারি, যেন ভেতরে ঢুকে তার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।

হঠাৎই, সিঁড়ির ধাপে ধাপে ভারি পায়ের শব্দ ভেসে এল। সেই শব্দের সঙ্গে একটা মৃদু কর্কশ কণ্ঠ ভেসে এলো – “তুমি এখানে কেন এসেছো?” রাহুল পেছনে তাকালেন। এক বৃদ্ধ, যার কাঁধে বছরের পর বছর তিক্ত অভিজ্ঞতার ছাপ, তার সামনে দাঁড়িয়ে। সাদা চুল, গাঢ় চোখ, আর মুখে এক অদ্ভুত দৃঢ়তা।

“আপনি কে?” রাহুল জিজ্ঞেস করলেন, তার কণ্ঠে স্পষ্ট ভয়।
“আমি সাগর সেন,” বৃদ্ধ বললেন। “এই লাইটহাউসের তত্ত্বাবধায়ক।”

সাগর সেনের কণ্ঠে এমন এক গভীরতা ছিল যা রাহুলকে চুপ করিয়ে দিল। বৃদ্ধ ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে এলেন এবং হাত বাড়িয়ে তাকে উপরে ওঠার ইঙ্গিত করলেন। “চলো, তোমাকে কিছু দেখাতে হবে,” বললেন তিনি। রাহুল ধীরে ধীরে তার পেছনে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকলেন। সিঁড়ির প্রতিটি ধাপ যেন তাদের অতীতের কাহিনী ফিসফিস করে শোনাচ্ছিল।

ওয়াচ রুমে পৌঁছে, সাগর একটি পুরনো কাঠের চেয়ারে বসলেন এবং জানালার দিকে তাকিয়ে বললেন, “এই লাইটহাউসটি শুধু আলো দেখানোর জন্য নয়, এটি দুই জগতের সীমারেখা। একদিকে আমাদের জগৎ, অন্যদিকে সেই জগৎ যা আমরা বুঝি না।”

রাহুল হতভম্ব হয়ে তার কথা শুনছিলেন। “আপনার কথার মানে কী? আমি এখানে কেবল আশ্রয় নিতে এসেছি।”

সাগর ধীরে ধীরে হাসলেন। “এই লাইটহাউস তোমাকে বেছে নিয়েছে, রাহুল। এটি এমন কারো সন্ধানে ছিল যে নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে এগিয়ে আসতে পারে। তুমি এখানে কেবল আশ্রয় নিতে আসোনি, তুমি এখানে নিজের নিয়তি খুঁজে পেয়েছ।”

রাহুল হতবুদ্ধি হয়ে সাগরের মুখের দিকে তাকালেন। “আপনার কথার মানে আমি বুঝতে পারছি না।”
সাগর মাথা নাড়লেন। “তুমি এখন বুঝবে না, কিন্তু সময় আসবে। এই লাইটহাউস তেমন এক জায়গা যেখানে শুধু আলো নয়, অন্ধকারও বাস করে। এটি এমন এক প্রবেশদ্বার যেখানে দুই পৃথিবী এক হয়ে যায়।”

রাহুলের সারা শরীর শিউরে উঠল। তার মনে হল, তিনি কোথাও আটকে পড়েছেন যেখানে বাস্তবতা আর কল্পনার কোনো সীমা নেই। হঠাৎই জানালা দিয়ে লাল আলো আবার জ্বলতে শুরু করল। সেই আলো এতটাই তীব্র যে রাহুল চোখ বন্ধ করতে বাধ্য হলেন। আলোটা যেন তাকে ঘিরে ধরতে শুরু করল, তার মনের প্রতিটি কোণে ঢুকে পড়ল।

“তোমার কাজ শুরু হয়েছে, রাহুল,” সাগর বললেন। “এখন থেকে এই লাইটহাউসের দায়িত্ব তোমার। আমার সময় শেষ।”
“কিন্তু কেন?” রাহুল চিৎকার করে বললেন। “আমি তো কিছু চাইনি!”

সাগরের কণ্ঠ কঠিন হয়ে উঠল। “তোমাকে বেছে নেওয়া হয়েছে কারণ তোমার ভেতরে এমন কিছু আছে যা এই জগতের সঙ্গে সংযুক্ত। তুমি একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি যে এই কাজ চালিয়ে নিতে পারবে।”

তারপর, হঠাৎ করেই চারদিকে অদ্ভুত শব্দ শোনা যেতে লাগল। দেয়ালের গায়ে যেন অদৃশ্য হাতের দাগ আঁকা হচ্ছিল। ফিসফিসানি শব্দ ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছিল। রাহুল নিজের কানে হাত দিয়ে শব্দ থামানোর চেষ্টা করলেন, কিন্তু তাতেও লাভ হলো না।

সাগর উঠে দাঁড়ালেন এবং ধীরে ধীরে লাইটহাউসের দরজার দিকে এগোলেন। “এখন আমি বিদায় নিচ্ছি। তোমার কাজ শুরু হলো। এই লাইটহাউসের রহস্য আর দায়িত্ব এখন তোমার হাতে।”

রাহুল তাকে থামানোর চেষ্টা করলেন, কিন্তু তখনই সেই লাল আলো আবার তার চারপাশে ঢেকে ফেলল। একটা অদ্ভুত শক্তি তাকে টেনে নিয়ে গেল লাইটহাউসের কেন্দ্রে। তার মনে হল, তিনি আর কখনো এখান থেকে বের হতে পারবেন না।

ভুতের বাংলা ছোট গল্প - মেঘে ঢাকা দীঘা: অন্ধকারে ডুবে যাওয়া দীঘা, ঝড়ের থাবা, আর রহস্যময় কান্নার শব্দ!এই ভুতের গল্পে আপনি পাবেন ঝড়ের রাতে দীপস্তম্ভের রহস্য, শিউলির অপার্থিব কান্না, আর সোনাদা'র সাহসী অভিযান। সম্পূর্ণ বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে এই লিংকটি ক্লিক করুন।

অধ্যায় ৪: দায়িত্ব হস্তান্তর

লণ্ঠনটি হাতে তুলে নেওয়ার মুহূর্তে রাহুলের শরীর শিউরে উঠল। এটি যেন শুধুমাত্র একটি লণ্ঠন নয়, বরং একটি জীবন্ত সত্তা, যার ওজন তার কাঁধে অনুভূত হচ্ছিল। সাগর সেনের মুখের গভীর দৃষ্টি রাহুলকে অদ্ভুত এক ধরণের অস্বস্তি আর দায়িত্ববোধে আবদ্ধ করল। লণ্ঠনের ভেতরের আলোটি অস্বাভাবিকভাবে দপদপ করছিল, যেন সে নিজেই কথা বলতে চাইছে।

“চলো,” সাগর ধীরে ধীরে বললেন। তাঁর কণ্ঠে এমন কিছু ছিল যা দ্বিধার কোনো সুযোগ দেয়নি।

লাইটহাউসের সেই ধাতব সিঁড়ির ধাপগুলোর প্রতিটি যেন এখন একটি কাহিনী বলছিল। প্রথম ধাপেই রাহুল অনুভব করলেন, তার পায়ের তলার ধাতু যেন কাঁপছে। প্রতিটি ধাপে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে লাইটহাউসের ভেতরের বাতাস ভারি হয়ে উঠছিল। দেয়ালের গায়ে ছায়া নড়তে শুরু করল, যেগুলো দেখে মনে হচ্ছিল সেগুলো কেবল সাগর আর রাহুল ছাড়া অন্য কারো অস্তিত্বের প্রমাণ।

ষষ্ঠ ধাপে উঠতেই সাগর হঠাৎ থেমে গেলেন। তিনি ঘাড় ঘুরিয়ে রাহুলের দিকে তাকালেন। তাঁর চোখে এক অদ্ভুত সতর্কতার ছাপ। “এই লণ্ঠনটা শুধু আলো নয়, এটা পথপ্রদর্শক। কিন্তু মনে রেখো, আলো যেমন পথ দেখায়, তেমনি অন্ধকারও ডেকে আনতে পারে।”

রাহুল কিছু বলার আগেই, দেয়ালের ভেতর থেকে কারো ফিসফিসানি শোনা গেল। “নতুন পথপ্রদর্শক এসেছে… নতুন আলো এসেছে…” সেই শব্দগুলো যেন কোথাও থেকে ভেসে আসছিল, কিন্তু তার উৎস অদৃশ্য। রাহুল চমকে পেছন ফিরে তাকালেন, কিন্তু কিছুই দেখতে পেলেন না।

“ভয় পেও না,” সাগর বললেন। “এটা এই জায়গার স্বাভাবিক অবস্থা। এই লাইটহাউস কেবলমাত্র একটি কাঠামো নয়, এটি এক জীবন্ত সত্তা।”

ধীরে ধীরে তারা সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকলেন। প্রতিটি ধাপে যেন লাইটহাউস জীবন্ত হয়ে উঠছিল। রাহুলের মনে হচ্ছিল, দেয়ালের ভেতর থেকে অসংখ্য চোখ তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সেগুলো যেন তাকে মাপছে, বিচার করছে।

“এখানে অনেক আত্মা আটকে আছে,” সাগর ধীরে ধীরে বললেন। “তারা এই লাইটহাউসের অংশ। কেউ চিরতরে মুক্তি পায়নি।”

সিঁড়ির পঁচিশতম ধাপে পৌঁছালে, রাহুল হঠাৎ অনুভব করলেন তার পায়ের নিচে ধাতব ধাপটা কাঁপতে শুরু করেছে। তার মনে হল, ধাপটা ভেঙে যাবে। সাগর এক ঝলক হাসলেন। “এটা তোমার পরীক্ষা। এই লাইটহাউস জানে, কে উপযুক্ত আর কে নয়।”

রাহুল শক্ত করে লণ্ঠনটা ধরলেন। ধাপটা সত্যি সত্যি একটু ভেঙে পড়ল, কিন্তু সে নিজের ভারসাম্য ধরে রেখে এগিয়ে গেল। তার মনে হল, লণ্ঠনটা যেন তাকে সাহস দিচ্ছে।

চল্লিশতম ধাপে পৌঁছে হঠাৎই বাতাস থেমে গেল। চারদিকে এক নিস্তব্ধতা, যা কানে চাপ সৃষ্টি করছিল। হঠাৎই লণ্ঠনের আলোটা গাঢ় লাল হয়ে গেল। সাগর এবার থামলেন। তিনি বললেন, “এখনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এই ধাপের পরে তুমি আর আগের মতো মানুষ থাকবে না।”

রাহুলের ভেতরে ভয় আর উত্তেজনার মিশ্রণ কাজ করছিল। তার মনে হচ্ছিল, তিনি একটি বিশাল কিছু সামনে পেতে চলেছেন। সাগরের কথাগুলো যেন তার ভেতরে ঢুকে পড়ছিল।

শেষ ষাট ধাপে উঠতেই লাইটহাউসের চূড়ার দরজা খুলে গেল। হঠাৎ করেই চারপাশে অন্ধকার আর আলো একসঙ্গে মিশে গেল। রাহুল অনুভব করলেন, লাইটহাউসের পুরো কাঠামো যেন তার হৃৎপিণ্ডের ছন্দে স্পন্দিত হচ্ছে।

“এখন থেকে এটি তোমার,” সাগর বললেন। তিনি ধীরে ধীরে পেছনের দিকে সরে গেলেন। রাহুল দেখলেন, সাগরের শরীর ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যাচ্ছে, যেন তিনি এই জগৎ থেকে বিদায় নিচ্ছেন।

“তোমার পথ শুরু হলো, রাহুল,” সাগর বললেন। তাঁর কণ্ঠ দূর থেকে ভেসে এল, তারপর নিস্তব্ধ হয়ে গেল।

লাইটহাউসের চূড়া থেকে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে রাহুল অনুভব করলেন, তিনি এক অজানা দায়িত্বে আবদ্ধ হয়ে গেছেন। লণ্ঠনের আলো ধীরে ধীরে বাড়তে লাগল, আর সেই সঙ্গে লাইটহাউস জীবন্ত হয়ে উঠল, তার নতুন পথপ্রদর্শকের সঙ্গে একাত্ম হয়ে।

ভুতের বাংলা ছোট গল্প - ঝড়ের রাত: "ঝড়ের রাত" একটি ভৌতিক বাংলা ছোট গল্প যেখানে ভয়, রহস্য ও অতিপ্রাকৃত ঘটনায় ভরপুর এক রাতের অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে। ভুতের গল্প প্রেমীদের জন্য শিহরণ জাগানো এক উপহার। সম্পূর্ণ বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে ও অডিও স্টোরির স্বাদ উপভোগ করতে এই লিংকটি ক্লিক করুন।

অধ্যায় ৫: চিরন্তন আলো

সূর্যোদয়ের সোনালি আলো লাইটহাউসের চূড়া স্পর্শ করতেই রাহুল মিত্র তার নতুন দায়িত্বের প্রথম দিন শুরু করলেন। কিন্তু ভোরের সেই মিষ্টি আলোতেও লাইটহাউসের চারপাশের অদ্ভুত নীরবতা যেন কোনও এক গভীর গোপন রহস্য বহন করছিল। সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দের মাঝে মাঝে যেন কান্নার সুর শুনতে পাচ্ছিলেন রাহুল।

তিনি ওয়াচরুমে ঢুকে চারপাশে তাকালেন। সাগর সেনের স্মৃতি যেন এখনো সেখানে ভাসমান। দেওয়ালে ঝুলন্ত ফলকটির দিকে চোখ পড়তেই মনে হল, সেটি একটু ম্লান হয়ে গেছে। ফলকটির উপর তার আঙুল বুলিয়ে নিতে গিয়ে হঠাৎই অনুভব করলেন, ধাতুর ঠান্ডা স্পর্শের মাঝে একটা অস্বাভাবিক উষ্ণতা। যেন সেটি তার উপস্থিতিকে স্বাগত জানাচ্ছে।

রাহুলের দৃষ্টি এবার লণ্ঠনের দিকে গেল। লণ্ঠনের ভেতরের আলোটি এখন স্থির, কিন্তু তার রঙের পরিবর্তন অস্বাভাবিক। কখনো এটি সোনালি, কখনো লালচে। রাহুলের মনে হল, আলোটি যেন তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে।

“এখন কি করব?” নিজের মনে প্রশ্ন করলেন রাহুল। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে, ওয়াচরুমের জানলার বাইরে থেকে এক অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেলেন। যেন কারো নিঃশ্বাসের আওয়াজ, কিন্তু খুবই ভারী এবং গভীর।

জানলার বাইরে তাকিয়ে দেখলেন, সমুদ্রের ঢেউয়ের উপর ছায়ামূর্তির মতো কিছু একটা ভেসে বেড়াচ্ছে। রাহুল চমকে উঠলেন। তিনি বুঝতে পারছিলেন, এটি কোনও সাধারণ দৃশ্য নয়। ছায়ামূর্তিটি ধীরে ধীরে লাইটহাউসের দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করল।

রাহুল সাহস করে জানলার দিকে এগিয়ে গেলেন। তার মনে হল, সেই মূর্তিটি সরাসরি তার দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎই, মূর্তিটির মুখ থেকে ভেসে এল এক কর্কশ হাসির শব্দ। রাহুল দ্রুত পেছনে সরে গেলেন। তার মনে পড়ল সাগর সেনের কথা—“এই লাইটহাউস শুধুমাত্র আলো দেখানোর জন্য নয়; এটি আরেক জগতের প্রবেশদ্বার।”

হঠাৎই লণ্ঠনের আলো আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠল। সেই আলো থেকে ছায়াগুলি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করল পুরো ওয়াচরুমে। রাহুল অনুভব করলেন, চারপাশের বায়ু ভারি হয়ে গেছে। তার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। দেয়ালের গায়ে যেন অসংখ্য ছায়ামূর্তি নড়াচড়া করছে।

একটি মূর্তি হঠাৎ করেই দেয়াল থেকে বেরিয়ে এল। সেটি ছিল এক অদ্ভুত আকৃতির ছায়া, যার মুখাবয়ব অস্পষ্ট, কিন্তু চোখ দুটি ছিল গভীর কালো গহ্বরের মতো। সেই মূর্তিটি ধীরে ধীরে রাহুলের দিকে এগিয়ে এল।

“তুমি নতুন পথপ্রদর্শক,” সেই ছায়ামূর্তিটি গম্ভীর কণ্ঠে বলল। “তোমার দায়িত্ব শুধুমাত্র আলো দেখানো নয়। আমাদের মুক্তি দেওয়া তোমার কাজ।”

রাহুল হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। “তোমরা কারা?” তিনি সাহস করে প্রশ্ন করলেন।

“আমরা তারা, যারা ভুল পথে হারিয়ে গিয়েছি,” মূর্তিটি বলল। “এই লাইটহাউস আমাদের আটকে রেখেছে। তুমি যদি আমাদের মুক্তি দিতে না পারো, তবে আমরাই তোমাকে গ্রাস করব।”

রাহুলের মনের মধ্যে ভয়ের স্রোত বয়ে গেল। তিনি দ্রুত লণ্ঠনটি হাতে তুলে নিলেন। লণ্ঠনের আলো আবারও কাঁপতে শুরু করল। সেই আলো যেন তার হাতের নির্দেশনা মেনে চলছিল।

“কীভাবে মুক্তি দেব?” রাহুল সাহস সঞ্চয় করে জিজ্ঞাসা করলেন।

মূর্তিটি কিছুক্ষণ চুপ রইল। তারপর বলল, “তোমাকে সাগরের গভীরতম অংশে যেতে হবে। সেখানেই আমাদের মুক্তির চাবিকাঠি।”

রাহুল জানতেন, এটি সহজ কাজ হবে না। কিন্তু তিনি বুঝতে পারলেন, এই দায়িত্ব তার এড়ানোর নয়। লণ্ঠনের আলো আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠল, যেন এটি তাকে সাহস জোগাচ্ছে।

সকাল ক্রমশ গাঢ় হতে শুরু করল। লাইটহাউসের ছায়ামূর্তিগুলি একে একে দেয়ালে মিলিয়ে যেতে লাগল, কিন্তু তাদের কণ্ঠস্বর রাহুলের মনে গেঁথে রইল। “আমাদের মুক্তি দাও…”

রাহুল জানতেন, এই দায়িত্ব তার জীবনের চরম পরীক্ষা। লাইটহাউসটি এখন তার তত্ত্বাবধানে, কিন্তু এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ভয়ংকর রহস্য আর অন্য জগতের ছায়াগুলির মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি তাকে নিতে হবে।

সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ আবার ফিরে এল, কিন্তু এর মধ্যেও রাহুলের মনে হল, সেই ঢেউয়ের মধ্যে কারা যেন তার নাম ধরে ডাকছে। তার প্রথম দিনই তাকে জানিয়ে দিল, লাইটহাউসের কাজ শুধু নাবিকদের পথ দেখানো নয়; এটি তার নিজের ভয় আর বিশ্বাসের মুখোমুখি হওয়ারও গল্প।

এই রকম চিত্তাকর্ষক বাংলা ছোট গল্প -এর আপডেট পেতে আমাদের WhatsApp চ্যানেল জয়েন করুন।

আমরা কারা

নতুন বাংলা ছোট গল্প

আষাঢ়ের সন্ধ্যে

"আষাঢ়ের সন্ধ্যে" - রোমান্টিক বাংলা ছোট গল্প যেখানে ১০ বছর পর বর্ষার সন্ধ্যায় রাহুল আর মোনালিসা-র পুনর্মিলন ঘটে। বৃষ্টিভেজা আবেগের মাঝে তাদের ভালোবাসার গল্প নতুন মোড় নেয়।

"আষাঢ়ের সন্ধ্যে" - রোমান্টিক বাংলা ছোট গল্প যেখানে ১০ বছর পর বর্ষার সন্ধ্যায় রাহুল আর মোনালিসা-র পুনর্মিলন ঘটে। বৃষ্টিভেজা আবেগের মাঝে তাদের ভালোবাসার গল্প নতুন মোড় নেয়।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: আষাঢ়ের সন্ধ্যে

শীতের রাজ্যের জাদু

"শীতের রাজ্যের জাদু: একটি মজাদার ছোটদের গল্প, যেখানে রাজা শীতল রূপকথার গল্পের মাধ্যমে শিশুদের জন্য শীতের রাজ্যে গরমের অনুভূতি এনে দেন।"

"শীতের রাজ্যের জাদু: একটি মজাদার ছোটদের গল্প, যেখানে রাজা শীতল রূপকথার গল্পের মাধ্যমে শিশুদের জন্য শীতের রাজ্যে গরমের অনুভূতি এনে দেন।"

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: শীতের রাজ্যের জাদু

স্নেহের আশ্রয়

"স্নেহের আশ্রয়" একটি মোটিভেশনাল বাংলা ছোট গল্প, যেখানে ভালোবাসা ও যত্নের শক্তি দুটি বিপন্ন শিশুর জীবন বদলে দেয়। এটি অতীতের স্মৃতি ও মানবতার এক হৃদয়স্পর্শী উপাখ্যান।

"স্নেহের আশ্রয়" একটি মোটিভেশনাল বাংলা ছোট গল্প, যেখানে ভালোবাসা ও যত্নের শক্তি দুটি বিপন্ন শিশুর জীবন বদলে দেয়। এটি অতীতের স্মৃতি ও মানবতার এক হৃদয়স্পর্শী উপাখ্যান।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: স্নেহের আশ্রয়

Leave a Comment

অনুলিপি নিষিদ্ধ!