"সময়ের স্মৃতি" একটি মোটিভেশনাল বাংলা ছোট গল্প, যেখানে দিদিমার ঘড়ির মাধ্যমে জীবনের স্মৃতি, ত্যাগ, ভালোবাসা ও একাত্মতার মর্মার্থ তুলে ধরা হয়েছে। সময়ের টিকটিক গল্প বলে যায়।

বাংলা ছোট গল্প

Home » বাংলা ছোট গল্প » সময়ের স্মৃতি

সময়ের স্মৃতি

"সময়ের স্মৃতি" একটি মোটিভেশনাল বাংলা ছোট গল্প, যেখানে দিদিমার ঘড়ির মাধ্যমে জীবনের স্মৃতি, ত্যাগ, ভালোবাসা ও একাত্মতার মর্মার্থ তুলে ধরা হয়েছে। সময়ের টিকটিক গল্প বলে যায়।

আমাদের WA চ্যানেল জয়েন করুন

এই মাসের সেরা রোমান্টিক ছোট গল্প, পড়ুন ও অডিও স্টোরির স্বাদ উপভোগ করুন – পুনঃবিচ্ছেদ

প্রথম অধ্যায়: ঘড়ির গল্প

মোটিভেশনাল বাংলা ছোট গল্পটির অডিও স্টোরি শুনতে নিচে প্লে বোতাম টি ক্লিক করুন।

“দিদিমা, তুমি ছেলেদের ঘড়ি কেন পরো?”  

শিশু সোমা তার ছোট ছোট হাত দিয়ে দিদিমার ঘড়িটা ধরে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে প্রশ্ন করল। তৃষ্ণা হাসতে হাসতে তার কোলে বসা নাতনির মুখে চুলগুলো সরিয়ে বললেন, “কারণ, আমি মনে করি, সময় কখনো পুরুষ বা নারী নয়, এটা সবার। বুঝলি?”  

সোমা ঘড়িটার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল। তারপর আবার জিজ্ঞেস করল, “তাহলে এটা কে দিল তোমাকে? বাবা?”  

“না গো, বাবা নয়,” তৃষ্ণা চোখ টিপে বললেন, “তখন তো তোদের বাবা জন্মায়ইনি। এটা তো অনেক পুরনো গল্প।”  

“গল্প শুনতে চাই! বলো দিদিমা, প্লিজ!” সোমা দিদিমার গলায় ঝুলে পড়ল।  

তৃষ্ণা মুচকি হেসে বললেন, “গল্প অনেক আছে। একবার কি জানিস, একজন রাজা আমাকে এই ঘড়িটা উপহার দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘তৃষ্ণা, তোমার সময়ের মতো এই ঘড়িটাও সুন্দর। এটা যত্নে রেখো।’”  

“সত্যি? রাজা? কোথায় থাকেন তিনি?” সোমার চোখ বড় বড় হয়ে গেল।  

“ওরে বোকা, রাজারা তো এখন গল্পের বইয়ে থাকে!” তৃষ্ণা হেসে বললেন।  

এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই ছিল তৃষ্ণা আর সোমার জীবনের রঙিন দিক। বাড়ির সব কাজের মাঝেও তৃষ্ণার হাতে সেই পুরোনো স্টিলের ঘড়ি সব সময় দেখা যেত। সকালে লুচি বানানোর সময় তৃষ্ণা গল্প বলতেন—“এই লুচিটা হল মায়ার মতো, যদি ভালো করে না বানাস, তো ফুলবে না।” দুপুরে ঠাকুরমার ঝুলির গল্প শুনিয়ে সোমাকে ঘুম পাড়াতেন। আর সন্ধ্যায় যখন সবাই মিলে একসাথে বসত, তখন সেই ঘড়ির টিক টিক শব্দ যেন বাড়িটা জীবন্ত করে তুলত।  

সোমার বাবা-মা, সঞ্জীব আর নন্দিতা, মাঝেমাঝেই দিদিমার ঘড়ি নিয়ে আলোচনা করতেন।  

“মা, এত পুরোনো ঘড়ি কেন রাখো? নতুন একটা কিনে দিই, একদম আধুনিক ডিজাইনের!” সঞ্জীব একদিন বলল।  

তৃষ্ণা চোখের কোণায় হাসি নিয়ে উত্তর দিলেন, “তোমার আধুনিক ঘড়ি আমার সময় বোঝে না। এটা ছাড়া আমি কিছুতেই বাঁচতে পারব না।”  

“কিন্তু মা, ঘড়িটা তো ভাঙাচোরা হয়ে গেছে,” নন্দিতা বলল।  

“ভাঙাচোরা মানুষ যেমন ঠিকঠাক হয়, তেমনই আমার ঘড়িটাও। এটাকে নিয়ে চিন্তা কোরো না, ও ঠিক আমার সঙ্গেই ভালো আছে,” তৃষ্ণার কণ্ঠে ছিল এক ধরনের দৃঢ়তা।  

এই ঘড়ি যেন বাড়ির একজন সদস্য। সোমা বারবার সেটার দিকে তাকিয়ে ভাবত, এই ঘড়ি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? আর কেনই বা দিদিমা এটা ফেলে দিতে চান না?  

একদিন দুপুরে লুচি খেতে খেতে সোমা আবার প্রশ্ন করল, “দিদিমা, সত্যি করে বলো তো, এই ঘড়িটা তুমি কোথায় পেয়েছ?”  

তৃষ্ণা এবার গভীরভাবে ঘড়িটার দিকে তাকালেন। “সত্যি কথা বলি? এটা একটা জাদুর ঘড়ি। আমি যখনই এটা পরি, আমার সব দুঃখ ভুলে যাই।”  

“জাদুর ঘড়ি?” সোমার মুখে বিস্ময়ের ছাপ। “আমাকেও তো দাও, দেখি জাদু কাজ করে কি না!”  

“ওরে পাগলি! এখনই দিই কী করে? তুই তো এখনও জাদুর রহস্য বোঝার মতো বড় হসনি,” তৃষ্ণা মজা করে বললেন।  

সোমা চুপচাপ দিদিমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকল। তার মনে হল, দিদিমা হয়তো মজা করছেন, কিন্তু তার চোখের গভীরে কিছু একটার চিহ্ন যেন লুকিয়ে আছে।  

এইভাবে প্রতিদিনের ছোট ছোট প্রশ্ন আর দিদিমার উত্তর সোমার কৌতূহলকে আরও বাড়িয়ে দিত। ঘড়িটা যেন কেবল একটা বস্তু নয়, এটি ছিল তৃষ্ণার জীবনের স্মৃতির আয়োজন। সোমা বুঝতে পারত, এই ঘড়ির মধ্যে লুকিয়ে আছে এমন কিছু, যা তার দিদিমার হাসি আর মজার আড়ালে কোথাও লুকিয়ে রয়েছে।  

সন্ধ্যায় যখন বাড়ির সবাই একসাথে বসত, তৃষ্ণার হাতের ঘড়ি আর তার গল্প যেন পুরো পরিবেশকে আরও জীবন্ত করে তুলত। সোমার মনে হত, একদিন নিশ্চয়ই এই ঘড়ির আসল রহস্য সে জানতে পারবে। কিন্তু তার আগে, দিদিমার মিষ্টি মিথ্যা আর হাসির গল্প শুনেই দিন কাটত।  

বাংলা রোমান্টিক ছোট গল্প - পুনঃবিচ্ছেদ: রোমান্টিক বাংলা ছোট গল্প 'পুনঃবিচ্ছেদ' হৃদয় ছুঁয়ে যায়। বিচ্ছেদের মধ্যেও প্রেমের অনুভূতি, নস্টালজিয়া আর জীবনের এক অন্যরকম গল্প। শিখা ও রাহুলের আবেগঘন মুহূর্তে প্রেম নতুন রূপ পায়। সম্পূর্ণ বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে ও অডিও স্টোরির স্বাদ উপভোগ করতে এই লিংকটি ক্লিক করুন।

দ্বিতীয় অধ্যায়: সময়ের পরিবর্তন

মোটিভেশনাল বাংলা ছোট গল্পটির অডিও স্টোরি শুনতে নিচে প্লে বোতাম টি ক্লিক করুন।

সোমা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। তার ছোটবেলার সরল প্রশ্নগুলো এখন আরও গভীর হয়ে উঠেছে। স্কুলের পরীক্ষার প্রস্তুতির সময়, দিদিমার ঘড়ি মাঝেমধ্যে তার পড়ার টেবিলে এসে জায়গা করে নিত। “সন্ধ্যা সাতটা বাজলেই পড়তে বসবি, এই বলে দিলাম,” তৃষ্ণা তাকে হেসে হেসে বলতেন। ঘড়িটার কাঁটা যেন সোমার রুটিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছিল।  

একদিন স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে সোমা দিদিমাকে আবার প্রশ্ন করল, “এবার সত্যি করে বলো, দিদিমা, এই ঘড়িটা এত প্রিয় কেন? এটা কি কোনো বিশেষ জিনিস?”  

তৃষ্ণা খানিকক্ষণ চুপ করে থাকলেন। তার চোখে যেন অতীতের স্মৃতির ছায়া নাচল। তারপর একটু উদাসীন গলায় বললেন, “এই ঘড়ি আমাকে সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে শিখিয়েছে, বুঝলি? যারা হারিয়ে গেছে, তাদের স্মৃতি ধরে রেখেছে।”  

“হারিয়ে গেছে মানে?” সোমা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল।  

“ধীরে ধীরে সব জানতে পারবি। এত কৌতূহল তোর, আগে বড় হ,” তৃষ্ণা হেসে তার মাথায় হাত বোলালেন।  

সেদিন সোমা প্রথমবার দিদিমার চোখে কিছু গভীর বিষাদের ছাপ দেখতে পেল। তার মনে হল, দিদিমার এই হাসির আড়ালে হয়তো অনেক ব্যথা লুকিয়ে আছে।  

তৃষ্ণার ঘড়ি নিয়ে যে কথোপকথনগুলো ছিল, সেগুলো সবসময় মজার হয়নি। সোমা যখন ছোট ছিল, তখন তার দাদু, মানস, ছিলেন বাড়ির অন্যতম কঠোর মানুষ। তিনি সবসময় তৃষ্ণার ঘড়ির দিকে কটাক্ষ করতেন।  

“ওটা তো কেবল একটা জঞ্জাল! ফেলে দাও!” মানস একদিন খিটখিটে স্বরে বলেছিলেন।  

তৃষ্ণা হাসি দিয়ে জবাব দিয়েছিলেন, “এই জঞ্জালই তোমার থেকে বেশি কথা বলে!”  

তাদের এই ছোট ছোট কথার লড়াইয়ে সোমা মজা পেত, কিন্তু আজ সে প্রথমবার বুঝল, দিদিমার কথার মধ্যে হয়তো এক ধরনের প্রতিরোধ লুকিয়ে ছিল।  

বার্ষিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির দিন তৃষ্ণা বারবার সোমাকে সাহায্য করছিলেন। সোমা যখন নিজের পোশাকের ফিতা বাঁধতে পারছিল না, তখন তৃষ্ণা এসে বললেন, “আয়, আমি বেঁধে দিই। একদিন আমাকেও কেউ এভাবে সাহায্য করেছিল।”  

“কে?” সোমা জানতে চাইল।  

“সে তো অনেক আগের কথা,” তৃষ্ণা গভীরভাবে ঘড়িটার দিকে তাকালেন। “একজন ছিল, যে আমাকে বলত—‘তৃষ্ণা, সময়ের মতো মনের কাঁটাও ঠিক রাখতে হয়। সব সময় এগিয়ে যেতে হয়।’”  

“তোমার কি মনে পড়ে, দিদিমা?” সোমা জিজ্ঞেস করল।  

“সবকিছু মনে থাকে না, তবে ঘড়িটা থেকে যায়। সেটা তো কখনো থামে না,” তৃষ্ণার কণ্ঠস্বর যেন আরও গম্ভীর হয়ে উঠল।  

পরের দিন, যখন অনুষ্ঠান শেষ হলো, তখন সোমা আবার দিদিমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, “তোমার কথা মনে হলে আমার খুব ভালো লাগে, দিদিমা। কিন্তু দাদু কেন তোমার ঘড়ি পছন্দ করতেন না?”  

তৃষ্ণা একটু চুপ করে থাকলেন। তারপর বললেন, “মানস খুব ভালো মানুষ ছিলেন, কিন্তু তার সময় আর আমার সময় একদম মেলে না। তাই ঘড়িটা আমি নিজের মতো রেখে দিয়েছি। এটা আমারই, শুধু আমার।”  

সোমার মনে হল, দিদিমার জীবনে এমন কিছু অধ্যায় আছে, যেগুলো তিনি কাউকে বলেন না। কিন্তু ঘড়িটা সেই সব অধ্যায়ের সাক্ষী হয়ে আছে।  

সন্ধ্যায় যখন সবাই মিলে গল্প করছিল, তখন সোমা খেয়াল করল, দিদিমার ঘড়ি এখনও সেই আগের মতোই আছে। কিন্তু এবার সে বুঝল, এটি শুধু সময় দেখানোর যন্ত্র নয়, এটি তার দিদিমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে ধরে রেখেছে।  

এই ঘটনার পর থেকে সোমার ঘড়ি নিয়ে কৌতূহল আরও বেড়ে গেল। সে অনুভব করল, দিদিমার হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকা সত্যিটা হয়তো কোনোদিন পুরোপুরি জানা হবে না। কিন্তু যতবারই সে ঘড়িটার দিকে তাকায়, ততবারই তার মনে হয়, এই ঘড়ি যেন সময়ের সঙ্গে জীবনের প্রতিটি গল্প বলে।  

তৃতীয় অধ্যায়: দিদিমার গল্প

মোটিভেশনাল বাংলা ছোট গল্পটির অডিও স্টোরি শুনতে নিচে প্লে বোতাম টি ক্লিক করুন।

কলেজের প্রথম বর্ষ শেষ হওয়ার পরের ছুটিতে সোমা বাড়ি ফিরল। বাড়ির প্রতিটি কোণে শৈশবের স্মৃতি লুকিয়ে আছে, আর তার মধ্যে দিদিমার সেই পুরোনো স্টিলের ঘড়ি যেন জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে। সোমা লক্ষ করল, এত বছর কেটে যাওয়ার পরও ঘড়িটা যেন ঠিক আগের মতোই তৃষ্ণার হাতে শোভা পাচ্ছে।  

একদিন বিকেলে, দিদিমার পাশে বসে সোমা চুপচাপ ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে রইল। তৃষ্ণা তখন জানালার পাশে বসে উলের সোয়েটার বুনছিলেন। কয়েক মুহূর্তের নীরবতার পর সোমা ধীরে ধীরে বলল, “দিদিমা, তোমার এই ঘড়ি কি তোমার জীবনের কোনো বিশেষ স্মৃতি বহন করে? তোমার জন্য এটা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?”  

তৃষ্ণা তার কাজ থামিয়ে ঘড়িটার দিকে তাকালেন। তার চোখে যেন স্মৃতির রঙিন ছায়া ভেসে উঠল। কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর তিনি শান্ত গলায় বললেন, “হ্যাঁ, সোমা। এই ঘড়ি শুধু সময় নয়, অনেক অসময়ের গল্প বলে। তোর দাদুর প্রথম উপহার, তার কাছ থেকে পাওয়া প্রথম ভালোবাসার প্রমাণ।”  

“দাদু এই ঘড়ি তোমাকে দিয়েছিলেন?” সোমা কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করল।  

তৃষ্ণা মৃদু হেসে মাথা নাড়লেন। “তখন আমার বিয়ের প্রথম দিকের দিনগুলো। মানস আমাকে খুব ভালোবাসতেন, কিন্তু তিনি ছিলেন একজন সংযমী মানুষ। বেশি কিছু প্রকাশ করতে পছন্দ করতেন না। একদিন হঠাৎ আমাকে এই ঘড়িটা দিলেন। বললেন, ‘তৃষ্ণা, এটা তোমার মতোই। শক্ত, নির্ভুল আর সবকিছুতে ভরসা যোগায়।’ আমি ঘড়িটা হাতে নিয়ে বলেছিলাম, ‘কিন্তু এটা তো ছেলেদের ঘড়ি!’ তখন তিনি হেসে বললেন, ‘তুমি কি ছেলেদের থেকে কম কিছু?’”  

সোমা হেসে উঠল। “দাদু তো বেশ রোমান্টিক ছিলেন!”  

তৃষ্ণা একটু বিষাদের সঙ্গে বললেন, “হ্যাঁ, কিন্তু মানুষের মনের আবহাওয়া সবসময় এক রকম থাকে না। একদিন রাগের বশে মানস এই ঘড়িটা ভেঙে ফেলে দিলেন। আমি খুব কেঁদেছিলাম, কিন্তু তার পরদিনই ঘড়িটা নিজেই সারিয়ে নিলাম। সেই দিন থেকে এটা হয়ে উঠল আমার নিজের প্রতীক—সাহস, ভালোবাসা আর লড়াইয়ের।”  

সোমা অবাক হয়ে দিদিমার দিকে তাকিয়ে রইল। “তুমি সারিয়ে নিয়েছিলে? কীভাবে করেছিলে?”  

তৃষ্ণা একটু গর্বের সঙ্গে বললেন, “তখন তো আমাদের কোনো মোবাইল ছিল না, ইউটিউব ছিল না। তাই নিজে নিজেই শিখতে হয়েছিল। দোকানে না নিয়ে গিয়ে নিজের হাতে সব ঠিক করেছিলাম। আমি ঠিক করেছিলাম, এই ঘড়ি আমি কারও জন্য ভাঙতে দেব না। আমি তো নিজেই সময়ের সঙ্গে লড়াই করতে শিখেছি।”  

সোমা গভীরভাবে অনুভব করল, দিদিমার ঘড়ি আসলে তাদের পরিবারের এক অমূল্য উত্তরাধিকার। এটা শুধু একটা জিনিস নয়, এটা তৃষ্ণার জীবনের প্রতিটি লড়াই, প্রতিটি ভালোবাসার গল্পের সাক্ষী।  

“তাহলে তুমি কি মনে করো, এই ঘড়িটা শুধু তোমার জন্যই?” সোমা মৃদু হেসে জিজ্ঞাসা করল।  

তৃষ্ণা তাকে বললেন, “এই ঘড়ি শুধু আমার নয়, এটা আমাদের সবার। এটা আমাকে শিখিয়েছে যে, সময় কখনও থেমে থাকে না। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের মধ্যে নতুন কিছু শেখার, নতুন কিছু দেখার সুযোগ থাকে। এই ঘড়ি তোকে একদিন দেবে তোর মা। তারপর তোরা আবার অন্য কারও হাতে তুলে দেবে। এটা তো শুধু সময় দেখানোর জন্য নয়, এটা জীবন দেখানোর জন্য।”  

সন্ধ্যায়, যখন বাড়ির সবাই একসঙ্গে বসে গল্প করছিল, তখন সোমার মনে একটা নতুন অনুভূতি জন্ম নিল। দিদিমার সেই পুরোনো ঘড়ি তার কাছে শুধুই একটি বস্তু নয়। এটি যেন তাদের পরিবারের জীবনের প্রতীক। তৃষ্ণার সাহস আর ধৈর্য যেন এই ঘড়ির প্রতিটি কাঁটার মধ্যে লুকিয়ে আছে।  

সেই রাতে ঘুমানোর আগে, সোমা আবার দিদিমার কাছে গেল। “দিদিমা, তুমি জানো? এই ঘড়িটা আমাকে শিখিয়েছে যে সময়ের সঙ্গে লড়াই করতে হয়, আর সেই লড়াইয়ে জয়ী হওয়াটাই সবচেয়ে বড় কথা।”  

তৃষ্ণা হাসলেন। “বুঝতে পারলি তো, সোমা। সময় সবাইকে সব কিছু শেখায়, শুধু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হয়।”  

সোমা তার দিদিমাকে আলিঙ্গন করল। ঘড়িটা যেন নিঃশব্দে এইসব ভালোবাসা আর স্মৃতির সাক্ষী হয়ে রইল।  

রহস্য-রোমাঞ্চ বাংলা ছোট গল্প - রক্ষক: রহস্য, রোমাঞ্চ ও দেব-দানবের যুদ্ধ নিয়ে লেখা "রক্ষক" এক অনবদ্য বাংলা ছোট গল্প। রাক্ষসের অভিশাপ, দেবীশক্তি ও মানবতার রক্ষার গল্প আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে এক মহাকাব্যিক জগতে! সম্পূর্ণ বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে ও অডিও স্টোরির স্বাদ উপভোগ করতে এই লিংকটি ক্লিক করুন।

চতুর্থ অধ্যায়: সময়ের শেষ প্রহর

মোটিভেশনাল বাংলা ছোট গল্পটির অডিও স্টোরি শুনতে নিচে প্লে বোতাম টি ক্লিক করুন।

তৃষ্ণার বার্ধক্য যেন ছিল একটি পরিণত, স্থিতিশীল নদীর মতো। জীবনের অনেক ওঠাপড়া পেরিয়ে আজ তিনি শান্ত, পরিপূর্ণ। বৃদ্ধাশ্রমের ছোট্ট ঘরটি তৃষ্ণার জন্য কোনো শোকের জায়গা নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে তার গল্প বলার কেন্দ্র। আশ্রমের প্রতিটি মানুষ, কর্মী থেকে শুরু করে বাসিন্দা, তৃষ্ণার প্রাণবন্ত কথাবার্তায় মুগ্ধ। সোমা প্রতি মাসেই তাকে দেখতে আসত। তার ছেলেও মাঝে মাঝে সঙ্গে আসত, আর তার উপস্থিতি আশ্রমের পরিবেশ আরও প্রাণবন্ত করে তুলত।  

একদিন বিকেলে সোমা যখন আশ্রমে এল, তার ছেলেটি, পাঁচ বছরের আয়ুষ, দিদিমার কোল ঘেঁষে বসে খেলছিল। তৃষ্ণার সেই পুরোনো ঘড়িটা তার হাত থেকে খুলে আয়ুষের হাতে দিয়ে বললেন, “এই ঘড়ি দেখ, এটি তোমার দিদিমার সব গল্পের সাক্ষী। জানিস, এই ঘড়ি কতবার আমার জীবনের পথ দেখিয়েছে?”  

আয়ুষ চোখ বড় করে বলল, “দিদিমা, এই ঘড়ি কি ম্যাজিক করে?”  

তৃষ্ণা মৃদু হেসে বললেন, “ম্যাজিক নয়, কিন্তু এটা আমার অনেক অসময়ের বন্ধু। একদিন তোর মা ছোটবেলায় আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, আমি ছেলেদের ঘড়ি কেন পরি। জানিস, তখন কি বলেছিলাম?”  

আয়ুষ কৌতূহলী হয়ে মাথা নাড়ল। সোমা পাশে বসে মৃদু হাসল।  

“আমি বলেছিলাম, সময় কোনো ছেলে বা মেয়ে নয়। এটা সবার। আর আজ তোকে বলি, সময় হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষক। এটা আমাদের শেখায় কিভাবে হারিয়ে যাওয়া মুহূর্তগুলো ধরে রাখতে হয়।”  

আয়ুষ ঘড়িটা হাত দিয়ে নাড়ল। “দিদিমা, এই ঘড়ি কি সব কথা শোনে?”  

তৃষ্ণা হেসে বললেন, “হ্যাঁ, শোনে। আর তার মধ্যেই সব কথা ধরে রাখে। এই ঘড়ির কাঁটার শব্দ, জানিস, সেটা আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের গল্প বলে।”  

সোমা দিদিমার কথা শুনে কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর বলল, “দিদিমা, তুমি জানো, তোমার এই ঘড়ি আমার কাছে সময়ের থেকে বেশি কিছু। এটা যেন আমাদের জীবনের প্রতীক। যখনই তোমার কথা মনে হয়, আমি এই ঘড়িটার দিকে তাকাই।”  

তৃষ্ণা কোমল গলায় বললেন, “সোমা, সময়ের মূল্য বোঝা জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা। এই ঘড়ি শুধু ঘন্টা আর মিনিট দেখায় না, এটা জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মনে করিয়ে দেয়। তোর দাদু যখন এই ঘড়ি ভেঙে ফেলে দিলেন, তখন আমি এটা ঠিক করে আবার নতুন করে বাঁচার সাহস পেয়েছিলাম। আর আজ, এই ঘড়ি তোদের জীবনেও সাহস যোগাবে।”  

সেদিনের কথাগুলো সোমার হৃদয়ে গভীরভাবে ছাপ ফেলল। কয়েক মাস পরে একদিন, সোমা যখন দিদিমার কাছে গেল, তখন তৃষ্ণা তার জীবনের শেষ দিনগুলো কাটাচ্ছেন। শরীর ভেঙে পড়েছে, কিন্তু তার মুখের হাসি এখনো অটুট। সেই দিন বিকেলে, যখন চারপাশে মেঘলা আকাশ আর হালকা বৃষ্টি পড়ছিল, তৃষ্ণা সোমার হাত ধরে বললেন, “সোমা, আমি তোকে একটা দায়িত্ব দিতে চাই।”  

“কী দায়িত্ব, দিদিমা?” সোমা চোখের জল আটকাতে চেষ্টা করল।  

তৃষ্ণা ধীরে ধীরে নিজের ঘড়িটা খুলে সোমার হাতে দিলেন। “এই ঘড়ি এবার তোর। এটা আমার জীবনের সব গল্পের সাক্ষী। এটা তোকে সময়ের সঙ্গে চলতে সাহায্য করবে। যে সময়ের কাছে কিছুই স্থির নয়, সেই সময়ের সঙ্গে ঘড়িটা যেন তোদের সব স্মৃতি ধরে রাখে।”  

সোমার চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় জল পড়তে লাগল। সে দিদিমার হাত চেপে ধরে বলল, “আমি প্রতিদিন এই ঘড়ি দেখে তোমার কথা মনে করব, দিদিমা। তোমার প্রতিটা কথা, প্রতিটা শিক্ষা আমি আমার জীবনে নিয়ে চলব।”  

তৃষ্ণা হেসে বললেন, “মনে রাখিস, সোমা, সময়কে কখনো হার মানাতে দেবি না। যতই কঠিন সময় আসুক, তুই সব সময় শক্ত হয়ে দাঁড়াবি। আর এই ঘড়ি তোর পথ দেখাবে।”  

সেদিন তৃষ্ণা যখন চিরতরে নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন, তার মুখে ছিল এক অদ্ভুত শান্তি। তার হাতে ছিল না সেই ঘড়ি, কিন্তু সেটা তখন সোমার হাতে পরা ছিল। সেই মুহূর্তে সোমা অনুভব করল, দিদিমা শুধু তাকে সময়ের গল্প নয়, জীবনের গল্পও দিয়ে গেছেন।  

সেই দিন থেকে ঘড়িটা শুধু একটা পুরোনো স্মৃতি নয়, সোমার জীবনের পথপ্রদর্শক হয়ে উঠল। দিদিমার দেওয়া শিক্ষার আলোয় সোমা নিজেকে আরও পরিণত করতে লাগল। আর সেই ঘড়ি, যা ছিল তৃষ্ণার সাহস আর ভালোবাসার প্রতীক, তা হয়ে উঠল সোমার জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।  

কল্পবিজ্ঞান-এর বাংলা ছোট গল্প - আকাশের অতিথি: "আকাশের অতিথি" একটি মজার এবং রহস্যময় কল্পবিজ্ঞান গল্প, যেখানে ভিনগ্রহের অতিথিরা দুর্গাপূজার আবহে শান্তিপুরে নেমে আসে। বাংলা ছোট গল্পের অনন্য স্বাদ নিয়ে রচিত এই উপাখ্যান পাঠককে মুগ্ধ করবে। সম্পূর্ণ বাংলা ছোট গল্পটি পড়তে ও অডিও স্টোরির স্বাদ উপভোগ করতে এই লিংকটি ক্লিক করুন।

পঞ্চম অধ্যায়: উত্তরাধিকার

মোটিভেশনাল বাংলা ছোট গল্পটির অডিও স্টোরি শুনতে নিচে প্লে বোতাম টি ক্লিক করুন।

তৃষ্ণার মৃত্যুর পর তার সেই ঘড়িটি সোমার মা, নন্দিতা, পরতে শুরু করেন। প্রতিদিন সকালে তার শাড়ির সঙ্গে ঘড়িটি একেবারে মানিয়ে যেত। ঘড়ির কাঁটা যখন টিকটিক করে চলত, তখন নন্দিতা মনের মধ্যে যেন তৃষ্ণার কথাগুলো শুনতে পেতেন। এই ঘড়ি তাদের পরিবারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছিল।  

একদিন, নন্দিতা রান্নাঘরে ব্যস্ত, আর সোমা তার ছেলে আয়ুষকে নিয়ে বসে গল্প শুনাচ্ছে। হঠাৎ আয়ুষ বলে উঠল, “মা, দিদার ঘড়ি কি এখন তোমার? ওটা কি তোমার গল্পও জানে?”  

সোমা হাসতে হাসতে বলল, “হ্যাঁ রে, আয়ুষ। এই ঘড়ি শুধু সময় দেখায় না, এটা আমাদের পরিবারের সব গল্পের সাক্ষী। আর তোর দিদার সাহস আর ভালোবাসার প্রতীক।”  

তখনই সোমার চোখ পড়ল ঘড়ির কাঁটার দিকে। সে ভাবল, ঘড়িটি তো এত বছর ধরে সময় দেখিয়েছে, কিন্তু এর মধ্যে কত কিছু লুকিয়ে আছে। সে ঘড়িটি খুলে ভালো করে দেখতে শুরু করল।  

ঘড়ির কাচের নিচে, ভেতরের ধাতব অংশে একটি ছোট ক্ষতচিহ্ন দেখতে পেল সোমা। সেই চিহ্নটি খুব ছোট, কিন্তু তার গভীরতা অনেক। সোমা কিছুক্ষণ চুপচাপ চিহ্নটি দেখল। তার মনে পড়ে গেল দিদিমার সেই কথা, যখন তিনি বলেছিলেন, “তোর দাদু রাগের বশে এই ঘড়ি ভেঙে দিয়েছিল, কিন্তু আমি সেটি ঠিক করে নিয়েছিলাম।”  

সোমা হঠাৎ অনুভব করল, এই ছোট ক্ষতচিহ্নটি শুধু দিদিমার কষ্টের কথা বলে না, বরং তার শক্তি আর আত্মবিশ্বাসের কথাও বলে।  

সে ঘড়িটি হাতে নিয়ে নন্দিতার কাছে গেল। “মা, এই চিহ্নটা দেখেছ?”  

নন্দিতা একটু অবাক হয়ে বললেন, “না তো, আমি কখনো খেয়াল করিনি। এটা কীভাবে হয়েছে?”  

সোমা দিদিমার গল্প আবার মনে করে বলল, “দিদা বলেছিল, দাদু একদিন রাগের মাথায় ঘড়িটি ভেঙে ফেলেছিলেন। কিন্তু দিদা সেটি ঠিক করে নিয়েছিলেন। এটা সেই সময়েরই চিহ্ন। দিদার জীবনের প্রতিটি দুঃখ-কষ্ট আর সাহসের সাক্ষী এই ছোট দাগটা।”  

নন্দিতা কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর বললেন, “এই ঘড়ি শুধু একটা জিনিস নয়, সোমা। এটা আমাদের পরিবারের স্মৃতি, ভালোবাসা আর ত্যাগের প্রতীক। তোর দিদা এই ঘড়িটা ঠিক করেও যে শক্তি দেখিয়েছিলেন, সেটাই তো আমাদের শিখতে হবে—কোনো কিছু ভেঙে গেলেও সেটা সারিয়ে নতুন করে শুরু করতে হয়।”  

সোমা ঘড়িটির দিকে তাকিয়ে বলল, “মা, দিদার মতো আমরাও তো জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। এই ঘড়ির টিকটিক শব্দ যেন আমাদের শেখায় যে সময় চলে যায়, কিন্তু স্মৃতিগুলো চিরকাল থেকে যায়।”  

আয়ুষ হঠাৎ এসে বলল, “মা, দিদার ঘড়ি কি আমিও একদিন পরতে পারব?”  

নন্দিতা আর সোমা একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসল। নন্দিতা বললেন, “অবশ্যই পারবি। এই ঘড়ি আমাদের পরিবারের সম্পদ, এটা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে যাবে।”  

সেদিন সন্ধ্যায়, সোমা ঘড়িটি নিজের ঘরে রেখে দিল। ঘড়িটির কাঁটার প্রতিটি শব্দ যেন তাকে নতুন করে অনুপ্রাণিত করছিল। তৃষ্ণার জীবনের প্রতিটি গল্প যেন এই ঘড়ির মধ্যে লুকিয়ে আছে।  

সোমার মনে হলো, এই ঘড়িটি শুধু সময়ের হিসাব রাখে না। এটি ভালোবাসার প্রতীক, ত্যাগের প্রতীক, আর একটি পরিবারের একাত্মতার প্রতীক। ঘড়ির টিকটিক শব্দ যেন বারবার বলে, “সময় চলে যায়, কিন্তু স্মৃতি চিরকাল থেকে যায়।”  

তৃষ্ণার জীবন থেকে সোমা শিখেছিল, প্রতিটি সাধারণ জিনিসের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে অসাধারণ অনুভূতি। এখন সেই ঘড়িটি সোমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এটি তাকে সব সময় মনে করিয়ে দেয়, শক্তি আর সাহসের সঙ্গে এগিয়ে চলাই জীবনের আসল মানে। 

এই রকম চিত্তাকর্ষক বাংলা ছোট গল্প -এর আপডেট পেতে আমাদের WhatsApp চ্যানেল জয়েন করুন।

আমরা কারা

নতুন বাংলা ছোট গল্প

শেষ পত্র

স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝে হারিয়ে যাওয়া এক প্রেমের গল্প! পড়ুন এবং অডিও স্টোরির স্বাদ উপভোগ করুন এক হৃদয়স্পর্শী রোমান্টিক বাংলা ছোট গল্প সাথে, যেখানে এক বিবাহিত পুরুষ স্বপ্নে দেখা নীহারিকার প্রেমে অমোঘ টানে জড়িয়ে পড়ে।

স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝে হারিয়ে যাওয়া এক প্রেমের গল্প! পড়ুন এবং অডিও স্টোরির স্বাদ উপভোগ করুন এক হৃদয়স্পর্শী রোমান্টিক বাংলা ছোট গল্প সাথে, যেখানে এক বিবাহিত পুরুষ স্বপ্নে দেখা নীহারিকার প্রেমে অমোঘ টানে জড়িয়ে পড়ে।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: শেষ পত্র

কালের কোটর

পূর্বজন্মের পাপ কি এই জীবনে পিছু ছাড়ে না? বাড়ির ছাদের চিলেকোঠায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় ছোট্ট রিংগো। তার বাবা পাগলের মতো খুঁজতে গিয়ে আবিষ্কার করে এক রহস্যময় কঠোর—যা সময়ের গভীরে লুকিয়ে থাকা এক ভয়ংকর সত্য বহন করছে। চোখের সামনে ঘটে যেতে থাকে অস্বাভাবিক সব ঘটনা—প্রাচীন ছায়ামূর্তি আর এক বিভীষিকাময় অতীতের স্মৃতি, যা আসলে তার নিজের! সে বুঝতে পারে, এই সবকিছু জড়িয়ে আছে তার পূর্বজন্মের এক অভিশাপের সাথে। সে কি পারবে এই অতৃপ্ত অতীত থেকে মুক্তি পেতে? নাকি সময়ের নিষ্ঠুর শিকল টেনে নিয়ে যাবে তাকে এক ভয়ংকর পরিণতির দিকে?

পূর্বজন্মের পাপ কি এই জীবনে পিছু ছাড়ে না? বাড়ির ছাদের চিলেকোঠায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় ছোট্ট রিংগো। তার বাবা পাগলের মতো খুঁজতে গিয়ে আবিষ্কার করে এক রহস্যময় কঠোর—যা সময়ের গভীরে লুকিয়ে থাকা এক ভয়ংকর সত্য বহন করছে। চোখের সামনে ঘটে যেতে থাকে অস্বাভাবিক সব ঘটনা—প্রাচীন ছায়ামূর্তি আর এক বিভীষিকাময় অতীতের স্মৃতি, যা আসলে তার নিজের!…

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: কালের কোটর

দানব মামার বন্ধু

"দানব মামার বন্ধু" একটি মজার ছোটদের গল্প, যেখানে মুন্না ও এক দানবের অদ্ভুত বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। রূপকথার গল্পের আবহে দানব মামা তার ভালো ব্যবহার দিয়ে গ্রামবাসীর মন জয় করে।

"দানব মামার বন্ধু" একটি মজার ছোটদের গল্প, যেখানে মুন্না ও এক দানবের অদ্ভুত বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। রূপকথার গল্পের আবহে দানব মামা তার ভালো ব্যবহার দিয়ে গ্রামবাসীর মন জয় করে।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: দানব মামার বন্ধু

Leave a Comment

অনুলিপি নিষিদ্ধ!