কল্পবিজ্ঞান গল্প: তিনজন বন্ধু সময় ভ্রমণ করে ১৭৫৭ সালে যান এবং কালো গর্তের যুদ্ধের সাক্ষী হন। ব্রিটিশ ও বাঙালি বাহিনীর সংঘর্ষের মাঝে তারা ইতিহাস, সাহস ও বীরত্বের গল্প খুঁজে পান।

বাংলা ছোট গল্প

Home » বাংলা ছোট গল্প » কোয়ান্টাম সময় সেতু

কোয়ান্টাম সময় সেতু

কল্পবিজ্ঞান গল্প: তিনজন বন্ধু সময় ভ্রমণ করে ১৭৫৭ সালে যান এবং কালো গর্তের যুদ্ধের সাক্ষী হন। ব্রিটিশ ও বাঙালি বাহিনীর সংঘর্ষের মাঝে তারা ইতিহাস, সাহস ও বীরত্বের গল্প খুঁজে পান।

বছর ২১৪৫। এককালের সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিজীবীদের আবাস্থল ছিল কলকাতা, সেই শহর এখন এক অদ্ভুত মিশেল আর উন্নত প্রযুক্তির জালে জড়িয়ে গেছে। আকাশ ছেয়ে গেছে সবুজ ছাদওয়ালা আকাশচুম্বী গগনচুম্বীতে – আর শহর জুড়ে চলাচল করছে চুম্বকীয় আসন ট্রেনের জাল। কিন্তু এত উন্নতির মাঝেও, কলকাতার ঐতিহাসিক স্থাপত্য আর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পুরনো মায়া একেবারেই হারিয়ে যায়নি। ফলে, অতীত আর বর্তমানের এক অনন্য মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে এখানে।

কলকাতা এখন এক বিরাট বৈজ্ঞানিক সাফল্যের দ্বারে দাঁড়িয়ে। ভারতীয় উन्नত বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থার গবেষকরা তৈরি করে ফেলেছেন একটি “কোয়ান্টাম সময় সেতু”র আদি নিদর্শন। এই যন্ত্রটি কোয়ান্টাম স্তরে সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই প্রযুক্তি মানবজাতির সময় সম্পর্কে ধারণাকে বৈপ্লবিকভাবে বদলে দেবে, কিন্তু এর সাথে রয়েছে অজানা কিছু পরিণতি।

ড. সোহিনী সেন, কোয়ান্টাম মেকানিক্সের এক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী। তিনি এই কোয়ান্টাম সময় সেতুটির সাহায্যে অতীত ও ভবিষ্যৎ দেখার চেষ্টা করছেন, যাতে মানবজাতি দুর্যোগ এড়াতে পারে এবং আরও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু পরীক্ষার সময় কিছু একটা ভুল হয়ে যায়। সোহিনী অনিচ্ছায় একটি সময় ফাটল তৈরি করে ফেলেন, যার ফলে কলকাতার অতীত ও ভবিষ্যৎ বর্তমানের মধ্যে মিশে যায়। ফাটলটি আরও বড় হতে থাকে, আর শহরে নানা রকম বিভ্রান্তি দেখা দেয়। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকের ট্রামগুলি ভবিষ্যৎ এর উড়ন্ত গাড়িগুলির পাশে চলাচল করতে শুরু করে। বিভিন্ন সময়ের মানুষেরা বিভ্রান্ত ও হতবাক হয়ে নিজেদেরকে এমন এক শহরে খুঁজে পায়, যেটা একই সাথে চেনা আর অচেনা।

এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে, ‘কালপুরুষ’ নামে পরিচিত এক রহস্যময় চরিত্র আবির্ভূত হয়। সে দূরবর্তী ভবিষ্যৎ থেকে এসেছে, যেখানে সময় ভ্রমণ একটি স্বাভাবিক ঘটনা। কালপুরুষ সতর্ক করে দেয় যে সময়ের ফাটলটি আরও বাড়তে থাকবে এবং শেষে শহরের সময়রেখা একাকার হয়ে যাবে, ফলে কলকাতা ইতিহাস থেকে মুছে যাবে।

রাহুলের সাথে আরও যোগ দেয় মীরা, এক তরুণী টেক-স্যাভি যার উন্নত সিস্টেম হ্যাক করার এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে। তিনজনে একত্রিত হয়ে সময়ের ফাটল ঠিক করার জন্যে সময়ের বিরুদ্ধে এক দৌড়ঝাঁপে জড়িয়ে পড়ে। তারা কলকাতার বিভিন্ন সময়ের মধ্যে দিয়ে চলাচল করে – ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগ থেকে বাংলা রেনেসাঁ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে তারা বিখ্যাত ঐতিহাসিক চরিত্রদের সাথে দেখা করে, যারা ফাটল মেরামত করার জন্য তাদের সূত্র খুঁজে পেতে সাহায্য করে। প্রতিটি যুগই তাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ ও অনুভূতি নিয়ে আসে, যা কলকাতার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের মধ্যে আরও গভীর সম্পর্ক প্রকাশ করে।

ভুতের বাংলা ছোট গল্প - ফুলঝাড়ির নিশির ডাক : ভুতের গল্প:  এক ভৌতিক গ্রামের রহস্যময় ঘটনা, হারিয়ে যাওয়া মেয়ে, অপূর্ণ ইচ্ছা, এবং শেষ পর্যন্ত ক্ষমা ও শান্তির গল্প। বাংলা গল্প। এই লিংকটি ক্লিক করে সম্পুর্ন্য বাংলা ছোট গল্পটি পড়ুন।

একটি চূড়ান্ত মুখোমুখি লড়াইয়ে, সোহিনী ও তার দল কালপুরুষের সাথে মুখোমুখি হয়। কালপুরুষ তার আসল পরিচয় প্রকাশ করে – সে রাহুলেরই বয়স্ক রূপ, যে তার নিজের অতীতের ভুল ঠিক করার চেষ্টা করছে। এই মুহূর্তে, তারা বুঝতে পারে ফাটল ঠিক করার একমাত্র উপায় হল কোয়ান্টাম সময় সেতুটিকে শহরের ঐতিহাসিক সময়রেখার সাথে নির্দিষ্ট মুহূর্তে সিঙ্ক্রোনাইজ করা। মাত্র কয়েক সেকেন্ড বাকি থাকতে সোহিনী সফলভাবে সময় সেতুটি পুনর্বিন্যস্ত করে ফাটলটি বন্ধ করে দেয়। সময়ের টুকরোগুলি সরে যায় এবং কলকাতার সময়রেখা পুনরুদ্ধার করা হয়।

শহরটি তার জীবন্ত, আধুনিক রূপে ফিরে আসে, কিন্তু তার সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতি একটি নতুন কৃতজ্ঞতা নিয়ে। সোহিনী, রাহুল এবং মীরা ইনস্টিটিউটের ছাদে দাঁড়িয়ে হুগলি নদীর সূর্যাস্ত দেখে, জানে যে তারা শুধু তাদের শহরকেই রক্ষা করেনি, বর্তমান সময়ের সারাংশকেও রক্ষা করেছে।

নিঃশ্বাস ফেলে সোহিনী, রাহুল, আর মীরা ছাদে দাঁড়িয়ে শহরের আকাশের দিকে তাকাল। কয়েক ঘন্টা আগেও যে বিশৃঙ্খলা ছিল, তার কোনো চিহ্নই নেই। ঐতিহাসিক ট্রাম আর উড়ন্ত গাড়িগুলো, সবই মিলিয়ে গেছে। তবুও, এই ঘটনা তাদের মনে গভীর চিহ্ন রেখে গেল।

কালপুরুষ বা বয়স্ক রাহুলের গল্প তাদের বিচলিত করে রেখেছে। অতীতের ভুল ঠিক করতে ভবিষ্যৎ থেকে আসা – এমন একটা ধারণা তাদের কাছে অবিশ্বাস্য লাগছিল। তবে, রাহুলের চোখে একটা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ্য করল সোহিনী। অতীতের অভিজ্ঞতাগুলো তাকে বদলেছে, আর সে এখন সময় নিয়ে আরও গভীরভাবে চিন্তা করছে।

“এটা কি সত্যিই ঘটেছিল?” মীরা সন্দিহের সাথে প্রশ্ন করল, তার হাতে এখনও সেই অদ্ভুত যন্ত্রটি ছিল, যা সে সময় ফাটল থেকে উদ্ধার করেছিল।

“আমরা কি এখনও স্বপ্ন দেখছি?” রাহুল হাসল, কিন্তু তার হাসি একটু টানটান লাগল।

সোহিনী এগিয়ে এসে মীরার হাত থেকে যন্ত্রটি নিল। এটা ছোট্ট, মসৃণ ধাতু দিয়ে তৈরি, কিন্তু এর কার্যকারিতা সম্পর্কে তার কোনো ধারণা ছিল না। হয়তো এটি একটি ইঙ্গিত, সময় ভ্রমণের আরও বেশি কিছু আছে, এমন কিছু যা এখনও মানুষের বোধগম্যের বাইরে।

“আমি জানি না,” সোহিনী আস্তে বলল, “কিন্তু এই ঘটনা আমাদের আরো অনেক কিছু শেখানোর আছে। সময় নিয়ে আরও গবেষণা করা জরুরি।”

পরের কয়েক সপ্তাহ কেটে গেল। সোহিনী, রাহুল, আর মীরা তাদের অভিজ্ঞতা গোপন রেখে কাজ চালিয়ে গেল। কিন্তু কোনোটিই আগের মতো ছিল না। সময় ফাটলের মাধ্যমে তারা যে-সব ঠান দেখে এসেছে, সেই সব ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর নতুন অর্থ খুঁজতে শুরু করল তারা। কালপুরুষের সতর্কীকরণ তাদের মনে গেঁথে গেছে। সময়ের সাথে খেলা একটি বিপজ্জনক খেলা, এটা তারা এখন পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারছিল।

রহস্য-রোমাঞ্চ বাংলা ছোট গল্প - কলিকাতার অন্ধকার গলি : এই বাংলা গল্পটি অনুসন্ধানী সাংবাদিক অনন্যা সেনের রোমাঞ্চকর অভিযানের কথা বর্ণনা করে।  কলকাতার জমিদার বাড়িতে লুকিয়ে থাকা অপরাধ চক্র "অতীতের রক্ষক"দের রহস্য উদঘাটন করতে লড়াই করেন তিনি। এই লিংকটি ক্লিক করে সম্পুর্ন্য বাংলা ছোট গল্পটি পড়ুন।

একদিন, গবেষণাগারে কাজ করার সময়, সোহিনী হঠাৎ থমকে গেলেন। উদ্ধার করা যন্ত্রটির উপর আরও মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা করতে শুরু করলেন তিনি। তার মনে হল, যন্ত্রটির কোনো অংশ চেনা লাগছে। কয়েক ঘন্টা পর, চোখ জ্বলজ্বলিয়ে সোহিনী চিৎকার করে উঠলেন, “রাহুল! মীরা! এসো!”

দু’জনে ছুটে এল গবেষণাগারে। সোহিনী তাদের উদ্ধার করা যন্ত্রটি দেখালেন। “এই যন্ত্রটি আমাদের তৈরি করা কোয়ান্টাম সময় সেতুরই একটি অংশ,”

রাহুল ও মীরা চমকে গেল। “কিন্তু, এটা তো অতীত থেকে এল?” রাহুল জিজ্ঞাসা করল।

সোহিনী মাথা নাড়লেন। “না, হয়তো এটা ভবিষ্যৎ থেকে এল।” তিনি তাঁর তত্ত্ব ব্যাখ্যা করতে শুরু করলেন। “কালপুরুষ, বা বয়স্ক রাহুল – সময় ভ্রমণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সেই চেষ্টার সময় কোয়ান্টাম সময় সেতুর একটি অংশ ভবিষ্যৎ থেকে অতীতে চলে গিয়েছিল। সম্ভবত, সেই সময় ফাটলের মাধ্যমে এটি আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে।”

মিথ্যা বলতে না পারলেও, রাহুলের মনে একটা সন্দে থেকে গেল। কালপুরুষের সতর্কীকরণের কথাটা কি তাহলে মিথ্যা ছিল? না হয়, আরও কিছু গোপন কথা লুকিয়ে আছে?

“কিন্তু, এখন আমরা এই জ্ঞান দিয়ে কি করব?” মীরা জিজ্ঞাসা করল।

সোহিনী একটা গভীর নিঃশ্বাস ফেললেন। “এই ঘটনা আমাদের সময় ভ্রমণের সম্ভাবনা সম্পর্কে নতুন করে চিন্তা করতে বাধ্য করছে। আমাদের কোয়ান্টাম সময় সেতুর নকশা পুনর্বিবেচনা করতে হবে। হয়তো, এই অংশটির সাহায্যে আরও নিরাপদ ও সুনিয়ন্ত্রিত ভাবে সময়ের মধ্যে ভ্রমণ করা সম্ভব হবে।”

রাহুল একটু চিন্তিত হলেন। “সময়ের সাথে খেলা কি ঠিক হবে? কালপুরুষের কথা তো মনে আছে…”

“কিন্তু,” সোহিনী তাঁকে বাধা দিলেন, “যদি আমরা এই জ্ঞান অর্জন না করি, তাহলে হয়তো কেউ ভবিষ্যতে আমাদের অতীত নিয়ে খেলা করবে।”

একটা নীরবতা নেমে এল। তিনজনেই জানত এটা একটা ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত। কিন্তু নতুন জ্ঞানের প্রলোভনও তাদের কাছে কম কঠিন ছিল না।

শেষ পর্যন্ত, সোহিনী তাঁর সিদ্ধান্ত জানালেন। “আমরা এখনই সময় ভ্রমণের চেষ্টা করব না। কিন্তু আমরা এই নতুন জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আরও নিরাপদ পদ্ধতি আবিষ্কারের চেষ্টা করব।” রাহুল ও মীরা একমত হল। তাদের জানামতে, এই সিদ্ধান্তই ছিল সবচেয়ে বিবেকবান সিদ্ধান্ত।

এরপর থেকে, তাদের জীবন পুরনো গতি ধরে ফিরলেও, তাদের মধ্যে একটা নতুন বন্ধন তৈরি হয়েছিল। সময়ের রহস্য তাদের আরও কাছে এনে দিয়েছিল। গবেষণাগারে তাদের কাজ আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলতে থাকল। হয়তো কোনো একদিন, তারা নিরাপদে অতীতের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারবে, কিন্তু সেদিন এখনও আসেনি। ততদিন পর্যন্ত, তারা সময়ের গতির সাথে তাল মিথিয়ে এগিয়ে চলতে থাকল, জানতে ইচ্ছুক ছিল অতীত ও ভবিষ্যতের আরও গভীর রহস্য।

বছর কয়েক পেরিয়ে গেল। সোহিনী, রাহুল, আর মীরার জীবনে অনেক কিছুই বদলে গেল। তাদের সেই অভিজ্ঞতা তাদের গবেষণাকে নতুন দিশা দিল। কোয়ান্টাম সময় সেতুর নকশায় উদ্ধার করা যন্ত্রটির অংশ কাজে লাগিয়ে তারা একটি নতুন, আরও সুস্থিত যন্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হল। কিন্তু সময় ভ্রমণের ঝুঁকি এখনও বিদ্যমান ছিল। তাই তারা সতর্কতার সাথে এগিয়ে চলল।

একদিন, একটি নিখুঁত সকালে, সোহিনী তাদের গবেষণাগারে ডাকলেন। একটা উত্তেজনাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তিনি তাদের জানালেন, “আমি মনে করি আমরা প্রস্তুত।”

রাহুল ও মীরা চোখে চোখ মিলিয়ে নিল। বছরের পর বছর ধরে চলা গবেষণার ফল এখন তাদের সামনে। সময় ভ্রমণের স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ নেবার মুখে।

“কিন্তু কোথায় যাব?” মীরা জিজ্ঞাসা করল।

সোহিনী একটি পুরোনো মানচিত্র দেখালেন। এটি কলকাতারই একটি মানচিত্র, কিন্তু দেখতে লাগছিল অনেকটা অপরিচিত। “এই মানচিত্রটি আমি কিছুদিন আগে পেয়েছিলাম। এটি ১৭৫৭ সালের কলকাতার। কালো গর্তের যুদ্ধের আগের সময়।”

রাহুলের চোখ জ্বলে উঠল। কালো গর্তের যুদ্ধ – কলকাতার ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে বাংলার নবাবদের লড়াইয়ের এই সময়টিকে ঘিরে এখনও অনেক রহস্য রয়ে গেছে।

“আমরা এই যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারি,” রাহুল উচ্চস্বরে বললেন।

“শুধু এটাই নয়,” সোহিনী যোগ করলেন, “এই সময়ের মানুষদের জীবনযাপন, তাদের সংস্কৃতি – এই সব কিছুই আমাদের কাছে নতুন জ্ঞানের দুয়ার খুলে দেবে।”

মিথ্যা বলতে না পারলেও, মীরার মনে একটা সন্দে ছিল। সময় ভ্রমণের এই প্রথম অভিজ্ঞতা কি ঠিক হবে? কিন্তু কৌতূহল আর জ্ঞানের প্রবৃত্তি তার সন্দেহ-কে ঢেকে ফেলল।

শেষ পর্যন্ত, সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তারা ১৭৫৭ সালের কলকাতায় যাত্রা করবে। সোহিনী যন্ত্রটি সক্রিয় করলেন। গবেষণাগারের মধ্যে একটা সবুজ আলো জ্বলে উঠল। যন্ত্রটির চারপাশে বাতাস কাঁপতে শুরু করল।

“প্রস্তু?” সোহিনী জিজ্ঞাসা করলেন, তার গলায় একটা স্নায়ুচাপ চাপা।

রাহুল ও মীরা একে অপরের দিকে তাকাল। তারপর, এক গভীর নিঃশ্বাস ফেলে তারা যন্ত্রের মধ্যে ঢুকে পড়ল।

বাংলা রোমান্টিক ছোট গল্প - ছবির গল্প, লেখার সুর : খুঁজছেন এক মন ছোঁয়া বাংলা গল্প? আবির, এক ফটোগ্রাফার, রাধিকার হাসিতে মুগ্ধ হয়, কিন্তু তার প্রেম জটিল। নেপালের পাহাড়ে কি তাদের প্রেম সফল হবে? এই লিংকটি ক্লিক করে সম্পুর্ন্য বাংলা ছোট গল্পটি পড়ুন।

চোখ খুলতেই রাহুল, সোহিনী আর মীরা চমকে উঠল। তারা আর গবেষণাগারের পরিচিত পরিবেশে ছিল না। চারপাশে ঘন গাছপালা, মাটির রাস্তা, দূরে মৃদু স্রোতের এক নদী। গরম, আর্দ্র বাতাস তাদের গায়ে লাগল। এটা ছিল অপरिচিত, কিন্তু অদ্ভুতভাবে সুন্দর এক পরিবেশ।

“আমরা কোথায়?” মীরা প্রশ্ন করল, চারপাশে তাকিয়ে।

সোহিনী একটা ছোট্ট ডিভাইস বের করলেন, যা তিনি সময় ভ্রমণের যন্ত্রের সাথে যুক্ত করেছিলেন। এটি তাদের অবস্থান নির্দেশ করবে। ডিভাইসের স্ক্রিনে ঝলসে উঠল – ১৭৫৭ সাল, কলকাতা।

স্বস্তি বোধ করলেন সোহিনী। তারা ঠিক সময়ে ও ঠিক জায়গায় পৌঁছে গেছে। কিন্তু আশপাশের পরিবেশ তাদের বিভ্রান্ত করল। এটা তো কলকাতার মতো লাগছে না! কোথায় উঁচু গগনচুম্বী বাড়ি, চমকপ্রদ ট্রাম? এখানে শুধু গাছপালা আর মাটির ঘর।

“এটা কি শহরের বাইরে কোনো জায়গা?” রাহুল জিজ্ঞাসা করলেন।

সোহিনী মাথা নাড়লেন। “না, এটা কলকাতারই কেন্দ্রস্থল। কিন্তু ১৭৫৭ সালের কলকাতা ছিল এখনকার মতো বিশাল নগরী নয়। এটা ছিল তুলনামূলক ছোট্ট একটা শহর, চারপাশে ঘন জঙ্গল আর গ্রামগুলো দিয়ে বেষ্ঠিত।”

এই নতুন তথ্য তাদের আরও উত্তেজিত করল। তারা ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসা এক অজানা কলকাতাকে দেখতে পেয়েছিল। হঠাৎ, দূরে ঢাকের আওয়াজ শোনা গেল। একটা দল মানুষজন রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। তাদের পরনে ধুতি আর শাড়ি। তাদের চেহারায় আশ্চর্যের ছাপ।

“কেমন আছে সব?” সোহিনী সবার দিকে তাকালেন।

“ভালো আছি,” রাহুল ও মীরা একসাথে বলল। তাদের চোখ ছিল অবাক দর্শনে পূর্ণ। তারা এখন

…ইতিহাসের সাক্ষী।

দলটির কাছে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে হল। তাই গাছপালার আড়ালে আশ্রয় নিয়ে পর পর সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে।

“আমাদের সবার আগে মিশে যেতে হবে,” সোহিনী পরিকল্পনা শুরু করলেন। “তাদের ভাষা, তাদের রীতি-নীতি – সবকিছু আমাদের মনে রাখতে হবে। না হলে সন্দে জাগবে।”

রাহুল পকেট থেকে একটি ছোট্ট বই বের করলেন। “এই বইটিতে ১৮ শতাব্দীর বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতির কথা আছে।”

মিরা তার ট্যাবলেটটি খুলল। “আমার কাছেও কিছু তথ্য আছে।”

কয়েক মিনিট নিঃশব্দে পড়াশুনা চলল। তারপর, সাবধানে গাছপালা থেকে বেরিয়ে এলেন তারা তিনজনে। বাংলায় কুশল জিজ্ঞাসা করে দলটির কাছে এগিয়ে গেলেন সোহিনী।

“কি খবর, ভাই?” সোহিনী জিজ্ঞাসা করলেন।

দলের নেতা, এক বয়স্ক লোক, তাদের অবাক দৃষ্টিতে দেখলেন। “আপনারা কে?”

“আমরা দূর থেকে এসেছি,” সোহিনী উত্তর দিলেন। “কলকাতায় যাচ্ছি।”

লোকটি সন্দিহের চোখে তাদের পরনে থাকা অদ্ভুত পোশাক দেখলেন। কিন্তু, তিনি আর কিছু না জিজ্ঞাসা করে বললেন, “আসুন, আমাদের সাথেই চলুন।”

তারা লোকটির সাথে হাঁটতে শুরু করল। পথে, সোহিনী নানা প্রশ্ন করলেন সেই সময়ের কলকাতা, ইংরেজদের আধিপত্য আর সাধারণ মানুষের জীবনযাপন নিয়ে। লোকটি উত্তর দিতে থাকলেন। তিনি জানালেন কিভাবে ইংরেজরা ক্রমে কলকাতায় শক্তিশালী হয়ে উঠছে, আর কিভাবে বাঙালিদের জমি দখল করে নিচ্ছে।

এই সব কথায় ইতিহাসের বইয়ের পাতা যেন তাদের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠল। কিন্তু, হঠাৎ করেই একটি শব্দ তাদের কানে এল।

“শুনেছেন? নবাব সিরাজ এবার ইংরেজদের আক্রমণ করবেন বলে গুঞ্জন।”

সোহিনী, রাহুল ও মীরা একে অপরের দিকে চোখ ঝলকালেন। কালো গর্তের যুদ্ধের আগের মুহূর্ত! এটাই ছিল তাদের আসল লক্ষ্য।

উত্তেজনা আর সতর্কতা একাকার হয়ে গেল তিনজনের মনে। কালো গর্তের যুদ্ধ – বাংলার ইতিহাসের এক চাঞ্চল্যকর অধ্যায়, যা তাদের চোখের সামনে ঘটতে চলেছে। সোহিনী লোকটিকে আরও প্রশ্ন করতে শুরু করলেন।

“কবে এই যুদ্ধ হবে?”

“ঠিক জানি না। কিন্তু সবাই মনে করছে খুব তাড়াতাড়ি হবে।”

“আমরা কি যুদ্ধ দেখতে পারব?” মীরা সহজভাবে জিজ্ঞাসা করল।

লোকটি একটু চমকে গেলেন। “যুদ্ধ দেখা? কেন? এটা ভালো কিছু না।”

“না, না,” রাহুল তাড়াতাড়ি বলে উঠলেন, “আমরা শুধু কৌতূহলবশত জিজ্ঞাসা করছি।”

কথাবার্তা চলতে থাকল। কয়েক ঘণ্টা পর, তারা শহরের প্রানকেন্দ্রে পৌঁছে গেল। এটা ছিল একেবারেই আলাদিনের আশ্চর্য্যের কাহিনী থেকে বের হয়ে আসা শহরের মতো। কাঁচা মাটির ঘর, সরু রাস্তা, আর মসজিদ ও মন্দিরের মিশ্রণ। ইংরেজদের প্রাধান্য এখনও খুব একটা চোখে পড়ল না।

দলের নেতা তাদেরকে একটা ধর্মশালায় থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন। সেখানে থেকে কয়েকদিন কাটাল তারা। এই কয়েকদিনে তারা শহরের মানুষের সাথে মিশে গেলেন। বাংলা ভাষায় কথা বলতে শিখলেন আর সেই সময়ের রীতি-নীতি মেনে চলার চেষ্টা করলেন।

একদিন, সকালে, ধর্মশালায় থাকতে থাকতে, তারা বাইরে থেকে হৈ-হৈ শুনতে পেলেন। লোকজন ছুটোছুটি করছে। কী হয়েছে জানার জন্য তারা বেরিয়ে এলেন।

একটা বয়স্ক লোক চিৎকার করে বলছিলেন, “নবাব সিরাজের বাহিনী শহরের কাছে এসেছে।”

তারা একে অপরের দিকে চোখ ঝলকালেন। অবশেষে, সেই মুহূর্ত এসে গেল। কালো গর্তের যুদ্ধ। সোহিনী, রাহুল, আর মীরা তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়লেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে ইতিহাসের এই স্মরণীয় ঘটনার সাক্ষী হওয়া।

আতঙ্কিত নাগরিকদের ভিড় ঠেলে তারা শহরের বাইরে পৌঁছে গেল, সেখানে বাতাসে যুদ্ধের উত্তেজনা টের পাওয়া যাচ্ছিল। যুদ্ধের ঢোলের গম্ভীর আওয়াজে সমভূমি কাঁপছিল, ধুলি ঝড়ের মতো উড়ছিল। সোহিনী, রাহুল, আর মীরা ধার করা কাপড় পরে যুদ্ধক্ষেত্র দেখতে পারে এমন একটি ছোট্ট টিলায় উঠে বসল।

তাদের চোখের সামনে যে দৃশ্য ক্রমে প্রকাশিত হল, তা তাদের পড়া ইতিহাসের বইয়ের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল। সাবধানে আঁকা মানচিত্র এবং শুষ্ক বিবরণী যুদ্ধের রুক্ষ জটিলতা আর ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য ধারণ করতে পারে নি। যুদ্ধক্ষেত্রের কিছু অংশ ধোঁয়ায় ঢাকা ছিল, মাঝে মাঝে বন্দুকের গুলির ঝলকানি আর তলোয়ারের খং খং শব্দ দেখা যেত। আহতদের আর্তনাদ আর উভয় পক্ষের যুদ্ধের ধ্বনি বাতাসে ভাসছিল।

সোহিনী, একজন বিজ্ঞানী হিসেবে, সেনাদের গঠন ও কৌশল লক্ষ্য করে বিচ্ছিন্ন মনোযোগে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। কিন্তু যুদ্ধের এই মারাত্মক নাচে জড়িয়ে পড়া সৈন্যদের জন্য রাহুলের মনে সহানুভূতি জাগল। অন্যদিকে, মীরা উভয় পক্ষের – সুসজ্জিত ব্রিটিশ সৈন্য এবং অগোছালো বাঙালি বাহিনীর – কাঁচা সাহস দেখে মুগ্ধ হয়ে গেল।

দিন যত এগিয়ে গেল, যুদ্ধের নিয়ম বদলাতে শুরু করল। ব্রিটিশদের উন্নত অস্ত্রশস্ত্র বাঙালি বাহিনীকে পেছনে ঠেলে দিতে শুরু করল। একটা অস্বস্তির ছায়া দেখা দিল দর্শকদের মনে, সোহিনী পর্যন্ত একটু অস্বস্তি বোধ করলেন। তারা ইতিহাস দেখতে এসেছিল, কিন্তু নিষ্ঠুর বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ইতিহাসের সম্ভাব্য পুনর্लेखন দেখা বিরক্তিকর ছিল।

হঠাৎ, বাঙালি বাহিনীর কাছে একটা হৈ চৈ শুরু হল। সাদা ঘোড়ায় চড়া একাকী একজন, যার মুখ পাগড়ি দিয়ে ঢাকা, যুদ্ধের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ল। তার কারিশ্মা ও নিষ্ঠুরতা বাঙালি সৈন্যদের উৎসাহিত করল, কিছুক্ষণের জন্য ব্রিটিশদের আগ্রাসী

…অগ্রাসী ঢেউকে পিছনে ফেলে দিতে সাহায্য করল।

“সিরাজ!” পাশে থাকা এক গ্রামবাসী চমকে গিয়ে ফিসফিস করে বলল, তার গলায় শ্রদ্ধা ফুটে উঠল।

সোহিনীর হৃৎপিণ্ড কাঁপতে লাগল। ইতিহাসে হারিয়ে যাওয়া এক মুহূর্ত, তাঁর মানুষের জন্য লড়াই করা এক যুবক নেতার ভুলী যাওয়া বীরত্ব। তারা মুগ্ধ হয়ে দেখল, সিরাজ একের পর এক সাহসী কৌশল নিয়ে যুদ্ধের জোয়ার কিছুক্ষণের জন্য উল্টে দিচ্ছেন।

যাহোক, সম্পদের এই বিশাল বৈষম্য খুব বেশি ছিল। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে বাঙালিদের প্রতিরোধ ভেঙে পড়ল। ব্রিটিশরা বিজয়ী হয়ে বেরিয়ে এল, যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত ও আহতদের ছেড়ে যাওয়া অবশিষ্ট রেখে।

এক গভীর নিস্তব্ধতা নেমে এল তিনজনের উপর। স্বচক্ষে ইতিহাস দেখার রোমাঞ্চকর অনুভূতির জায়গায় এখন এক অসীম বিষাদের ছায়া নেমে এল। তারা সাহস দেখেছিল, কিন্তু দেখেছিল লড়াইয়ের নিষ্ফলতাও।

নিঃশব্দতা ভাঙতে সোহিনী বললেন, “ইতিহাস বদলানো যায় না, কিন্তু আমরা তা থেকে শিখতে পারি। আমরা সিরাজ ও তার সৈন্যদের সাহস মনে রাখতে পারি, এবং নিশ্চিত করতে পারি তাদের গল্প ভুলিয়ে যায় না।”

রাহুল ও মীরা গম্ভীরভাবে মাথা নাড়ল। সময়ের মধ্য দিয়ে তাদের এই যাত্রা ছিল এক রূপান্তরकारी অভিজ্ঞতা। তারা শুধু অতীত দেখেনি, শান্তির ক্ষণস্থায়ীত্ব এবং মানুষের অবিনশ্বর সাহস সম্পর্কে আরও গভীর উপলব্ধি লাভ করেছে।

কষ্টের সঙ্গে তারা সময় ভ্রমণের যন্ত্রটি সক্রিয় করল, মনে মনে একটা মিষ্টি সুখের জ্বালা নিয়ে। চেনা সবুজ আলো তাদের যখন ঢেকে ফেলল, তখন তারা জানতো যে তারা অতীত যুগের একটা অংশ সেখানেই ফেলে আসছি। তারা নিজেরাই সময়ে ফিরে এলেন, কিন্তু যুদ্ধের ঢোলের শব্দ আর সাহসী প্রতিরোধের স্মৃতি তাদের সঙ্গেই থাকবে। তারা যে জ্ঞান অর্জন করল এবং গল্পগুলো বয়ে নিয়ে এল, তা চিরকাল তাদের গবেষণার গতিপথ পরিবর্তন করবে, অতীতের গুরুত্ব এবং ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্বের কথা তাদের স্মরণ করিয়ে দেবে।

এই রকম চিত্তাকর্ষক বাংলা ছোট গল্প -এর আপডেট পেতে আমাদের WhatsApp চ্যানেল জয়েন করুন।

About The Author

নতুন বাংলা ছোট গল্প

জীবনপথের সন্ধানে

মোটিভেশনাল বাংলা ছোট গল্প: সঞ্জয়ের আত্ম-উদ্বোধন এবং নতুন জীবন শুরু করার যাত্রা। অনুপ্রেরণা এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটি সাফল্যমণ্ডিত গল্প।

মোটিভেশনাল বাংলা ছোট গল্প: সঞ্জয়ের আত্ম-উদ্বোধন এবং নতুন জীবন শুরু করার যাত্রা। অনুপ্রেরণা এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটি সাফল্যমণ্ডিত গল্প।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: জীবনপথের সন্ধানে

নিঃশব্দ মুক্তি

"নিঃশব্দ মুক্তি" একটি বাংলা ছোট গল্প যেখানে থালিয়া, একজন নির্যাতিত স্ত্রী, ফুটবল আসক্ত স্বামী মার্কের অত্যাচারের শৃঙ্খল ভেঙে নিজের ও মেয়ে গাব্বির জন্য নতুন জীবনের সন্ধান করে। গল্পটি সমাজের অন্ধকার বাস্তবতা ও সাহসিকতার মাধ্যমে নারীর মুক্তির পথে যাত্রাকে তুলে ধরে।

"নিঃশব্দ মুক্তি" একটি বাংলা ছোট গল্প যেখানে থালিয়া, একজন নির্যাতিত স্ত্রী, ফুটবল আসক্ত স্বামী মার্কের অত্যাচারের শৃঙ্খল ভেঙে নিজের ও মেয়ে গাব্বির জন্য নতুন জীবনের সন্ধান করে। গল্পটি সমাজের অন্ধকার বাস্তবতা ও সাহসিকতার মাধ্যমে নারীর মুক্তির পথে যাত্রাকে তুলে ধরে।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: নিঃশব্দ মুক্তি

মুক্তির পথে প্রেম

১৯৪৩ সালের ভারতীয় মুক্তির আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত এই ঐতিহাসিক কথাসাহিত্য গল্পে বিজয় ও সুফিয়ার প্রেম এবং সংগ্রামের কাহিনী উঠে এসেছে। বাংলা ছোট গল্পের এই অধ্যায়ে, সাহসী অভিযান ও বিপদের মধ্যে ভালোবাসা ও দেশপ্রেমের মূর্ত প্রতীক হয়ে ওঠে তাদের জীবন।

১৯৪৩ সালের ভারতীয় মুক্তির আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত এই ঐতিহাসিক কথাসাহিত্য গল্পে বিজয় ও সুফিয়ার প্রেম এবং সংগ্রামের কাহিনী উঠে এসেছে। বাংলা ছোট গল্পের এই অধ্যায়ে, সাহসী অভিযান ও বিপদের মধ্যে ভালোবাসা ও দেশপ্রেমের মূর্ত প্রতীক হয়ে ওঠে তাদের জীবন।

সম্পুর্ন্য গল্পটি পড়ুন: মুক্তির পথে প্রেম

Leave a Comment

অনুলিপি নিষিদ্ধ!