জোনাকি রাতের পুতুল রহস্য

এক গভীর রাতে, জোনাকির আলোয় ঝলমল করত শালবন। ছোট্ট মীনু দেখল, তার দিদার দেওয়া ছোট্ট টেপা পুতুলটি নেই! কোথায় গেল তার নীল শাড়ি পরা পুতুল? মীনুর বুকটা ধুকপুক করছিল।

মীনু চুপিচুপি ঘর থেকে বেরিয়ে উঠোনে এল। দেখল, একটা কাঠবিড়ালি পুতুলটা মুখে নিয়ে দৌড়াচ্ছে! সে ছুটে গিয়ে ধরতেই কাঠবিড়ালিটা একটা পেটরা দেখিয়ে ইশারা করল। এ কেমন কাঠবিড়ালি?

পেটরার ওপরে লেখা, “হলুদ গাঁদা ফুল-এর গন্ধ পেলেই এ খুলবে।” মীনু ভাবল, এই রাতে গাঁদা ফুল কোথায় পাবে? তার চোখ গেল উঠোনের কোণে, যেখানে মা তুলসী মঞ্চ রেখেছেন।

নাঃ, তুলসী মঞ্চে কোনো গাঁদা ফুল নেই। হঠাৎ সে দেখল, গাছের নিচে মাটিতে কিছু জ্যোতির্ময় দানা চিকচিক করছে। এগুলি কি সেই পরীদের ধুলো যার কথা দিদা বলতেন? মীনু অবাক হয়ে দেখল।

মীনু সাবধানে একটা দানা তুলে পেটরার ওপর রাখল। সঙ্গে সঙ্গে পেটরার ঢাকা খুলে গেল, আর ভেতর থেকে ভেসে এল মিষ্টি বাঁশির সুর! এ সুর তাকে কোথায় যেন টেনে নিয়ে যাচ্ছিল।

ভেতরে ছিল তার পুতুল, আর তার পাশে বসে এক ছোট্ট পরী! পরীটি হাসিমুখে বলল, “ভয় পেয়ো না মীনু। আমি তোমার পুতুলকে জাদু শিখিয়েছিলাম।” তার চোখে ছিল তারাদের মতো স্নেহ

পরীটি পুতুলকে মীনুর হাতে তুলে দিয়ে বলল, “তুমি খুব সাহসী মেয়ে!” তারপর সে জোনাকির দলে মিশে গেল। মীনু পুতুলকে বুকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ল। এই রাতের কথা সে কাউকে বলবে না।

বারান্দার শেষ চিঠি